জাতীয় শিক্ষা নীতি বিতর্ক: শ্যামাপ্রসাদ বনাম ম্যাকলে

0
913

লিখেছেন

  • ডঃ অভিষেক অধিকারী
  • ডঃ সুভাষ বিশ্বাস

পুস্তকটি সংগ্রহ করুন।

 

ভূমিকা

জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ প্রকাশ হওয়া মাত্র তুমুল শোরগোল। যে কথাটি প্রকাশ পাচ্ছে না তা হল, এ লড়াই মূলতঃ শ্যামাপ্রসাদ বনাম ম্যাকলের লড়াই। অর্থাৎ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী না টমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলে? এই প্রশ্নের উত্তরই ঠিক করে দেবে আপনি বর্তমান জাতীয় শিক্ষানীতির পক্ষে না বিপক্ষে? 

ধোঁয়াশা লাগছে? বিস্তারিত বলছি। টমাস ম্যাকলে ছিলেন বৃটিশ সরকারের একজন আমলা যিনি চেয়েছিলেন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় বাদামী সাহেব তৈরী হোক। সেই উত্তরাধিকারে আঘাত হানেন বাঙালী শার্দুল শ্যামাপ্রসাদ। তিনি মাত্র চার বছর  (১৯৩৪ – ১৯৩৮) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। এই অল্পসময়ের মধ্যেই তিনি বৈজ্ঞানিক শব্দের বাংলা পরিভাষা রচনা সংকলন করেছিলেন। বাংলা ভাষায় প্রথম পিএইচডি করার অনুমতি প্রদানও করেছিলেন। বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়নের প্রক্রিয়াও তাঁরই অবদান। শ্যামাপ্রসাদের উপাচার্যকালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রথম বাংলায় সমাবর্তনের ভাষণ দেন। 

কিন্তু চিন্তাজগতের লড়াই তো একদিনে শেষ হয় না। তাই সে লড়াই চলবেই। জাতীয় শিক্ষানীতি চায় শ্যামাপ্রসাদের এই চিন্তাধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এই শিক্ষা নীতির প্রণয়ন করেছেন যে কমিটি, সেই কমিটিতে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন যেমন গণিতশাস্ত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ফিল্ডস্ মেডাল জয়ী প্রখ্যাত গণিতবিদ্ মঞ্জুল ভার্গব। কমিটির সভাপতি ছিলেন ইসরোর বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন। এই কমিটি ২০১৯ সালে তাদের রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রস্তুত হয়েছে ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতি এবং তা প্রয়োগ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সায় দিয়েছে।

এই পুস্তিকায় নতুন শিক্ষানীতিকে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন শিক্ষাজগতের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তি। আই আই টি ভিলাইয়ের অধ্যাপক ডঃ অভিষেক অধিকারী ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপক ডঃ সুভাষ বিশ্বাস। পড়ে দেখুন তাঁদের বক্তব্য আর বলুন শ্যামাপ্রসাদ না ম্যাকলে?  

পুস্তকটি সংগ্রহ করুন।