ভারতে গণতন্ত্র কি সত্যি বিপন্ন, নাকি সবই বিদেশী চক্রান্তঃ তথ্য কী বলে?

0
1077

ভারতের গণতন্ত্রের অবক্ষয় সম্পর্কে ভি-ডেম তথ্যের একটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভি-ডেম সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় অন্তর্দৃষ্টি জনসমক্ষে এসেছে।

সম্প্রতি, সুইডিশ সংস্থা গণতন্ত্রের বিভিন্নতা (ভ্যারাইটিস অফ ডেমোক্রেসি) লিবারেল (উদারপন্থী) গণতন্ত্রের বিশ্বব্যাপী প্রসারটিকে একটি চিত্তাকর্ষক বর্ণনাকারী তালিকা হিসাবে প্রকাশ করেছে।

তাদের এই স্বতন্ত্র পদ্ধতিটি তথ্য-নির্ভর, প্রচুর পরিমাণে চলরাশি সম্পন্ন। সমস্ত তথ্যই‌ ইন্টারনেটে উপলব্ধ। সূচকগুলির সংকলনটি বেশ আকর্ষণীয় এবং ১৭৮৯ সাল থেকে বর্তমান সময় অব্দি তথ্য প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত আছে। এই প্রতিবেদনটিতে সূচকগুলির সর্বনিম্ন, সর্বাধিক এবং ব্যত্যয় প্রমাপ (স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন) সম্পর্কে উল্লেখ করা আছে।

দুঃখজনকভাবে, এই তথ্যানুসারে ভারত একটি নির্বাচিত একনায়কতন্ত্র।

স্বৈরতন্ত্রের সংজ্ঞা হিসাবে বলা যায় যে, “সর্ব ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ব্যাক্তির দ্বারা গঠিত সরকার ব্যবস্থা”। শ্রেণিবিন্যাসের অর্থ হলো যে, ভারতে নির্বাচনগুলি কেবল এই ক্ষমতাটিকে জাহির করা ছাড়া আর কিছু নয়।

প্রতিবেদনটি প্রত্যাশিতভাবেই ইউরো-আমেরিকান বৌদ্ধিক/ শিক্ষা বিষয়ক সংকলন থেকে উদ্ভূত সংকেত সম্পর্কে অত্যন্ত সংবেদনশীল ভারতীয় গণমাধ্যমের অভিজাত অংশকে উৎসাহিত করেছে।

তবুও আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কোলাহলপূর্ণ উৎসবমুখর গণতন্ত্র নিয়ে প্রচুর গর্ব বোধ করে। তাহলে, কীভাবে এটা সম্ভব? মাত্র দু’বছর আগে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ সরকারকে ভোট দিয়েছিলো, কীভাবে ভারতে একনায়কতন্ত্রের  প্রতিষ্ঠাটি তাদের নজর এড়িয়ে গেলো?

আসুন আমরা ভি-ডেমের তথ্যগুলি একটু বুঝতে চেষ্টা করি‌। সর্বোপরি, এই তথ্য যেহেতু সুইডিশ চিন্তাধারা থেকে আগত, তাই আমাদের ধরে নিতে হবে যে, এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই একটি সুনির্মিত এবং নিখুঁত নৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলবেই।

তুলনার উদ্দেশ্যে আমরা ভারতের বর্তমান নিন্দনীয় পরিস্থিতি এবং ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী শাসনামলে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী জারি হওয়া স্বাধীনতা পরবর্তী একমাত্র সময়ে প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে জরুরি অবস্থা রূপে কুখ্যাত পরিস্থিতির মূল্যায়ন করবো।

এই পরিস্থিতিটি এমনই ছিলো যে, ভি-ডেমের তথ্যানুসারে ভারতকে সম্পূর্ণ স্বৈরতন্ত্রাতিক দেশ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা উচিত। এই সময়ে কোনও নির্বাচন সংঘটিত হয় নি, বিরোধী দল এবং সংবাদমাধ্যমকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো, সমস্ত ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হ্রাস পেয়েছিলো এবং আরও অনেককিছু সংঘটিত হয়েছিলো।

