গরু পাচারকাণ্ডের অন্যতম সক্রিয় হোতা তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা 

0
688

বঙ্গদেশ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গরু পাচার চক্র সক্রিয়। গরু পাচারকারী, বিভিন্ন তৃণমূল নেতা ও BSF এর কিছু অসাধু সদস্যের যোগসাজশে তৈরী এই গরু পাচার চক্রটি প্রতি বছর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের রমরমা অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সম্প্রতি এই গরু পাচার চক্রকে শেষ করার জন্য মাঠে নামে CBI এবং তদন্ত শুরু করে। তদন্তে একের পর এক উঠে আসে বিভিন্ন তৃণমূল নেতা ও BSF এর কিছু অসাধু সদস্যের নাম যারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গরু পাচারকারীদেরকে পাচারের সময়ে বিভিন্ন রকম সুবিধা করে দিয়েছে। 

২০২০ সালের ২১ শে সেপ্টেম্বর তারিখে CBI গরু পাচার সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে। CBI মামলার তদন্তের সূত্রে BSF এর ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের গরু পাচার চক্রের সাথে সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। এছাড়াও তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার নামও এসেছে এই গরু পাচার কাণ্ডে যার মধ্যে অন্যতম হলেন তৃণমূলের নেতা বিনয় মিশ্র। মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় CBI বিনয় মিশ্রকেও নোটিশ পাঠায়। একবার নয়, পরপর চার বার CBI নোটিশ পাঠানোর পরেও তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র তাতে কোনরূপ সাড়াই দেননি। 

চার বার নোটিশ পাঠানোর পরেও তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র কোন সাড়া না দেওয়ায় এবার CBI তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ পাওয়ার পরে বিনয় মিশ্রের হাজিরা দেওয়ার কথা। তা না করাতেই এবার সরাসরি গ্রেফতারের মুখোমুখি হবেন বিনয় মিশ্র। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ লোক বলে পরিচিতি রয়েছে বিনয় মিশ্রের। অন্যদিকে তদন্তে CBI খুঁজে পেয়েছে যে এই গরু পাচারকাণ্ডের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করতো তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র। ফলে স্পষ্টভাবেই গরু পাচারকাণ্ড নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে তৃণমূল। এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে নেটিজেনদের মধ্যে ইতিমধ্যেই অনেক আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে যা বিধানসভা নির্বাচনের মাঠে দৃশ্যতই বেশ প্রভাব ফেলবে।