কাশ্মীরে সেনা অপরেশনে নিকেশ ৪ জঙ্গি, আতঙ্কে বাকি জঙ্গি সংগঠনগুলি

0
585

বঙ্গদেশ ডেস্ক: আবারও কেঁপে উঠল কাশ্মীর উপত্যকা। বুধবার সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হয়ছে ৪ বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরি জঙ্গির। সংঘর্ষস্থলে আরও বেশ কয়েকটি জঙ্গির লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন সকালে সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই দ্রুত অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানাটি ঘিরে ফেলে ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথ দল। ভারতীয় সেনার উপস্থিতির কথা জানতে পেরে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে কাশ্মীরি জঙ্গিরা। এই হামলার মোক্ষম জবাব দেয় যৌথবাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষের পর চার জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই থেকে তিন জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে সেনা সূত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এপর্যন্ত নিহত জঙ্গিদের থেকে প্রচুর হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর।

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই এক্টিভ হয় ওঠে বিভিন্ন কাশ্মীরি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। তাই এর বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। এপর্যন্ত সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে বুরহান ওয়ানি, রিয়াজ নাইকো-সহ প্রায় সমস্ত শীর্ষ জঙ্গিনেতারা। গত বৃহস্পতিবার শোপিয়ান জেলায় লস্কর-ই-তইবার তিন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনাবাহিনী। কয়েকদিন আগেই বান্দিপোরার পুলিশ নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সঙ্গে ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই অভিযানে দুই যুবককে আটক করা হয়। তাদের জেরা করে জানা যায়, জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) সদস্য ওই দুই যুবক। তাদের মগজধোলাই করে দলে টেনেছিল জইশের চাঁইরা। শুধু তাইই নয়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য তাদের হাতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কাশ্মীর নিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত আবিদা হুসেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের থেকে নিয়মিত টাকাপয়সা লেনদেন করতেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। যদিও কিছুদিন পড়েই আমেরিকার গুলিতে লাদেনের মৃত্যু হলে এই পথ বন্ধ হয়ে যায়। পরবরতীকালে আমেরিকা থেকে আসা অর্থসাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র অর্থসংকটে পড়ে প্রতিবেশী এই রাষ্ট্র।