ভারত বর্তমানে সেই চরম দুরাবস্থার কতটা কাছাকাছি রয়েছে? এমনকি ভি-ডেম অনুসারে কিছু সূচকের‌ নিরিখে আরও বেশি দুরাবস্থা রয়েছে। এই বৈপ্লবিক যাত্রায় আমাদের সাথে যোগ দিন এবং ধৈর্য্য সহকারে  চোখ খুলে ও উদ্বেগজনক তথ্যের মাধ্যমে আমাদের সাথে চলুন।

(নিম্নলিখিত সমস্ত সূচকের‌ বর্ণনাতে কোনওরূপ পরিবর্তন ছাড়াই‌ ভি-ডেমে কোডবুক থেকে অক্ষরে অক্ষরে উদ্ধৃত করা হয়েছে)

প্যারামিটার: নির্বাচনী গণতন্ত্র সূচক

বর্ণনা: গণতন্ত্রের নির্বাচনী নীতিটি হলো নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় ভোটারদের বিপুল সংখ্যক ভোট অর্জনের জন্য শাসকদের নাগরিকদের কাছে প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ার মূল মূল্যকে মূর্ত করা; রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের সংস্থাগুলি অবাধে পরিচালনা‌ করতে দেওয়া; নির্বাচনগুলি নিখুঁত এবং জালিয়াত বা পরিকাঠামোগত অনিয়মের দ্বারা জর্জরিত হবে না; এবং নির্বাচনগুলি দেশের প্রধান পরিচালন শক্তিকে প্রভাবিত করে। নির্বাচনের মধ্যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে এবং একটি স্বাধীন গণমাধ্যমের রাজনীতি প্রসঙ্গে বিকল্প মতামত উপস্থাপন করতে সক্ষম।

গড় (১৯৫২-২০১৯) ০.৬৬৪

১৯৭৫: ০.৪১৫

১৯৭৬: ০.৪০৭

২০১৮: ০.৪৭৬

২০১৯: ০.৪৫০

পর্যবেক্ষণ: যখন সূচকের মান ০.৭০০ দশকের মাঝামাঝিতে উঠেছিলো, তখন সাম্প্রতিক দশকে যথেষ্ট পরিমাণে লাভ হয়েছিলো। এটি ১৯৯০ এর দশকে হয়েছিলো, যখন ভারতে চারটি সাধারণ নির্বাচন এবং ছয়টি সরকার ছিলো, যা স্পষ্টতই একটি‌ উচ্চ স্তরের নির্বাচনী গণতন্ত্রের ইঙ্গিত ‌দেয়।

ভি-ডেমের তথ্যানুসারে, বিজেপির অধীনে ভারতের সূচকের মান জরুরি অবস্থার কাছাকাছি। এটি বিশেষভাবে আকর্ষণীয় কারণ তখন কোনও নির্বাচন সংঘটিত হয় নি। স্পষ্টতই, যেসব বিশেষজ্ঞগণ‌ এই তথ্য প্রকাশ করেছেন/ বিশ্লেষণ করেছেন তাঁদের কাছে অবশ্যই নির্বাচনের তুলনায় কিছু গভীর যুক্তি থাকতে হবে।

প্যারামিটার: লিবারেল (উদারপন্থী) গণতন্ত্র সূচক

বর্ণনা: গণতন্ত্রের উদারপন্থী নীতিটি হলো রাষ্ট্রের স্বৈরশাসন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ব্যক্তি এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের সংরক্ষণের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া। উদারপন্থী আদর্শটি রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি যথা সম্ভব “নেতিবাচক” দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে কারণ এটি সরকারকে দেওয়া সীমাবদ্ধতার দ্বারা গণতন্ত্রের গুণমানকে বিচার করে।

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৫২২

১৯৭৫: ০.৩০২

১৯৭৬: ০.২৮০

২০১৮: ০.৩৬৯

২০১৯: ০.৩৪০

পর্যবেক্ষণ: ভি-ডেম এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ১৯৭৭-৯৮ সাল পর্যন্ত ভারতের উদার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিলো; অর্থাৎ বাজপেয়ী সরকারের ১৩ দিনের মধ্যে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে এইচ ডি দেব গৌড়া, আই কে গুজরাল এবং ভঙ্গুর বাজপেয়ী সরকারের পুনরায় পতন হয়।

