১৯৬২তে যারা ছিল চীনের প্রকাশ্য চর, আজ কি তারা চীনের গুপ্তচর?

0
939

সত্যান্বেষী

 

কোভিড অতিমারীর সময় চীনা সরকারের ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক। বিজ্ঞানী ড. লি-মেন ইয়াং হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথে কর্মরত ছিলেন যখন তিনি অভিযোগ করেছিলেন করোন ভাইরাসের এই প্রজাতিটিকে পরীক্ষাগারে তৈরি করা হয়েছিল।  এই ভাইরাসের সংক্রমণ অতি দ্রুত একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে, বিষয়টি জানার পরেও লুকোছাপা করা হয়। ফক্স নিউজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষৎকারে এমন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। সেই সময় তিনি কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে বেজিং তাতে সাড়া দেয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই ভাইরাস যখন শনাক্ত হয়েছিল তখনই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত বলে জানিয়েছেন চিনের‌ই এই ভাইরোলোজিস্ট। লি মেন ইয়াং বলেন, “যখন করোনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারি, তখনই সত্যতা অনুসন্ধানের চেষ্টা করি। হংকং প্রশাসনকেও অবগত করি এই বিষয়ে। ভেবেছিলাম মৃত্যুর হাত থেকে কোটি কোটি মানুষকে বাঁচাতে পারব। কিন্তু কেউই আমার কথায় কর্ণপাত করেনি। যার ফলাফল এখন বিশ্ববাসী ভোগ করছে।”

পৃথিবীর বহুজাতিক সংস্থাগুলি এতে শঙ্কিত হয়ে চীন ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ভারত সেই সব সংস্থাগুলিকে ভারতগামী করে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত করতে চাইছে। এই রকম এই প্রোথিতযশা সংস্থা হল অ্যাপল। তারা ভারতে আরও নতুন নতুন কারখানা বানাতে আগ্রহী। তাদের এই সিদ্ধান্ত ঠেকাতে চীনের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব ছিল না। এই সময় এগিয়ে এসেছে সি পিআই এম। আজ সেই কাহিনীই।

 

উইসট্রন প্ল্যান্টের কাহিনী : বেতন বন্ধে ধ্বংসাত্মকতা, শ্রমিক বিভাগের প্রত্যাখ্যান এবং একটি কমিউনিস্টের প্রভাব

অ্যাপেলের কনট্র্যাক্ট নির্মাতা উইসট্রন ইন্ডিয়ার হাজার হাজার কর্মীকে সম্প্রতি কর্ণাটকের কোলারের নরশাপুরের কেন্দ্রটিতে প্রবেশ করে ধ্বংস চালাতে ও দপ্তরের সম্পত্তি লুঠ করতে দেখা গেছে। উইসট্রন হল একটি তাইওয়ান ভিত্তিক নির্মাতা যারা অ্যাপেল কোম্পানির জন্য আইফোন নির্মাণ করে।

এই তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছিল যখন কর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছিল যে এই তাইওয়ান ভিত্তিক সংস্থাটি তাদের বেতন হ্রাস করেছে এবং তারা অনিয়মিতভাবে বেতন দিচ্ছিল। এই ক্ষুব্ধ কর্মীদের একটি দল গত সপ্তাহের শনিবার তাণ্ডব শুরু করে, অফিস চত্বরে রাখা আধিকারিকদের গাড়িগুলিকে তারা ধ্বংস করে এবং কারখানার আরো সম্পত্তি নষ্ট করতে থাকে। কর্মীরা জানালার কাচ ভেঙে দেয়, আসবাবপত্র এবং চত্বরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে ভেঙে দেয়। উইসট্রন সংস্থা জানায় যে এই ঘটনার ফলে তাদের বহু কোটি ক্ষতি হয়েছে।

