বঙ্গদেশ ডেস্ক: ভারতবর্ষের মাটিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বৈদেশিক দস্যুরা আক্রমণ চালালেও ভারতবর্ষ এখনও এক এবং অভিন্ন। সমগ্র বিশ্বে ভারত-ই একমাত্র দেশ যেখানে এত ভাষা, এত সংস্কৃতি আর এত ধর্ম ও জাতপাতের মানুষ বসবাস করা সত্ত্বেও ভারত বরাবরই বিশ্বদরবারে উচ্চ প্রশংসিত। কিন্তু, মাঝে মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে এমন কিছু সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসে, যা আগামী ভবিষ্যতের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর।
This video is from Surguja in Chhattisgarh where some Hindutva people are taking oath.
We Hindus will not buy goods from any Muslim shopkeeper.
We Hindus will not sell or rent our land to any Muslim.
We hindu will not work with Muslims. Is Tarah se nafrat failayi ja rahi hai pic.twitter.com/rvekkMdnGD
— Rubina Afaque (@RubinaAfaqueIND) January 6, 2022
সম্প্রতি, সেরকমই কিছু ভয়াবহ চিত্র দেখা গেল ছত্তিসগড়ে। ফলত সেখানকার গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে মুসলিমদের বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এই ঘটনার ভিডিও মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়ে গিয়েছে। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গ্রামবাসীরা শপথ নিচ্ছে যে, তারা মুসলিম দোকান থেকে আর কখনও কিছু কিনবে না, এমনকি মুসলিম শ্রমিকদের কাজও দেবে না। এর পাশাপাশি শপথবাক্যে মুসলিমদের বাড়ি ভাড়া ও জমি জায়গার লিজও দেবে না বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
ছত্তিসগড়ের সরগুজা জেলার কুন্ডি কলা গ্রামের এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রাপ্ত সূত্রের খবর, প্রতিবেশী মুসলিমদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গ্রামবাসীরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এই ঘটনাটি জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখের। ওইদিন গ্রামবাসীরা সকলে একত্রিত হয়ে মুসলিমদের আর্থিক ভাবে বয়কটের ডাক তোলেন। আর সেই ডাকে সামিল হন বাকিরাও। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে।
কিন্তু গ্রামবাসীরা কেনই বা এমন আচরণ করলেন? এর পিছনেও রয়েছে একটি বলিষ্ঠ কারণ। খবর নিয়ে জানা গিয়েছে, বর্ষবরণের দিনে একদল গ্রামবাসী মজা করে পিকনিক করছিল। সেই সময় আশেপাশের মুসলিমদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। এমনকি তুমুল মারামারিও হয় দুপক্ষের মধ্যে। জানা যায়, পিকনিক করা দলের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায় প্রতিবেশী মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। ঘটনাপ্রবাহ থানা পর্যন্তও গড়ায়। এই ঘটনায় ৬ অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এরপরই গ্রামবাসীরা পণ করেছে যে, তারা মুসলিমদের একত্রিতভাবে আর্থিক বয়কট করবে।