কিন্তু, বর্তমানে আমরা যদি ভি-ডেমকে সঠিকভাবে বুঝতে পারি, তবে স্থিতিশীল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে ভারত জরুরি অবস্থার সময়ের মতোই খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এর কারণ হতে পারে যে, শীর্ষস্থানীয় বিরোধী রাজনীতিবিদরা বর্তমানে তাদের নিজস্ব মতাদর্শে এবং বংশীয় ঘেরাটোপে বন্দী রয়েছেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না; তাঁরা ক্ষমতার আশায় সমুদ্রের মধ্যে সাঁতার কাটার চেষ্টা করছেন অথবা উঁচু স্তম্ভ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

প্যারামিটার: অংশগ্ৰহণমূলক গণতন্ত্রের সূচক

বিবরণ: গণতন্ত্রের অংশগ্ৰহণমূলক নীতিটি হলো সমস্ত রাজনৈতিক কার্যক্রমগুলিতে নির্বাচনী এবং অ-নির্বাচনী নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্ৰহণের উপর জোর দেওয়া। এটি নির্বাচনী গণতন্ত্রের একটি চূড়ান্ত অনুশীলন সম্পর্কে উদ্বেগ দ্বারা অনুপ্রাণিত; প্রতিনিধীদের হাতে কর্তৃত্ব প্রদান।

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৪১২

১৯৭৫: ০.২২৭

১৯৭৬: ০.২২৮

২০১৮: ০.২৮৮

২০১৯: ০.২৭৮

পর্যবেক্ষণ: ভি-ডেম অনুসারে অংশগ্ৰহণমূলক গণতন্ত্র ১৯৯৮-৯৯ সালে শীর্ষস্থান দখল করেছিলো। এটি যুক্তিসঙ্গত মনে হয় কারণ এক বছরের ব্যবধানে ভোটারদের দুটি সরকার ছিলো। যাইহোক, পুনরায় বর্তমান সময়কাল প্রায় জরুরি অবস্থার সাথে সমমানের হয়। যদিও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে ইতিহাসে‌ সর্বাধিক অংশগ্ৰহণ হয়েছিলো। কোনো ব্যক্তি এ বিষয়ে তর্ক করতেই পারে যে, বিশেষজ্ঞদের আরও কিছু ব্যাখ্যা করার আছে।

প্যারামিটার: সুচিন্তিত গণতন্ত্র সূচক

বিবরণ: গণতন্ত্রের স্বেচ্ছাকৃত নীতিটি হলো এমন প্রক্রিয়ার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যার মাধ্যমে রাজনীতিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি স্বেচ্ছাকৃত পদ্ধতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা জনসাধারণের যুক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলির সাধারণ ভালো উদ্দেশ্যগুলির উপর মনোনিবেশ করে- যেমন সংবেদনশীল আবেদন, সুদৃঢ় সংযুক্তি, সংকীর্ণ স্বার্থ বা জবরদস্তির বিপরীত। এই নীতি অনুসারে, গণতন্ত্রের বিদ্যমান পছন্দের সংমিশ্রণের চেয়েও বেশি কিছু প্রয়োজন। জ্ঞাত এবং উপযুক্ত অংশগ্ৰহণকারীদের মধ্যে অগ্ৰাধিকার গঠনের থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত‌ পর্যন্ত সর্বস্তরে সম্মানজনক সংলাপ হওয়া উচিত।

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৫৬৩

১৯৭৫: ০.৩১৪

১৯৭৬: ০.২৮৭

২০১৮: ০.২৯৯

২০১৯: ০.২৬৭

পর্যবেক্ষণ: তবুও, ১৯৯৮ সালে স্বেচ্ছাকৃত গণতন্ত্র শীর্ষে ছিলো, তখন বাজপেয়ী সরকারের সম্মানের সাথে পতন হয়েছিলো। কিন্তু, ২০১৮-২০১৯ সালে ভারতে সুচিন্তিত গণতন্ত্রের সূচকের মাপকাঠিতে বর্তমানের ভারতের মান জরুরি অবস্থার সময়ের থেকেও খারাপ দেখাচ্ছে।

কেবল একটি অনুমান করা যায় যে, ভি-ডেমের বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে ঐক্যমত গড়ে তোলার সময়ে একমত হয়েছিলেন যে, জরুরি অবস্থার সময়ের গণতন্ত্রের প্রায় সমস্ত অংশগ্ৰহণকারী ব্যক্তিরাই কারাগারে ছিলেন এবং পুলিশের সাথে যুক্তিযুক্ত এবং শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক গড়ে তোলে, সংবেদনশীল আপিল এবং জবরদস্তি করা হয়েছিলো।

