টুইটার, ফেসবুককে ব্যান করল উগান্ডা! দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ

0
595

বঙ্গদেশ ডেস্ক – স্বরাজ্যসহ একাধিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে যে মঙ্গলবার উগান্ডা সরকার, উগান্ডা যোগাযোগ কমিশন (ইউসিসি) -এর মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের, ফেসবুক, টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাধিক অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে যে টুইটার এবং ফেসবুক কয়েকটি সরকারের সমর্থক কণ্ঠকে রোধ করে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।

টুইটার ও ফেসবুকের মতো বড় টেক প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার উগান্ডার কর্মকর্তারা ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই পদক্ষেপটি দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দু’দিন আগে এসেছে। উগান্ডার বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইয়োভেরি মিউসেভেনির, বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ববি ওয়াইনের বিপরীতে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখোমুখি।

আদর্শগত ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাউন্ট কিছুদিন আগেই ব্যান করে টুইটার। এই কাজ করার পরে বিশ্বজুড়ে বিপুল প্রতিক্রিয়া ও বিরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছিল টুইটারকে, তার পরেও তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করেনি। অদ্ভুতভাবে তারাই মঙ্গলবার উগান্ডার কর্তৃপক্ষকে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপসগুলিকে ব্লক করে দেওয়ার জন্যে নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট পোস্ট করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংস্থাগুলির উপরে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তটি ভাবনা চিন্তা করেই নেওয়া হয়েছে। ফেসবুক নির্বিচারে কিছু সরকারপক্ষীয় অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার পরে উগান্ডা কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফেসবুক দাবি করেছে যে নির্বাচনের আগে জনগণের মতামতকে যাতে একাউন্টগুলি বেআইনিভাবে প্রভাবিত করতে না পারে তাই এই অ্যাকাউন্টগুলি তারা সরিয়ে দিয়েছে এবং তারা জানিয়েছে যে এই ‘ইউজার’রা সরকারি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে জড়িত ছিল।

সাধারণ মানুষের অনেকেই ‘টেক জায়েন্ট’দের এই পেশী সঞ্চালন মেনে নিতে পারেননি এবং উগান্ডার সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেছেন।

নির্বাচনের ঠিক আগে উগান্ডার সরকারি কর্মকর্তাদের সেন্সর করা শুরু করার পরে, ফেসবুক এবং টুইটারের উপরে ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার জারি করতে বাধ্য হয় এই আফ্রিকান দেশের সরকার।