কর্ণাটক সরকারের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা এই ঘটনার অত্যন্ত নিন্দা করেছেন এবং সহকারী মুখ্যমন্ত্রী সি অশ্বথনারায়ণ আশ্বাস দিয়েছিলেন যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং আশ্বস্ত করেছিলেন যে এই বিষয়ের তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য যা করতে হয় সরকার করবে এবং এই বিরোধে জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারদের উদ্বেগ নিরসনের ব্যবস্থা করবে।

আইফোনের নির্মাতা উইসট্রন প্রাইভেট লিমিটেডের চত্বরে হিংসাত্মক কার্যকলাপ ও ধ্বংসাত্মকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ৫০০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও ৭০০০ অজানা লোকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এত পর্যন্ত গত শনিবার কোলারের আইফোন নির্মাণকারী সংস্থায় যে ধ্বংসাত্মক ঘটনাটি ঘটেছিল, তার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৫০ লোককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং তারা কোলারের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী হয়ে আছে। কোলার পুলিশ মোট চারটি এফআইআর করেছে।

 

উইস্ট্রন দপ্তরে কী সমস্যার জন্য এটি হিংসাত্মক রূপ গ্রহণ করেছিল?

শনিবারে বেঙ্গালুরুর কাছে উইসট্রন দপ্তরে যে কর্মীরা বিদ্রোহ চালিয়েছিল তাদের অভিযোগ ছিল যে বেতন হ্রাস ও বিলম্বিত বেতন দানের ব্যাপারটি আজ প্রায় চার মাস ধরে ঝুলছে। তারা অভিযোগ জানায় যে কোম্পানি বিগত চার মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ রেখেছে। তারা এও অভিযোগ জানিয়েছে যে এই সংস্থা তাদের বেতন কমিয়েছে এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করার জন্য কোনো টাকা দেয়নি।

 

কমিউনিস্ট স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন ধ্বংসাত্মকতাকে সমর্থন করে

সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনের সদস্য কৃষ্ণ সিদ্দি বলেছেন, এই ঘটনাটি এখন প্রায় চার মাস ধরে চলছে। প্রথম দিকে, তিনটি শিফট ছিল যা পরবর্তীতে ১২ ঘন্টার দুটি শিফট এবং চার ঘন্টা অতিরিক্ত সময় কাজে পরিণত হয়। সংস্থাটি অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য টাকা দিচ্ছে না এবং কর্মীদের যে বেতনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হছিল তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে

ইহা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য যে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা অনুমোদিত। দপ্তরে যে হিংসাত্মকতা ও ধ্বংসাত্মকতা হয়েছিল তার সাফাই দিয়ে এআইটিইউসি এর মুখ্যসচিব এমডি হরিগোবিন্দ বলেছিলেন, উইসট্রনের শিল্প সহিংসতা সর্বাপেক্ষা দামী ফোন নির্মাতা সংস্থা দ্বারা কর্মীদের নির্মম শোষণ ও বেগার খাটার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রত্যক্ষ ফলাফল। রাজ্য সরকার এই কোম্পানিকে মজুরি দেওয়া ও কাজের সময়ের মত শ্রমিকের মৌলিক অধিকারগুলিকে লঙ্ঘন করার অনুমতি দিয়েছে

গত মাসে বিদাদির টয়োটা কিরলোস্কর মোটরস কোম্পানি ইউনিয়নের সদস্যদের অব্যাহত ধর্মঘটের পরে তাদের কারখানায় স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছিল। বিদাদি দপ্তরে দুটি নির্মাণকারী অংশ রয়েছে যার ক্ষমতা হল বছরে ৩.১০ লাখ ইউনিট। টিকেএম পরিচালন সমিতি কিছু ইউনিয়ন সদস্য কর্মচারীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অগ্রহণযোগ্য ব্যবহার এর কথা উল্লেখ করে কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল।

 

আইফোন লুঠ করা হয়েছে, ৪০০ কোটির বেশি ক্ষতি হয়েছে

শনিবারে যখন কিছু চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়মিত ও অতিরিক্ত সময়ের বকেয়া মাহিনা না দেওয়ার অভিযোগ করে, তখন হিংসাত্মকতার শুরু হয়। তারা পাথর ছুঁড়তে থাকে এবং কারখানার অভ্যন্তরে থাকা বেশ কিছু গাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই দপ্তরে যে আইফোনের বাক্সগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল এবং রপ্তানির জন্য রাখা হয়েছিল, সেগুলিকে কর্মীরা লুঠ করে।

