বঙ্গদেশ ডেস্ক:- অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য শুক্রবার থেকে ধন সঞ্চয় অভিযান শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেকেই নিজের সাধ্য অনুযায়ী দান করেছেন। এবার রাম মন্দির নির্মাণকার্যে বলিউড সেলেবদের নামও সামনে এসেছে। আপাতত বলিউড খিলাড়ি হিসেবে খ্যাত অক্ষয় কুমার রাম মন্দিরের জন্য মোটা অংকের চাঁদা দিয়েছেন। তিনি নিজেই একথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
উনি ট্যুইটারে ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে বার্তা দিয়েছেন যে, তিনিও এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক খুশির ব্যপার যে, অয্যোধ্যায় আমাদের শ্রীরামের ভব্য রাম মন্দিরের নির্মাণকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে … এবার আমাদের সকলের যোগদান করার সময়, আশা করি আপনারাও এই অভিযানে সাথী হবেন। জয় শিয়ারাম।”
ভিডিও বার্তায় অক্ষয় বলেছেন, ‘কাল রাতে আমার মেয়েকে একটি গল্প বলছিলাম। একদিকে বানর সেনা ছিল, আরেকদিকে লঙ্কা। আর দুজনের মাঝে ছিল মহাসাগর। বানর সেনা বড়বড় পাথর তুলে সমুদ্রে ফেলছিল। বানর সেনা সীতা মাতাকে লঙ্কা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য যাত্রা করেছিল।”
অক্ষয় আরও বলেন, ‘প্রভু রাম সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে সবকিছু নজরদারি করছিলেন, তখনই ওনার নজরে পড়ে একটি কাঠবিড়াল। ওই কাঠবিড়ালি একবার সমুদ্রে যাচ্ছিল, আবার তীরে ফিরে এসে বালিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। ভগবান শ্রী রামচন্দ্র ওই কাঠবিড়ালির কাছে যান আর স্নেহভরে তাকে প্রশ্ন করেন, তুমি কি করছ? কাঠবিড়ালি উত্তরে বলে, আমি আমার শরীর ভিজিয়ে বালুকণা লাগাচ্ছি আর পাথরের ফাঁকে ফাঁকে গিয়ে সেই বালুকণা গুলোকে ফেলছি। রাম সেতুর নির্মাণের জন্য আমি ভীষণ সামান্য যোগদান করছি।”
बहुत खुशी की बात है कि अयोध्या में हमारे श्री राम के भव्य मंदिर का निर्माण शुरू हो चूका है…अब योगदान की बारी हमारी है l मैंने शुरुआत कर दी है, उम्मीद है आप भी साथ जुड़ेंगे l जय सियाराम 🙏🏻 pic.twitter.com/5SvzgfBVCf
— Akshay Kumar (@akshaykumar) January 17, 2021
অক্ষয় কুমার একথাও বলছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আপনারাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন যাতে আগামী প্রজন্ম এই দুর্দান্ত মন্দির থেকে মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জীবন এবং বার্তা অনুসরণ করে অনুপ্রাণিত হতে পারে। জয় শ্রী রাম।”
রাম নিধি অভিযানের শুভারম্ভ ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি রামনাথ গোবিন্দ করেছিলেন। উনি রাম মন্দিরের জন্য সর্বপ্রথম চাঁদা দেন। রাষ্ট্রপতি চেকের মাধ্যমে ৫ লক্ষ ১০০ টাকার চাঁদা ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন। এরপর সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্পপতি, বিধায়ক, সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রীরা একে একে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য চাঁদা দেন।