হাতরাস কাণ্ডের তরুণীকে খুন করেছে পরিবার, অভিযুক্তদের দাবী

0
739

বঙ্গদেশ ডেস্ক:– হাথরাস কাণ্ডে নতুন চমক। মূল অভিযুক্ত সন্দীপের অভিযোগ, মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরাই মেরে ফেলতে চেয়েছিল। শুধু তাই নয় ওই তরুণীকে ব্যাপক মারধর করে তার পরিবারের লোকজন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে গ্রেফতার হওয়া মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ও অন্যান্যরা।

পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে এমনই দাবি জানিয়েছে অভিযুক্তরা। চিঠিতে সন্দীপ জানিয়েছে যে ওই তরুণী এবং সে ভালো বন্ধু ছিল। দুজনে প্রায়ই ফোনে কথা বলতো। কিন্তু তরুনীর পরিবার এই বন্ধুত্বের সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছিল। ঘটনার দিন সন্দীপ ও তরুণী দুজনে দেখা করতে গিয়েছিল ক্ষেতের কাছে। কিন্তু আচমকা সেখানে মেয়েটির ভাই ও মা উপস্থিত হয় এবং সন্দীপকে কড়া ভাষায় সেখান থেকে চলে যেতে বলে। সন্দীপ পরে জানতে পারে যে মেয়েটিকে ব্যাপক মারধর করেছে তার ভাই, মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।সন্দীপ সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা পুলিশ সুপারের কাছে বিনীত অনুরোধ করেছে যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হয়। এবং তাদের যেন ন্যায় বিচার দেওয়া হয়।চিঠিতে লবকুশ, রবি, রাম কুমার এবং সন্দীপ এই চারজন আসামির স্বাক্ষর ও থাম্বপ্রিন্ট‌ও ছিল।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিঠিতে লেখা সন্দীপের বয়ান অন্যরকম হলেও দেশের এক শ্রেণীর রাজনৈতিক মহল ও মিডিয়া প্রথম থেকেই হাথরাস মামলা সম্পর্কে ভয়ঙ্কর সব তথ্য তুলে ধরেছে। ওঈ একাংশ এই ঘটনাকে ধর্ষণের ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল। তা ছাড়া জাতিভেদ ও হিংসায় উস্কানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে দলিত ও উঁচু জাতের গল্প‌ ছড়ানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বড়ঢা মেয়েটির অসহায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত অডিও ক্লিপিং-এ ধরা পড়ে, মৃতা তরুণীর ভাইকে দিয়ে জোর করে অন্যরকম বয়ান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তদন্তে হাথরাস মামলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরও চক্র ফাঁস হয়ে যায়। তদন্তে মথুরা থেকে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, প্রথম দিকে মৃতা তরুণীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন সন্দীপ তাদের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে‌ এবং পরে গণধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু পোস্টমর্টেম ও ফরেনসিক ল্যাব টেস্টের রিপোর্টে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।