বায়ুসেনা দিবস আজ, আধুনিকীকরণে ১১৬টি নতুন ফাইটার জেট আসছে

0
449

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- বায়ুসেনার আজ ৮৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস। আজ বায়ুসেনার ৮৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। দিল্লির গাজিয়াবাদে হিন্ডন এয়ারবেসে উৎযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯৩২ সালে এই দিনেই স্থাপিত হয় ভারতীয় বায়ুসেনা। অংশ নিয়েছে বায়ুসেনার বিভিন্ন যুদ্ধবিমানগুলি। আয়োজিত হয়েছে একেরপর এক মহড়ার। রাফায়েল বিমাণটি দেখার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া চিনুক, ধ্রুব, এপাচে হেলিকাপ্টারের জন্যেও উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।

উল্লেখ্য যে গাজিয়াবাদ স্থিত এই হিন্ডন এয়ারবেসটি এশিয়ার মধ্যে সব থেকে বড় ও বিশ্বের মধ্যে অষ্টম বৃহত্তম এয়ারবেস রয়েছে। দেশের প্রথম মহিলা এয়ার মার্শাল একজন বাঙ্গালী।তিনি পদ্মাবতী বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, তিনি এভিয়েশন মেডিসিনেরও পথিকৃৎ।

অর্জন সিং ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ -এর পর একমাত্র অফিসার , যিনি ফাইভ স্টার র‍্যাঙ্কিং পেয়েছেন। ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বাহিনী গরুড় কমান্ডো ফোর্স ২০০৪ সালে তৈরি হয়। স্পেশাল ফোর্সগুলির মধ্যে গরুড় বাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রশিক্ষণই সব থেকে দীর্ঘকালীন, এখানে যোগ দেওয়ার জন্য অন্তত তিন বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

একদিকে যখন উৎসবার আবহে বায়ুসেনা দিবসের উৎযাপন চলছে, অন্যদিকে বিশেষ সূত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর মাসেই ১১৬টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেটের বরাত দিতে পারে বায়ুসেনা।

ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়া থেকে ২১ টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমাণ কেনার জন্য একটি নির্দেশ দিতে পারে, দ্যা প্রিন্টের একটি প্রতিবেদনে এই কথাই বলা হয়েছে। এই বিমানগুলি আইএএফ-এর জন্য ১৯৮০ -এর দশকে নির্মিত কিন্তু কখনও ব্যবহৃত হয়নি এমন এয়ারফ্রেম ব্যবহার করে তৈরি করা হবে।

যদিও এয়ারফ্রেমগুলি পুরানো হবে, তবে আইএএফ-এর পরিষেবাতে মিগ -২৯ এর আপগ্রেড করা সংস্করণই পাবে। আইএএফ ১২টি এস -৩০ এমকেআই-এর জন্য একটি অর্ডারও দেবে। এই বিমানগুলি ভারতে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের নাসিক শহরে নির্মিত হবে। ২৫০ জনেরও বেশি এস -৩০ এমকেআই পাইলট আইএএফ-এর সাথে চাকরিতে রয়েছেন। নতুন বিমানগুলি বছরের পর বছর দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া বিমাণগুলি প্রতিস্থাপন করবে।
বছরের শেষ দিকে ৮৩ তেজাস মার্ক ১ এএস-এর জন্য একটি চুক্তিও সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫ই অক্টোবর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইএএফের চিফ এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদোড়িয়া বলেছিলেন যে অত্যাধুনিক তেজস পাইলটদের বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা তাঁর পক্ষে একটি অগ্রাধিকার।