রাতারাতি টুইটার থেকে উধাও চীনা ভাইরোলজিস্টের অ্যাকাউন্ট

0
485

বঙ্গদেশ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস উহানের একটি ল্যাবে তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি করার পরে চীনা বিজ্ঞানীর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দিল টুইটার।

চীনা ভাইরোলজিস্ট ড. লি-মেন ইয়ান তথ্যপ্রমাণ-সহ দাবি করেছেন যে উহানের একটি ল্যাবে করোনা ভাইরাস তৈরি করা হয়েছিল। তার পরেই মাইক্রো-ব্লগিং সাইট তার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে।

জিরোহেজ ওয়েবসাইটে তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি আর্টিকেলে বলা হয় ড. ইয়ান COVID-19-এর ভাইরাস মানুষের সৃষ্টি করা বলে দাবি করেন। তার পরেই টুইটার তাঁর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দেয়। ড. ইয়ানের আর্টিকেল বেরোনোর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৬০,০০০ ছাড়িয়ে যায়। তার পরেই ড. ইয়ানের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়।

চীনা ভাইরোলজিস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত মাত্র চারটি টুইট পোস্ট করেছিলেন এবং তার কোনও পোস্ট‌ই টুইটারের বিধি লঙ্ঘন করেনি। ড. ইয়ান এর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার জন্য টুইটার কোনও উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেনি।

উল্লেখ্য, তাঁর চারটি টুইটের মধ্যে একটি ছিল তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত পেপার “Unusual Features of the SARS-CoV-2 Genome Suggesting Sophisticated Laboratory Modification Rather Than Natural Evolution and Delineation of Its Probable Synthetic Route,” যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল যে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি COVID-19 ভাইরাস তৈরি করেছে।
তিনি দাবি করেছিলেন করোনা ভাইরাস সরকার নিয়ন্ত্রিত ল্যাবে তৈরি হয়েছিল এবং এই বিষয়ে তার কাছে উপযুক্ত প্রমাণ‌ও ছিল।

ব্রিটিশ টক শোতে বিজ্ঞানী ড. লি মেন ইয়ান বলেছেন তিনি উহানে ‘নিউমোনিয়া’ নিয়ে গবেষণা করার সময় করোনা ভাইরাস নিয়ে ওই তথ্য পেয়েছিলেন। সেই সময় সতর্কতা অবলম্বন করলে সমগ্র বিশ্ববাসীকে আজ এই দুর্ভোগ পোহাতে হত না।

ড. লি-মেন ইয়ান হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথের বিজ্ঞানী। তিনি হংকং থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর আগে চীনে নিউমোনিয়া নিয়ে দুটি তদন্ত করতে পেরেছিলেন।

ড. ইয়ান বলেন, “আমি এই বিষয়টি আমার সুপারভাইজারকে জানাই৷ যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) একজন পরামর্শদাতাও। কিন্তু হু এবং আমার সুপারভাইজারের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।” সবাই আমাকে সতর্ক করে দিয়েছিল আমি যেন মুখ বন্ধ রাখি এবং সীমা অতিক্রম না করি। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন “এই ভাইরাস প্রকৃতি সৃষ্ট নয়।” কারণ, এর জিনোম সিকোয়েন্সে একটি মানুষের আঙুলের ছাপ রয়েছে।

গুরুতর অভিযোগ তুলে ড. ইয়ান জানিয়েছেন এই অতিমারীজনিত ক্ষতির বিষয়ে বিশ্বকে সতর্ক করার চেষ্টা করার সময় চীনা কর্মকর্তারা তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছিলেন।