বঙ্গদেশ ডেস্ক: বঙ্গ রাজনীতির চর্চা এখন তুঙ্গে। একদিকে তৃণমূল নেতাদের দলবদল, অন্যদিকে বিজেপির সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামা, সবকিছু মিলিয়েই বাংলার রাজনীতি জমে উঠেছে। সারা দেশজুড়ে একটাই প্রশ্ন, বিধানসভা নির্বাচনে জিতে কে আসছে বাংলার ক্ষমতায়? এটা একদমই পরিষ্কার যে বাংলার ভোটের মাঠে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস।
গণমাধ্যমগুলোও এই রাজনৈতিক তরজার বাইরে নেই। সম্প্রতি বাংলা ভাষায় চ্যানেল খোলার ঘোষণা দেয় রিপাবলিক টিভি এবং জোর গতিতে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজও করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তৃণমূল সমর্থক রঞ্জন ভট্টাচার্যকে বাংলা ভাষায় বাক্যবাণে জর্জরিত করে আলোচনায় অর্ণব গোস্বামী। অর্ণব গোস্বামীর “পুছতা হ্যায় ভারত” অনুষ্ঠানে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছিল। সেখানে উপস্থিত তৃণমূল সমর্থক রঞ্জন ভট্টাচার্যকে কড়া বাংলায় একপ্রকার তিরস্কার করেন অর্ণব গোস্বামী। মুহূর্তের মিধ্যেই এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়৷
“যে কোন বিষয়ে প্রশ্ন তুললেই তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা প্রশ্নকারীকে আউটসাইডার বা বহিরাগত আখ্যা দিয়ে থাকেন”- তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলের এমনটাই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এদিন এই বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত ওই তৃণমূল সমর্থককে একপ্রকার তুলোধুনো করলেন অর্ণব গোস্বামী। অর্ণব গোস্বামী পরিষ্কার বাংলায় এদিন প্রশ্ন তোলেন,” দাদা,তৃণমূল ছেড়ে সবাই পালাচ্ছে কেন? শুভেন্দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত, হিমাংশু চৌধুরী, কবিরুল ইসলাম দল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ দল ছাড়ছে। সারা ভারতের একটাই প্রশ্ন, তৃণমূল ছেড়ে সবাই পালাচ্ছে কেন?”
"Sobai apnar party chare paliye jacche kano dada ???? "
Aayee haayeee 😍😍😍🥰🥰🙈🙈🙈🙈 pic.twitter.com/4HHo554hri
— Shivani 🖤 (@MostlySane007) December 18, 2020
অর্ণব গোস্বামী আরও বলেন,” ওরা সবাই ভেবেচিন্তে গিয়েছে। ৩৬৫ দিনে ৩৬৫ নেতা পালিয়ে কেন যাচ্ছে? আমিতো এখন বাংলায় কথা বলছি তাহলে উত্তর দিতে পারছেন না কেন? সবাইকে কি আউটসাইডার বলবেন? আমরা আউটসাইডার নই আমরা ইনসাইডার। ” এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই ভিডিও দেখে অনেক নেটিজেনের মন্তব্য এই যে অর্ণব গোস্বামী বাংলায় প্রশ্ন করে তৃণমূলের আউটসাইডার-ইনসাইডার থিওরিকে একপ্রকার নস্যাৎ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে নেটিজেনদের আরেকটি অংশের মন্তব্য এই যে, অর্ণব গোস্বামী এর মাধ্যমে রিপাবলিক বাংলার একটি ছোট্ট ঝলক দেখালেন এবং বাংলায় এমনই গণমাধ্যম দরকার।