কোম্পানির কার্যনির্বাহী সম্পাদক টিডি প্রশান্ত একটি অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন যে দপ্তরের জিনিসপত্র, মোবাইল ফোন, উৎপাদনের যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক যন্ত্র যাদের দাম বহু কোটি, সেগুলি হারিয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য কারখানার পরিকাঠামোগুলি, গাড়ি এবং গলফ খেলার যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশগুলির ক্ষতি হয়েছিল। যে আইফোনের বাক্সগুলি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত ছিল, সেগুলিও চুরি গেছে।

অতি সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, সংস্থাটি বিবৃত করেছে যে যা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তাদের প্রাথমিক অনুমানের থেকে কম। ইটি নাও এর সাংবাদিক চন্দ্র শ্রীকান্তের মতে, উইসট্রন ইন্ডিয়া তাদের ক্ষতির নতুন আনুমানিক হিসাবে ২৬ থেকে ৫২ কোটির কথা বলেছে। এবং প্রাথমিকভাবে অনুমানকৃত ৪০০ কোটিরও বেশি, এমনটা নয়। শ্রীকান্ত একটি ট্যুইটের মাধ্যমে জানান যে সংস্থাটিও বিবৃতি দিয়েছে যে উৎপাদন সরঞ্জাম ও গুদামগুলির কোনো বড় ক্ষতি হয়নি।

 

শ্রমিক বিভাগ বিলম্বিত বেতন প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করেন

উইস্ট্রন প্রস্তুতকারী দপ্তরে সংঘটিত ধ্বংসাত্মকতার ঘটনা সম্প্রতি নতুন মোড় নিয়েছে কারণ শ্রমিক বিভাগ দাবি করছে যে এই সংস্থাটি নিয়মিতভাবে তাদের কর্মচারীদের বেতন দিয়েছে এবং এই মাসে কেবল চার দিন দেরি হয়েছে।

শ্রম বিভাগের মুখ্য কার্যনির্বাহী কর্তা আক্রম পাশার মতে, তথ্য অনুযায়ী এই সংস্থা অত্যন্ত দ্রুত তাদের কর্মীদের বকেয়া বেতন দিয়ে দেয়, কেবল এই মাসে তাদের পারিশ্রনিক পাঠাতে মাত্র চার দিন দেরি হয়েছিল। পাশা বলেছেন, কেবলমাত্র পুলিশই তদন্ত করতে পারে যে কী হয়েছিল। আমরা তথ্য দেখেছি এবং সেখানে বেতন বন্টনে মাত্র চারদিন বিলম্ব ছিল।অনেকে দাবি করেছেন যে বহু মাস ধরে বেতন দেওয়া হয়নি কিন্তু তা সেই রিপোর্টে ছিল না

শ্রম বিভাগ এই ঘটনার গবেষণার জন্য আরো অনেক নথিপত্র চেয়েছে এবং সংস্থাটি এক সপ্তাহের সময় চেয়ে নিয়েছে প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য।

সংস্থাটির কর্মচারী সংখ্যা বর্তমানে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ এ বাড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে যে প্রতিবেদনগুলি প্রকাশ করেছে তা সম্পর্কে মুখ্য কার্যনির্বাহী বলেছেন যে, প্রতিবেদনগুলি হয়ত সত্য নয় কারণ সংস্থাটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে এবং কারখানায় তাদের নেওয়ার পূর্বে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সফটওয়্যারের ভ্রান্তির কারণে বেতন দানে চার দিন বিলম্ব হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, পূর্বে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি গ্রহণ করা হত এবং তাদের উপস্থিতির ভিত্তিতে মজুরি দেওয়া হত। যাইহোক, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে এই সংস্থাটি সফটওয়্যারে রুপান্তরিত হয়েছে যার জন্য উপস্থিতি নিবন্ধকরণের ক্ষেত্রে ভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