প্যারামিটার: সাম্যবাদী গণতন্ত্র সূচক

বিবরণ: গণতন্ত্রের সাম্যবাদী নীতিটি হলো যে নৈতিক এবং অনৈতিক অসাম্যগুলি আনুষ্ঠানিক অধিকার এবং স্বাধীনতার চর্চাকে বাধা দেয় এবং সমস্ত সামাজিক দলগুলি থেকে আগত নাগরিকদের অংশগ্ৰহণের দক্ষতা হ্রাস করে।

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৪২৯

১৯৭৫: ০.২৮৩

১৯৭৬: ০.২৮২

২০১৮: ০.২৬৫

২০১৯: ০.২৫৯

পর্যবেক্ষণ: চিত্তাকর্ষকভাবে, ভি-ডেমের মতে, সাম্যবাদের অধিকারের জন্য জরুরি অবস্থা সবচেয়ে খারাপ সময় ছিলো না। বরং এই দুরাবস্থা এখনই হয়, যখন সর্বাধিক সংখ্যক জনগণ গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন এনডিএকে নির্বাচন করার পক্ষে ভোট দিয়েছে; ইন্দিরা গান্ধীর তৎকালীন কংগ্ৰেস সরকার কর্তৃক নির্দেশনানুযায়ী সকলের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার পরে সম্ভবত সাম্যবাদ আরও কার্যকর হয়েছিলো।

খুব কমপক্ষে, ভি-ডেমের কাজের মধ্যে একটি স্ক্যান্ডেনেভিয়ার কৌতুকপূর্ণ অনুভূতি ফুটে উঠেছে; তাদের তথ্যানুসারে সাম্যবাদী গণতন্ত্রের জন্য উপযুক্ত সময়টি ছিলো ১৯৯৮ সাল, যখন নাগরিকরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছিলো (এবং এরপরেই ১৯৯৯ সালে)।

প্যারামিটার: সমিতিগুলির স্বাধীনতা

বিবরণ: বিরোধী দলগুলি সহ অন্যান্য দলগুলি কতটা গঠনে এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলি কতটা নির্ধারিতভাবে অবাধে গঠন করতে এবং পরিচালনা করতে পারে?

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৭৭২

১৯৭৫: ০.৬০৪

১৯৭৬: ০.৫৮৯

২০১৮: ০.৬৬১

২০১৯: ০.৬০৬

পর্যবেক্ষণ: চিত্তাকর্ষকভাবে, পুনরায় ১৯৯৮ সালটি সমিতিগুলির স্বাধীনতার জন্য সেরা বছর ছিলো। ২০১৯ এবং ১৯৭৫ সাল উভয়েই সমিতিগুলির স্বাধীনতার দিক থেকে একই স্থানে অবস্থিত। ১৯৭৫ সালে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে কারাগারে বন্দী ছিলো, তাই সীমিত জায়গায় সহজেই যুক্ত হতে পেরেছিলো।

প্যারামিটার: নিখুঁত নির্বাচন সূচক

বর্ণনা: নিখরচায়িত এবং নিবন্ধন জালিয়াতি, পদ্ধতিগত অনিয়ম, বিরোধীদের সরকারের ভয় দেখানো, ভোট কেনা এবং নির্বাচন সংহিতার অনুপস্থিতি।

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৭৮৬

১৯৭৫: ০.৬৪৮

১৯৭৬: ০.৬৪৬

২০১৮: ০.৬৭৭

২০১৯: ০.৫৭৭

পর্যবেক্ষণ: ১৯৯৮ সাল ভারতের গণতন্ত্রের এক অভূতপূর্ব ভালো পর্যায়। বর্তমানের তুলনায়, ভারতীয় গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় হিসাবে খ্যাত জরুরি অবস্থা চলাকালীন বছরগুলিতে সমাজে শান্তির পরিবেশ গঠিত হয়েছিলো,সম্ভবত কারণটি হলো তখন কোনওনির্বাচন সংঘটিতহয় নি।

প্যারামিটার: পরিচালন কার্যক্রম সম্পর্কিত আইনী বাধা

বিবরণ:আইনসভা এবংসরকারী সংস্থাগুলি কতগুলি কার্যনির্বাহী,উদাহরণস্বরূপ নিয়ন্ত্রক জেনারেল,সাধারণ অভিশংসক বা ন্যায়পাল কার্যনির্বাহী সমিতির উপর তদন্ত এবংতদারকির জন্য প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে কতটা সক্ষম?

