কমিউনিস্ট চীনের উপরে খড়গহস্ত আমেরিকা! বদলাবে ‘এক চায়না’ নীতি?

0
735

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ‘এক-চীন নীতি’ (ওয়ান চায়না পলিসি) পুরানো, এবং এটাকে প্রতিক্রিয়াশীল হিসাবে বিবেচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেস সদস্য, সে দেশের সরকারকে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন। মার্কিন কংগ্রেস অধিবেশনে ‘সমকালীন নীতি (রেজোলিউশন) ২১’ নামক বিলটি ২৩ শে ফেব্রুয়ারি পেশ করা হয়। মার্কিন সেনেটের প্রতিনিধি টম টিফনি এবং স্কট পেরি এটাকে স্পনসর করেছিলেন বলে ‘ফোকাস তাইওয়ান’ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

এই রেজল্যুশনে মার্কিন সরকারকে ‘এক-চীন নীতি’ বাতিল করতে বলা হয়েছিল। নতুন প্রস্তাবটিতে মার্কিন সরকারকে তাইওয়ানের সাথে –
১) স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করা
২) তাইওয়ানের সাথে দ্বিপাক্ষিক ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ করা
৩) আন্তর্জাতিক সংস্থায় তাইওয়ানের সদস্যপদের দাবীকে সমর্থন করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

‘ফোকাস তাইওয়ান’ -এ আরও জানানো হয়, মার্কিন সরকার ১৯৭৯ সালে তাইপেইয়ের থেকে সড়িয়ে বেইজিংকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকেই আমেরিকা ‘তাইওয়ান রিলেশন আইন’ অনুসারে তাইওয়ানের সঙ্গে কেবল আনুষ্ঠানিক নয়, এরূপ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

এই বিলের বক্তব্য অনুসারে, ‘এক চীন নীতি’ এখন অপ্রয়োজনীয়। এটি তাইওয়ান বা মার্কিন জনগণের কোনো কাজে আসেনা। প্রায় ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ান একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত, এই সত্যটি প্রতিফলিত করতেও বিলটি ব্যর্থ হয়।

এই বিলটি আরও দাবী করে যে বেইজিং, তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক সংস্থায় সদস্যপদ পেতে ও বৈশ্বিক ইভেন্টগুলিতে সম্পূর্ণ অংশ নিতে বাধা দেওয়ার জন্য ‘এক চীন নীতি’কে অস্ত্রর মতো প্রয়োগ করেছে। জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে অলিম্পিক গেমস পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই তাইওয়ানকে পিছিয়ে রাখতে চীন এই নীতিটিকে কাজে লাগিয়েছে। এখন দেখার, বাইডেন প্রশাসন চীনের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়।