বঙ্গদেশ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন, যে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সরকার থাকলে অযোধ্যায় রাম মন্দির এক বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যেত।যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারের তত্ত্বাবধানে মন্দিরের নির্মাণ শুরু হওয়ায়, সমাজবাদী পার্টির প্রধান বলেছিলেন যে বিজেপি রাম মন্দির নির্মাণের পরিবর্তে কেবল রাম মন্দিরের নামে ভোট কিনতে আগ্রহী।
অখিলেশ যাদব বলেছেন যে ভগবান রাম তাঁর দলের লোক ছিলেন এবং তিনি খুব তাড়াতাড়ি অযোধ্যা সফর করবেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপি যেহেতু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তোরজোড় শুরু করেছেন সেহেতু অখিলেশ যাদবও রাম মন্দির নিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ভগবান রাম এবং রাম মন্দির নিয়ে অখিলেশের বক্তব্য সম্পূর্ণ ইউ-টার্ন নিয়েছে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছে এবং ভগবান রামের মন্দির নির্মাণের জন্য রাম জন্মভূমি স্থানটি হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেশ জুড়ে সাধু এবং ভক্তরা রাম মন্দির নির্মাণে তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘শ্রী রাম মন্দির নিধি সমর্পন’ প্রচার চালিয়েছিল।অখিলেশ যাদব দান সংগ্রাহকদেরকে “ধান্দাবাজ” বা পেশাদারী অনুদান সংগ্রহকারী বলে উপহাস করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত লখনউতে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় সমাজবাদী পার্টির নেতাকে উপহাস করেছিলেন।২০১৩ সালে অযোধ্যায় ৮৪ কোসি পরিক্রমা নিষিদ্ধ করেছিলেন অখিলেশ যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মৌলবাদী মুসলমানদের খুশি করার জন্য তার মন্ত্রী আজম খানের চাপে অযোধ্যায় ৮৪ কোশি পরিক্রমা নিষিদ্ধ করেছিলেন।
অখিলেশ যাদব তার পিতা মুলায়ম সিং যাদবের কাছ থেকে হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা এবং রাম জন্মভূমির প্রতি বিষোদগার উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন। তিনি যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৯০ সালের নভেম্বরে রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে অযোধ্যায় জড়ো হওয়া কারসেবকদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। হিন্দুদের উপর অত্যাচারের জন্য মুলায়ম সিং যাদব ‘মোল্লা মুলায়ম’ নাম অর্জন করেছিলেন।
সরকারি পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে মাত্র ১৬ জন রামভক্ত মারা গিয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সংখ্যাটি ছিল শত শত। অযোধ্যা গণহত্যার জন্য মুলায়ম সিং যাদব কখনও অনুতপ্ত হননি। তিনি বলেছিলেন, যে তিনি মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে রামভক্তের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, এদেশে মুসলমানদের বিশ্বাস অটুট রাখতে এ সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল। ১৯৯৩ সালে মুলায়ম সিং যাদব বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে বহুজন সমাজ পার্টির কাঁশিরামের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তারা একটি স্লোগান তৈরি করেছিলেন “মিলে মুলায়ম কাঁশি রাম, হাওয়া হো যায়ে জয় শ্রী রাম।”