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৮০৬

১৯৭৫: ০.৭৯৭

১৯৭৬: ০.৬৬৭

২০১৮: ০.৭১০

২০১৯: ০.৬৪৮

পর্যবেক্ষণ: আশ্চর্যজনকভাবে, ১৯৭৬ সালে আইনসভা স্থগিত করা হয়েছিলো, ২০১৯ সালের তুলনায় তৎকালীন সময়ে কার্যনির্বাহী সংস্থাগুলির ক্ষমতাসীন একজনের নির্দেশিকা অনুযায়ী ভারসাম্য রক্ষা করা এবং রায় দেওয়ার ক্ষমতা আরও বেশি ছিলো।

ইউপিএ ২ এর আমলে ২০০০ দশকের শেষের দিকে সবচেয়ে বড়ো ভুলটি সংঘটিত হয়। এটি অবশ্যই প্রয়োজন ছিলো, সেই সময়ে একাধিক বড়ো বড়ো স্ক্যামগুলির তুলনায় তদারকির প্রয়োজন‌ ছিলো।

প্যারামিটার: সুচিন্তিত উপাদান সূচক

বিবরণ: গণতন্ত্রের স্বেচ্ছাকৃত নীতিটি হলো এমন প্রক্রিয়ার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যার মাধ্যমে রাজনীতিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি স্বেচ্ছাকৃত পদ্ধতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা জনসাধারণের যুক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলির সাধারণ ভালো উদ্দেশ্যগুলির উপর মনোনিবেশ করে- যেমন সংবেদনশীল আবেদন, সুদৃঢ় সংযুক্তি, সংকীর্ণ স্বার্থ বা জবরদস্তির বিপরীত।

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৮৪৪

১৯৭৫: ০.৬৮০

১৯৭৬: ০.৬১৬

২০১৮: ০.৫০৮

২০১৯: ০.৫০৭

পর্যবেক্ষণ: বর্তমানে, সুচিন্তিত গণতন্ত্র সূচকের মতো উপাদান সূচকও বর্তমানে স্বাধীনতার অভাবের পরিচায়ক। তথ্য প্রমাণ করে যে, কারাগারে বিরোধীদের প্রতি কোনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না থাকায় জরুরি অবস্থার সময়ে এই প্রক্রিয়াটি আরও ভালোভাবে পরিচালিত হতে পারে।

ইউপিএ ২ চলাকালীন যখন সমান্তরাল এনএসি সরকার পরিচালনা করে, এই উপাদানটি সর্বকালের উচ্চ স্তরে উত্তীর্ণ হয়। যেহেতু এনএসি অনির্বাচিত ছিলো, তাই সংবেদনশীল আবেদন, সুদৃঢ় সংযুক্তি, সংকীর্ণ স্বার্থ বা জবরদস্তি ছাড়াই কাজ করতে পারে। যাঁদের স্মৃতিশক্তি প্রখর তারা স্মরণ করবেন যে, এটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর মুখ থেকেই স্পষ্ট হয়েছিলো।

প্যারামিটার: সাম্যবাদী উপাদান সূচক

বর্ণনা: সাম্যবাদী নীতিটি কতটা অর্জন করেছে?

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৫৮২

১৯৭৫: ০.৫৯৮

১৯৭৬: ০.৫৯৮

২০১৮: ০.৪৩৩

২০১৯: ০.৪৮২

পর্যবেক্ষণ: এটি সত্যিকারের একটি উদ্ভট চিন্তাধারা। এই সূচকটির মানে জরুরি অবস্থার সময়কালে পূর্ণসময়ের গড়ের চেয়ে বেশি হয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ইউপিএ১ এবং ইউপিএ২ এর থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে।এটি সম্ভবত ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, জরুরি অবস্থার সময় প্রত্যেকেই সমানভাবে সমস্যায় পড়তে পারে।

রিপোর্ট করা অনেক শাস্তিই নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিলো। ভি-ডেম এখানে তর্ক করেছে যে, এখানে পদার্থটিই আসল বিষয়বস্তু, তার প্রকৃতি নয়।

প্যারামিটার: সমান সুরক্ষা সূচক

বিবরণ: রাষ্ট্র দ্বারা সামাজিক সংগঠনগুলিতে অধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষা কতটা সমান?

