দীপ্তাস্য যশ
আগের পর্বসমূহ – [১] – [২] – [৩] – [৪] – [৫] – [৬] – [৭] – [৮] – [৯] – [১০] – [১১] – [১২] – [১৩] – [১৪] – [১৫] – [১৬] – [১৭] – [১৮] – [১৯] – [২০] – [২১] – [২২] – [২৩]
চব্বিশ
সৌমিত্র বাড়িটা ভালো করে দেখছিল। দোতলা বাড়ি। মজিদের অন্য বাড়ির মতো এটা প্রাসাদোপম বাড়ি নয়। সাধারণ একটা দোতলা বাড়ি। খালের পাড়ে এদিকটাতে জনবসতি নেই। চাষের ক্ষেত চারদিকে। সন্ধ্যে হলেই ফাঁকা। এসব জায়গাতে সন্ধ্যে নামলেই রাত নেমে আসে। তখন এধারে আর কেউ আসে না। অবশ্য কেউই আসে না বলা ভুল; অন্ধকার হলেই যাদের কাজ শুরু হয়— মানে স্মাগলার,লাইনম্যান— এদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। ওপার থেকে এপারে সোনা, জাল নোট, মানুষ, মেয়ে, নানারকম নেশার জিনিষ— সবই আসে। এপার থেকে যায় বেআইনি অস্ত্র, গোরু। মানুষও যায়। যারা ভিসা ছাড়া এপারে আসে, তারা রাতের অন্ধকারেই পারাপার করে। সৌমিত্ররা সবই জানে,কিন্তু কিছু করার নেই। এই নেটওয়ার্কে এইসব স্মাগলার বা লাইনম্যানরা হলো একেবারেই নিচের তলার লোক। এদের উপরে অনেক বড় বড় মাথারা আছে। এমনকি মজিদরাও মাঝের ধাপে আছে। আসল মাথা হলো বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা। যখন যার হাতে ক্ষমতা, সে তখন এই নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল করে। এখন যেমন ভট্টাচার্য্যিবাবু।
দীপ্তাস্য যশের বড় গল্প “অগ্নি কুঠার” এবং উপন্যাস “আগুন লাগার পরেও” সংকলিত হয়ে “আগুন লাগার পরেও” শিরোনামে বই হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে বইচই থেকে। ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ থেকে থেকে বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইচই ওয়েবসাইট এবং তাদের কলেজস্ট্রীটের বিপণী থেকে।