এমনকি কর্ণাটকের শ্রম বিভাগের মন্ত্রী শিবরাম হেব্বার বিবৃতি দিয়েছেন যে গত শনিবার যেখানে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল, অর্থাৎ অ্যাপেল কোম্পানির উইসট্রন অংশে পারিশ্রমিক দেওয়ার বিলম্বজনিত সমস্যাগুলি সম্পর্কে শ্রম আধিকারিকদের কিছু জানানো হয়নি।

 

বেঙ্গালুরুর কাছে উইস্ট্রন প্ল্যান্ট অ্যাপেল আইফোন উৎপাদনে জড়িত

অ্যাপেল দ্বারা নিযুক্ত অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক প্রস্তুতকারীদের মতই উইস্ট্রন প্রস্তুতকারী প্ল্যান্ট স্মার্টফোনের শ্রেষ্ঠ মডেলটি তৈরিতে জড়িত। বেঙ্গালুরুর কাছে যে কারখানাটি নরশাপুরে অবস্থিত সেটি একটি নতুন প্ল্যান্ট যেটি সম্প্রতি আইফোন এসই (২০২০) প্রস্তুত করা শুরু করেছিল। ৪৩ একর বিস্তৃত ক্যাম্পাসে প্রাথমিকভাবে ৩০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এই প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই অংশটি এই বছরের জুলাই মাসে খুলেছে।

আসল আইফোন এসই হল প্রথম ফোন যা ভারতে প্রস্তুত হয়েছল এবং এখন এখানে চারটি মডেল আছে, তার মধ্যে গত বছরের শ্রেষ্ঠ আইফোন ১১ এখানে উৎপাদিত হয়েছিল। নরশাপুরে উইসট্রন প্রস্তুতকারী সংস্থার পাশাপাশি অন্য উইসট্রন দপ্তরটি বেঙ্গালুরুর রাজধানীর বাইরের দিকের পিন্যা অংশে অবস্থিত, যেখান থেকে ২০১৭ সাল থেকে আইফোন এসই মডেলগুলি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এখানে প্রায় ২০০০জন নিয়মিত কর্মী ও ৫০০০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী নরশাপুর দপ্তর কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছেন। পুরাতন পিন্যা দপ্তর প্রায় ৩৫০০ হাজারের মত কর্মী নিয়োগ করে। নরশাপুর ও পিন্যা দপ্তরে যে আইফোন ও অন্যান্য গ্যাজেট প্রস্তুত করা হয় তা পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।

 

অভিযুক্ত SFI কমরেড গ্রেফতার

এই ঘটনার জেরে কলারের এসএসএফআই তালুকের সভাপতি কমরেড শ্রীকান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

চীনের প্রচ্ছন্ন চর ও ভারতের সর্বনাশসাধক

প্রখ্যাত পণ্ডিত সীতারাম গোয়েল লিখেছিলেন যে কমিউনিষ্টরা সবসময় বিদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাই তারা রাশিয়া, চীন, আমেরিকা যে কোন বিদেশী শক্তির দালালি করতে পারে, কিন্তু কখনও ভারতের সভ্যতাকে ভালোবেসে ভারতীয় হতে পারে না। তাই চীনের  যখন প্রয়োজন ছিল বিদেশী সংস্থাগুলির সামনে ভারতকে নিয়ে অপযশ ভীতি ছড়ানোর যাতে তারা ভারতে বিনিয়োগ না করে, তখন সেই কাজ করতে এগিয়ে এল সিপিএমের ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠন। ১৯৬২ তে তারা খোলাখুলি ভারতের বিরুদ্ধে চীনের পক্ষে বলেছিল। আজ অতোটা খোলাখুলি নয়, কিন্তু তাও চীনের হয়েই কি কাজ করছে না ভারতের কমিউনিষ্টরা?

সহায়তায় অঙ্কুশা। মতামত লেখকের, বঙ্গদেশ পত্রিকা দায়ী নয়।