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৭০৪

১৯৭৫: ০.৭০৭

১৯৭৬: ০.৭০৭

২০১৮: ০.৫৮৬

২০১৯: ০.৬১৪

পর্যবেক্ষণ: সাম্যবাদী উপাদানগুলির ক্ষেত্রে, সর্বকালের গড়ের তুলনায় সকলের জন্য অধিকার এবং স্বাধীনতার বৃহত্তর সাম্যতার একটি সময়কার ছিলো জরুরি অবস্থা। এবং  অবশ্যই বর্তমান এনডিএ সরকারের চেয়ে অনেক বেশি। সমস্ত সম্ভবনার ক্ষেত্রেই এটি ছিলো কারণ সকলের জন্য সমানভাবে নির্দেশনামা জারি করে মৌলিক অধিকারগুলি স্থগিত করা হয়েছিলো।

প্যারামিটার: সমান অধিকার সূচক

বিবরণ: পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করার জন্যে অধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষা অথবা সম্পদের সমবন্টন পর্যাপ্ত নয়, এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে সমান অধিকারের উপাদানসমূহ। আদর্শগতভাবে, সমস্ত দলকেই অংশগ্ৰহণের জন্যে, রাজনৈতিক ক্ষমতার পদের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে, বিষয়গুলিতে আলোচনার জন্য এবং নীতি নির্ণয়কে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে সমান ডি-ফ্যাক্টো ক্ষমতার অধিকারী হওয়া উচিত।

গড় (১৯৫২-২০১৯): ০.৭৯৭

১৯৭৫: ০.৮৮৯

১৯৭৬: ০.৮৮৯

২০১৮: ০.৪৩৬

২০১৯: ০.৫৮১

পর্যবেক্ষণ: এই বিষয়টি হলো এই প্রতিবেদনের সবচেয়ে বিতর্কিত উপাদান এবং বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের উপর এর প্রভাবগুলি চিত্তাকর্ষক।‌ জরুরী অবস্থাকালীন বছরগুলির তথ্যাবলী এই সূচকের নিরিখে শীর্ষ স্থানে অবস্থিত, যাদীর্ঘমেয়াদীগড়ের চেয়েও অনেক বেশি।

এর থেকে জানা যায় যে,যখনসমস্ত অধিকারএবংস্বাধীনতা হ্রাস করাহয়েছিলো এবংগণতন্ত্রেরপ্রতিনিধিত্ব করা স্থগিত হয়ে গিয়েছিলো,যখনপ্রত্যেকের কাছ থেকেই এই অধিকারগুলি কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো- তখনএ বিষয়ে সূচকের মান শীর্ষে পৌঁছায়।বছরগুলির অন্তর্দৃষ্টি ছিলো এইরকম।

প্যারামিটার: নির্বাচন কমিশনের স্বায়ত্তশাসন

বিবরণ: জাতীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনের আইন ও প্রশাসনিক বিধি প্রয়োগ করার জন্য নির্বাচন পরিচালন সংস্থা (ইএমবি)এর কি সরকারের থেকে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার অধিকারআছে?

গড় (১৯৫২-২০১৯): ২.৪৭৯

১৯৭৫: ১.৪৮৭

১৯৭৬: ১.২৩

২০১৮: ১.১৩৬

২০১৯: ০.৭৭১

পর্যবেক্ষণ: ইসিঅই-এর স্বায়ত্তশাসন বছরের পর বছর অব্যাহত থাকলেও, ২০১৪ সালে অশ্চর্যজনকভাবে এর মান‌ নিম্নগামী হয়। সম্ভবত, দীর্ঘদিন পর একটি অ-কংগ্ৰেসী দল ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার সাথে এই বিষয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, জরুরী অবস্থা থাকাকালীন যখন কোনও নির্বাচন ছিলো না, ইসিআই যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসিত ছিলো যেহেতু তারা সরকারী দায়িত্ব ব্যতীত অন্য যে কোনও কিছু পছন্দ করতে তারা স্বাধীন ছিলো।

প্যারামিটার: নির্বাচনী ভোটার নিবন্ধীকরণ

বর্ণনা: এই জাতীয় নির্বাচনে যথাযথভাবে সঠিক ভোটারদের‌ নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিলো কি এবং এটি ব্যবহার করা হয়েছিলো কি?

