জাতীয় পতাকা অবমাননার জের, টুইটার কর্তৃপক্ষ বন্ধ করল ৫৫০-এর বেশি অ্যাকাউন্ট

0
486

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ভুয়ো খবর ও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ৫৫০টিরও বেশি অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করল টুইটার। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মার্চের সময় যে তথাকথিত ভণ্ড গুণ্ডা কৃষকরা যে বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল, তার জেরেই এই অ্যাকাউন্টগুলি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে টুইটারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, টুইটার খুঁজে খুঁজে সেইসব অ্যাকাউন্টগুলিকেও বের করেছে যেগুলি বিক্ষোভ চলাকালীন মিডিয়া পলিসিকে ম্যানুপুলেট করে নিজেদের কাজে লাগিয়েছে।

টুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “যারা হিংসা ছড়াবে, মিডিয়ার অপব্যবহার করবে ও হুমকি দেবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।” টুইটারের নিয়ম ও ট্রেন্ড ভঙ্গকারী আর উস্কানী দিচ্ছে এমন দেখলে সেইসব অ্যাকাউন্টগুলিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করার কথাও বলেছেন তিনি। মুখপাত্র আরও বলেছেন, “প্রযুক্তি ও মানবিক পর্যালোচনা করে টুইটার ব্যাপকভাবে কাজ করেছে। টুইটারের নিয়ম ভঙ্গকারী এমন শত শত অ্যাকাউন্ট এবং টুইটগুলির ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংস্থা। স্প্যাম এবং প্ল্যাটফর্ম ম্যানুপুলেশনের সঙ্গে জড়িত ৫৫০ টিরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে টুইটার।”

এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি আরও জানিয়েছে যে, যেসব টুইট কৃত্রিম এবং মিডিয়া নীতি লঙ্ঘনকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে সেই সব অ্যাকাউন্টগুলিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। টুইটার গোটা পরিস্থিতির দিকে ভীষণভাবে সতর্কতার সঙ্গে নজর রাখছে। যদি হিংসা ও উস্কানি ছড়ানো নিয়ে কোনও অভিযোগ আসে, তবে সেগুলিও খতিয়ে দেখবে টুইটার।

২৬ জানুয়ারি আন্দোলনকারীরা দিল্লিতে প্রবেশের জন্য ব্যারিকেড ভেঙেছিল। এদিন কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুরও করা হয়েছে।ঘটনায় বেশ কিছু সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ও ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত ২৫টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায়। প্রায় ৪০০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছে। এই হিংস্রতার জেরে দিল্লি পুলিশ এখনও অবধি ২০০ জনকে আটক করেছে।

এই উত্তেজনাকর আবহে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদ অভিযান বাতিল ঘোষণা করেছেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব। ইতিমধ্যেই প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে বিভিন্ন মহল অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। শুধু তাই নয়, আন্দোলনরত সংগঠনগুলির মধ্যে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু করেছে। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনাকে অনেকেই ঐতিহাসিক ‘কালো দিন’ বলে চিহ্নিত করেছেন।