ভ্যাকসিন মৈত্রীঃ চীনের গোঁসা উপেক্ষা করে ভারতের থেকে করোনার টিকা নিল বাংলাদেশ

0
686

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ভারতীয় সংস্থা কর্তৃক তৈরি ভ্যাকসিনগুলিই নিজের দেশে ব্যবহারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। তাদের পক্ষে চীনের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় বাংলাদেশ, চীনা করোনভাইরাস ভ্যাকসিন প্রত্যাখ্যান করে। এর কয়েকদিন পরে কমিউনিস্ট পার্টি অফ চীন, বাংলাদেশ তাদের দেশের ভ্যাকসিন ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের পিছনে ‘ভারতের প্রভাবকে’ দোষ দিয়েছে।

মঙ্গলবার চীন সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এই লেখাতে চীন ও বাংলাদেশের বিষয়গুলির মধ্যে ‘মধ্যস্থতা’ (পড়ুন প্রভাব বিস্তার) করার জন্য ভারতকে দোষ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই গ্লোবাল টাইমস মূলত চীনা কমিউনিস্টদের প্রোপাগান্ডার জন্যে ব্যবহৃত হয়, তাই একে বিশেষ প্রাধান্য দেবার প্রয়োজন নেই; কিন্তু এটা স্পষ্ট যে ভারতের সাফল্য চীনের গাত্রদাহের কারণ হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনা সরকারের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নগুলির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার সিনোভাকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনকে প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে মোদী সরকারের ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’র উদ্যোগে ভারতের তৈরি কোভিশিল্ড তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। বলা হচ্ছে যে বেইজিং অদ্ভুতভাবে বাংলাদেশকে সিনোভাক উৎপাদিত ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ব্যয় ভাগ করে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এরপরেই শেখ হাসিনার সরকার চীনা টিকা প্রত্যাখ্যান করে।

২০২০ সালের অক্টোবরের পর থেকে চীন সরকার করোনো ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য বাংলাদেশকে জোর দিয়েছিল। যে চুক্তির একটি শর্ত ছিল সিনোভাকের দ্বারা পরিচালিত ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলির ব্যয়ভার বাংলাদেশকেও ভাগ করে নিতে হবে, ওপ ইন্ডিয়া তাদের রিপোর্টে এই কথা উল্লেখ করেছে। ঢাকা চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করার পরে চীনা সংস্থাটি জানিয়েছিল, সিনোভাক নেবে এমন অন্য দেশগুলিকেও তাদের ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্যও তারা একই শর্ত রেখেছিল। তাই বাংলাদেশের জন্য নিয়মের ব্যতিক্রম হতে পারে না।

চীনা ফাঁদ বুঝতে পেরে বাংলাদেশ তার মিত্র ভারতের দিকে ঝোঁকে এবং এসআইআইয়ের সাথে চুক্তি করে। এক্ষেত্রে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক ডঃ এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বে নয়া দিল্লী, বেজিংকে দশ গোল দেয়। মোদীর সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।ব্যক্তিগত সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। অক্সফোর্ড – অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩০ মিলিয়ন ডোজ বাণিজ্যিক সরবরাহের জন্য জোটবদ্ধ হয় ঢাকা ও নয়াদিল্লী। ইতিমধ্যে তিন মিলিয়ন ডোজ বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় সরবরাহ করা হয়েছে।