২০১৪: ১.১৩৬

২০১৯: ০.৭৩২

পর্যবেক্ষণ: কোনও আপাত কারণ ছাড়াই এই প্যারামিটারটি আশ্চর্যজনকভাবে ২০১৪ সালের সর্বকালের উচ্চতা থেকে নিম্নগামী হয়েছিলো, পাঁচ বছর পরে দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে চলে আসে। এই বিষয়টি কেবল ভি-ডেমের বিশেষজ্ঞরাই ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

প্যারামিটার: নির্বাচনে ভোটের অন্যান্য অনিয়ম

বিবরণ: এই জাতীয় নির্বাচনে শায়িত্ব এবং/ বা বিরোধী দলগুলির দ্বারা এবং/ বা ভোটের জালিয়াতির দ্বারা অন্য ইচ্ছাকৃত অনিয়মের প্রমাণ ছিলো কি?

১৯৬২: ১.৬৬১

২০১৯: -০.০৫৯

পর্যবেক্ষণ: দেশটি চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার দিকে পা বাড়ানোর জন্যে ১৯৬২ সালের নির্বাচনটিকে নির্বাচনী অনিয়মের অভাবে সেরা নির্বাচন হিসাবে গণ্য হয়েছিলো। ২০১৯ সালের নির্বাচনটি ছিলো এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ নির্বাচন। প্রকৃতপক্ষে, এটি খুবই খারাপ ছিলো, এখানে সূচকটির মানে ঋণাত্মকে নেমে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভারতে আসার আগে ১৯৯০ এর দশকে সংঘটিত তিনটি নির্বাচনকেই ১.০ এর থেকে বেশি পরিমাণ দেওয়া হয়েছে।

প্যালামিটার: নির্বাচনের খরচা এবং সুষ্ঠুতা

বিবরণ: এই জাতীয় নির্বাচনে শায়িত্ব এবং/ বা বিরোধী দলগুলির দ্বারা এবং/ বা ভোটের জালিয়াতির দ্বারা অন্য ইচ্ছাকৃত অনিয়মের প্রমাণ ছিলো কি?

২০১৪: ১.৬৯১

২০১৯: ০.৫৯৪

পর্যবেক্ষণ: পূর্ববর্তী প্যারামিটারগুলির নিরিখে এই সূচকটিও ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ স্থানে ছিলো এবং ২০১৯ সালে সর্বকালের সর্বনিম্ন মানে নেমে আসে। এই মানটি ০ এর নীচে নামে নি কেন তা এখনও স্পষ্ট নয় কারণ অনিয়মের সূচকটি বহু সংগ্ৰামের মাধ্যমে সেই সীমাটি অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিলো।

প্যারামিটার: নির্বাচনে পরাজিত দল তার পরাজয় স্বীকার করে নেওয়া

বিবরণ: পরাজিত দল এবং তাঁর প্রার্থীরা কি এই জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল তিন মাসের মধ্যে গ্ৰহণ করেছে?

২০১৪: ১.৩৫৮

২০১৯: ১.১৬৩

পর্যবেক্ষণ: অন্যান্য তথ্যগুলিকে যেমন হাস্যকর রূপে চিহ্নিত করা যায়, তেমনই এই তথ্যটিও সর্বোপরি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ (এবং হাস্যকর)। এই সূচকের সর্বোত্তম মানটি ২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত করা আছে এবং ২০১৯ সালে এর মান সর্বনিম্নে পৌঁছায়। এতে অবাক হওয়ার দরকার নেই।

এই পর্যবেক্ষণগুলির সংক্ষিপ্তকরণ

তথ্য থেকে বারবার আমরা জানতে পারি যে, ভারতের উদারপন্থী অংশগ্ৰহণমূলক গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সর্বোত্তম পর্যায়টি হলো ১৯৯৬-৯৯।

