শুক্রবার ‘ইসলামিক ছুটি’কে বয়কট করে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ আরব আমিরাতের

0
642

বঙ্গদেশ ডেস্ক: লাক্ষাদ্বীপ – ভারতের একটি মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, শুক্রবারকে কর্মদিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে এবং এর দরুন এখানকার বাসিন্দারা এক অদ্ভুত পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। তবে, শুধুমাত্র ভারত- ই নয় যেখানে শুক্রবারকে ছুটির দিন হিসেবে আওতাধীন করা হয়েছে, ইসলামী দেশগুলোও এখন শুক্রবারকে কর্মদিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত শুক্রবারের ছুটি বাতিল করেছে এবং শনিবার-রবিবারকে কর্মদিবস ঘোষণা করে প্রথম ইসলামিক দেশ হয়ে উঠেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতি শুক্রবারে কর্মচারী এবং ছাত্রদের যথাক্রমে কাজ এবং অধ্যয়নে সংযুক্ত করতে শুরু করেছে। কয়েকটি প্রাইভেট ফার্ম শুক্র এবং শনিবার তাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে ধার্য করেছে। অন্যান্য উপসাগরীয় দেশ, বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করার জন্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ডিসেম্বরে শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারি সংস্থা এবং স্কুলগুলি এখন প্রতি সপ্তাহে সাড়ে চার দিন কাজ করবে, কারণ প্রতি শুক্রবার ১২ টায় নির্দিষ্ট প্রার্থনার জন্য তারা কাজ বন্ধ করে ১:১৫ অবধি।

উপসাগরীয় অঞ্চলে ইসলামপন্থীদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে এর আগে ২০২২ সালে, আরব আমিরাত মদিনা আল মুনাওয়ারাহ – নবী মুহাম্মদের শেষ বিশ্রামস্থলে সিনেমা হল এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলি অনুমোদন করেছিল। ভারতের ইসলামপন্থী সংগঠন রাজা একাডেমি অবশ্য এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ” আরব আমিরাত একটি ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে তার প্রমাণপত্র হারিয়েছে, এবং দাবি করা হয়েছে, যে রাষ্ট্রটি মুসলমানদের হৃদয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতি প্ররোচিত করার জন্য ইসরায়েলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে মদিনায় সিনেমা হল খুলেছে।”

এছাড়া, আরব আমিরাত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, তাবলিগী জামাত আসলে কতটা নৃশংস তাও স্বীকার করেছিল। এর পাশাপাশি তাবলিগী জামাতকে সন্ত্রাসবাদের অন্যতম দ্বার হিসাবে উল্লেখ করেছে। অন্যান্য ইসলামিক দেশগুলিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে শিখতে হবে এবং শুক্রবার ‘ইসলামিক ছুটি’কে বিদায় জানাতে হবে।