প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ধন্যবাদ জানালেন বিতর্কিত ডাক্তার কাফিল খান

0
508

বঙ্গদেশ ডেস্ক: বিআরডি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু মৃত্যুর মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ডাঃ কফিল খান, যিনি সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বড়ঢা , সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব এবং কমিউনিস্ট পার্টিকে সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বারংবার তাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জয়পুর পিংক সিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন যে রাজ্যে কংগ্রেস সরকার থাকায় তাঁর পরিবারকে রাজস্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি সেখানে নিরাপদে থাকবেন। প্রিয়াঙ্কা জি নিজে থেকেই আমার মা ও স্ত্রীর সাথে কথা বলেছিলেন এবং একথাও বলেছিলেন যে ইউপি সরকার আমার বিরুদ্ধে অন্যান্য অন্যায় অভিযোগ চাপিয়ে দিতে পারে। আমরা অতি সত্বর যেন রাজস্থান পৌঁছে যাই। আমরা এখানে রাজস্থানে নিরাপদ বোধ করছি”।

১০ ডিসেম্বর,২০১৯ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA)-এর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও বিতর্কিত ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কাফিল খান। আলিগড় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি কাফিল খানের বিরুদ্ধে এনএসএ ধারা প্রয়োগ করা হয়। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় বার, গত ১৬ অগস্ট ওই ধারার আওতায় তাঁর বন্দিদশার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় আগামী ১৩ নভেম্বর। ছেলের মুক্তির আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাফিলের মা। ওই আবেদনের শুনানির ইলাহাবাদ হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর এবং বিচারপতি সৌমিত্রদয়াল সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ কাফিল খানের মুক্তির নির্দেশে রায়দান করেন।

খান অভিযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার তাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়েছে এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি একথাও বলেছিলেন যে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন। গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজে অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে ৭২ জন শিশু মারা গিয়েছিল এবং এই ঘটনায় তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ওঠে। সেইসময় ডাঃ খানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দু’বছর পরে, ইউপি পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে, অবহেলা ও দুর্নীতির অভিযোগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার পরেও একটি প্রাইভেটে প্রাকটিস করার অভিযোগের আঙুল ওঠে তার দিকে। না মাস জেল খাটার পরে ২০১৮ সালে সে মুক্তি পায় এবং এখনও তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রয়েছে।

এই দিন রায় ঘোষণার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ডাঃ কাফিল খান ন্যায়সঙ্গত মুক্তি পেয়েছেন এই মর্মে আনন্দ বার্তা প্রকাশ করে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করেছেন। এর ফলে একটি বড়সড় জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মনে করা হচ্ছে যে আসন্ন ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশে নির্বাচনে কাফির খান কংগ্রেসের পক্ষ মুসলিম মুখ হতে পারেন।