পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণে অভিযুক্ত চার স্ত্রীর স্বামী আবদুল্লাহ

0
887

বঙ্গদেশ ডেস্ক: লাভ জিহাদের অভিযোগ নিয়ে আবার তোলপাড় যোগী রাজ্য। একই দিনে রাজ্যের একাধিক স্থান থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। দু’টি ক্ষেত্রেই লাভ জিহাদের অভিযোগ উঠেছে৷

প্রথম ঘটনা মিরাটের। অভিযুক্ত ৪২ বছরের আবদুল্লাহ। বাড়িতে রয়েছে চার স্ত্রী-সহ চার সন্তান। অভিযোগ, আবদুল্লাহ এক নাবালিকাকে ‘আমান চৌধুরী’ নাম নিয়ে অপহরণ এবং ধর্ষণ করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, আবদুল্লাহ নিজের পরিচয় গোপন করে এবং নাম পরিবর্তন করে মেয়েটিকে অপহরণ করে। সে নিজেকে যুবক প্রমাণ করার জন্য পরচুলা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা গত ৩‌ সেপ্টম্বর থেকে নিখোঁজ এবং তার বাবা-মা থানায় নিঁখোজ ডায়েরি করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর জেরার মুখে অপহরণের কথা‌ স্বীকার করে আব্দুল্লাহ। পুলিশ সন্ধান করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ সে আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ‘আমান চৌধুরী’ নাম ভাঁড়িয়ে যুবক সেজে মেয়েদের সঙ্গে দেখা ও প্রলুব্ধ করে। তিনি মিরাটের কাঁকরখেদা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশের দাবি যে সে জেরায় স্বীকার করেছে পকেটে সব সময় পরচুলা বহন করে এবং তার বয়স লুকানোর জন্য এটি ব্যবহার করে। পুলিশকে একথাও জানিয়েছে যুবতী মেয়েদের মুগ্ধ করতে এবং তারপরে ধর্ষণ করার জন্য নিজেকে ‘আমান চৌধুরী’ বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অপহরণের অপরাধে এবং পকসো আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসপি অখিলেশ নারায়ণ জানিয়েছেন, নির্যাতিতার সন্ধানের জন্য পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন করা হয়েছিল।

অন্যদিকে আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি মোরাদাবাদ এলাকার। এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে অপহরণ করে আসিফ নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার সূত্রপাত ফেসবুক থেকে। আসিফ ফেসবুকে ‘বান্টি ত্যাগি’ নাম নিয়ে ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল খুলেছিল। আসিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উত্তর প্রদেশে লাভ জিহাদের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ৷ রাজ্যের বাসিন্দাদের অভিযোগ, উত্তর প্রদেশে কোনও ছোট অপরাধের ঘটনাকেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বড় করে দেখায়৷ অথচ লাভ জিহাদের ঘটনাকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না৷ সম্প্রতি কানপুর পুলিশ বিয়ের অছিলায় অন্য ধর্মে রূপান্তর সম্পর্কিত তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছে। এসআইটি এই মামলার পেছনে কোন চক্র কাজ করছে তার সন্ধান করে চলেছে।