পশ্চিমী মীডিয়ার অর্ধসত্যের মাধ্যমে হিন্দু বিদ্বেষ প্রচার

0
550

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএন-এর মতো বিশ্বব্যাপী খবরকারী সংস্থাগুলি উত্তর-প্রদেশের হাথরাস জেলায় গণধর্ষণ-হত্যা মামলার আসামি হিসাবে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের কেবলই ‘উঁচু জাতের পুরুষ’ বলে লিখে ঘটনাটি প্রকাশ করে। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে যেখানে দুই অভিযুক্তই একটি বিশেষ (তথাকথিত সংখ্যালঘু) সম্প্রদায়ের। দুটি ঘটনাই ন্যক্কারজনক এবং এমন বিকৃতভাবে খবরটি পরিবেশন করা হয়েছে যেন মনে হয় বলরামপুরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুরাই অপরাধ করেছে, যা পুরোপুরি অসত‍্য। বলরামপুরের অভিযুক্তরা হল সাহিল এবং শাহিদ।

তবে ঘটনার প্রেক্ষিতে দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ ও বৈষম্যমূলক আচরণ, দৃষ্টিকটু।

যদিও ভারতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাপী প্রকাশনাগুলির যে কোনও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক ইতিমধ্যেই সন্দেহ করেছেন যে, তাদের কভারেজটি উল্লেখযোগ্যভাবে বিশেষ সম্প্রদায়পন্থী যেহেতু এটি মুসলমানদেরকে সর্বদা হিন্দু আগ্রাসনের শিকার হিসাবে চিত্রিত করে এবং প্রায়শই মুসলমানদের দ্বারা সংঘটিত হিংসার খবর দেয় না, সাম্প্রতিক ধর্ষণ-হত্যার মামলার প্রেক্ষিতে এই প্রকাশনাগুলি উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

প্রথমে সিএনএন-এর সত্যতা পরীক্ষা করা যাক। শিরোনামে বলা হয়েছে যে ‘গোটা ভারত জুড়ে ক্ষোভ ও বিক্ষোভের জন্ম দিয়ে গণধর্ষণের পরে দলিত এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে’।

প্রতিবেদনটি জেসি ইয়ং লিখেছেন, যার টুইটার বায়ো থেকে জানা যাচ্ছে যে তিনি প্রকাশনাসহ ‘ডিজিটাল প্রযোজক’ এবং এশিয়া প্যাসিফিককে কভার করেছেন; এবং এশা মিত্র, টুইটার বায়োতে বলেছেন যে তিনি এর আগে দ্য হিন্দু ও ডেকান হেরাল্ডের সাথে কাজ করেছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাথরাস মামলার চার আসামি ছিলেন “উচ্চবর্ণের সম্প্রদায়ের”। তবে বলরামপুর মামলায় এই প্রতিবেদনে অভিযুক্তকে কেবল “দু’জন লোক” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এর বাইরে তাদের পরিচয়ের কোন উল্লেখই নেই।

এখন, নিউ ইয়র্ক টাইমসের কভারেজটি দেখি। ‘গ্যাং রেপের পরে দিল্লিতে নারী মারা যায়, ভারতে পুনরায় আগুণ জ্বলল’ শিরোনামে এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন হরি কুমার ও এমিলি শমল।

আবার হাথরাস মামলার আসামিদেরকে “উচ্চবর্ণের পুরুষ” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, আর বলরামপুরের ক্ষেত্রে কেবল “দু’জন পুরুষ”।

বিবিসির দিকে একবার নজর ঘোরানো যাক।

একই প্যাটার্ন সেখানেও দেখা যায়। প্রতিবেদনের শিরোনাম, বলরামপুর: “নতুন ভারতে ‘গণধর্ষণ’, মৃত্যুর পরে ক্রোধ বাড়ছে”।

হাথরাস মামলার আসামিদের ‘উচ্চবর্ণের পুরুষ’ হিসাবে উল্লেখ করা হলেও বলরামপুর মামলার আসামিদের ক্ষেত্রে কেবল “দু’জন মানুষ”।

বলরামপুর মামলায় দোষীর সম্প্রদায় প্রকাশে ব্যর্থতা, উল্টে ১৯৫০-এর আইন অনুসারে অবলুপ্ত হিন্দু জাতিভেদ প্রথাকে টেনে এনে লেখা প্রকাশিত হয়!