সম্ভবত, চার বছরের মধ্যে তিনবার ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারতো বলে এই বিষয়টি মনে হয়েছে। আপনি যদি কোনও নির্বাচন ফসকে যান, তবে আপনাকে কেবল তার পরবর্তীতে কয়েকটা মাস অপেক্ষা করতে হবে।

একাধিক পেশার সাথে যুক্ত রাজনীতিবিদ এবং আঞ্চলিক অধিপতিরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারছেন এবং আমরা জানি তাঁরা তা করেও দেখিয়েছেন। এটি ভি-ডেম নিয়মানুসারে উদার গণতন্ত্রের আদর্শ রূপ বলে মনে হয়।

তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এনডিএকে দেওয়া প্রজন্মের প্রথম স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক নির্দেশটি ছিলো পুরো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তে নির্দেশনামা দ্বারা শাসনব্যবস্থার থেকেও খারাপ রূপ।

যদিও, এই প্রতিবেদনটির মধ্যে আকর্ষণীয় প্যারামিটার সংযুক্তিকরণ এবং গাণিতিক মঠের তৈরির চেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়, এই অনুশীলনটি আবর্জনা-যুক্তকরণ-আবর্জনা-দূরীকরণ হিসাবে পরিচিত ঘটনাটিরও একটি দুর্দান্ত উদাহরণ- আপনি যদি গাণিতিক মডেলটিকে অজ্ঞতার মতো পড়তে থাকেন, তবে সেটি আপনার কাছে একটি আবর্জনা‌ হিসাবে পরিগণিত হবে।

তথ্যবিজ্ঞান ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ কাঁচা তথ্যের বাইরে ব্যাখ্যাযোগ্য মডেলগুলি তৈরির চেষ্টা করে। এই জাতীয় মডেল তৈরির প্রচেষ্টা আকর্ষণীয়, তবে তথ্যের সংখ্যা খুব বেশি থাকলে মারাত্মক ত্রুটিযুক্ত মডেল নির্মিত হয়। আরও কয়েক ডজন বই প্যারামিটার রয়েছে, কিছু যুক্তিসঙ্গত, কিছু উপরোক্ত প্যারামিটারের থেকেও দূর্বল।

একটি পেশাদার নীতিশাস্ত্রানুসারে, এই প্রতিবেদন বৈধ তথ্যের উপর নির্ভর করে দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণ দ্বারা বলা যায় যে, তথ্যগুলি পরীক্ষায় ব্যর্থ। তবে, এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে হাসির খোরাক সরবরাহ করে।

আপনি যদি খুব দয়ালু হন, তবে এটি বলা যেতে পারে যে, এখানে বর্ণিত তথ্যগুলির প্রকৃতির কারণে ভি-ডেম দ্বারা ভারত সম্পর্কে সিদ্ধান্তগুলি সম্পূর্ণ বোকামির ফলশ্রুতি। আশা করা যায় যে, তাদের তথ্য বিজ্ঞানিগণ তাদের তথ্য আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তাটি স্বীকার করবেন‌ এবং এমন তথ্য সংগ্ৰহের চেষ্টা করবেন যা বাস্তবতার বিপরীত এবং তাদের কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে।

সর্বোপরি এটি তাদের গ্ৰহণযোগ্যতার বিষয়- অন্য কতকগুলি দেশের একইরকমের জঘন্য তথ্য রয়েছে এবং সেটি খারাপ প্রভাব ফেলেছে, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

এটি বলার পরে, আমরা ভি-ডেমের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের দিকে নজর রেখেছিলাম, কারণ সম্ভবত, চূড়ান্ত প্রতিবেদনটির কেন্দ্রীয় পরিচালন কমিটির লোকদের অবশ্যই বক্তব্য থাকবে।

ভি-ডেমের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত নামগুলি: নীরাজা গোপাল জয়াল (অধ্যাপক এবং বর্তমানে আইন ও শাসন কেন্দ্রের গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, নয়াদিল্লি); প্রতাপ ভানু মেহেতা (নীতি গবেষণা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি, নয়াদিল্লি); এবং আইতাজ আহসান (পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী)।  এ বিষয়ে আপনাদের যা ইচ্ছে তাই করবেন‌।

মূল লেখাটি স্বরাজ্য পত্রিকায় প্রকাশিত, লিখেছেন সুরজ এস এবং জয় মেনন। অনুবাদ করেছেন সূর্যদেব।