“ফটটু ছেলে” এবং “বোল্ড মেয়ে”; সিনেমার চোখে বাঙালি নারী-পুরুষ

“ভিকি ডোনার” আমার অত্যন্ত প্রিয় সিনেমা, তবে বারবার কোন সিনেমা দেখতে থাকলে এমন অনেক ডায়লগ কানে বাজতে থাকে যেগুলো হয়তো এর আগে চোখ এড়িয়ে গেছিল। ভিকি ডোনারের একটা অংশে ভিকি তার প্রেমিকা অসীমা-কে বলছে- “বঙ্গালী তো ফটটু হোতে হ্যা। ফাট যাতি হ্যা উনকি!” উক্তিটা বাঙালি পুরুষ সম্পর্কে। 5-6 বার সিনেমাটা দেখার পর হঠাৎই এই উক্তিটা আবিষ্কার করে আমি চমকে উঠলাম। তবে আমার চমকের আরো বাকি ছিল। ওই সিনেমারই একটা পর্যায়ে ভিকির মা বলছে- “পাতা হ্যা কিতনি dominating nature হোতি হ্যা উনকি!” এই উক্তিটি অবশ্যই বাঙালি নারী সম্পর্কে। এরপরেই ভিকির মায়ের আক্ষেপ- “পেহলে সাস কে আগে দবো, ফির বঙ্গালী বহু কে আগে দবো…”  লাইনগুলো আমায় ভাবিয়ে তুলল। বাকি ভারতে আমাদের বাঙালিদের পরিচয় কি? আমাদের ছেলেরা “ফটটু” কিন্তু মেয়েরা “dominating”? বাঙালি সংস্কৃতি কি পুরুষদের এতটাই “মেয়েলি” করে তুলেছে যে মেয়েরা পুরুষের ভূমিকা পালনে বাধ্য হচ্ছে? নাকি সবটাই আবেগপ্রবণ অতি-কল্পনা?

এরপর থেকে একটা অদ্ভুত “কান_খুলে_যাওয়া”-র মত ব্যাপার ঘটল। সিনেমা দেখতে দেখতে এমন অনেক কিছুই কানে আটকে যেতে লাগল যেগুলো হয়তো আগে লক্ষ্যই করিনি কখনো। “পিকু” সিনেমায় পিকু-র বাঙালি পিতা তার মেয়ের এক প্রেম-প্রত্যাশীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করছেন সবার সামনে চিৎকার করে তার মেয়ের যৌন adventure-এর কথা বলে। বাঙালি পিতা তার মেয়ের যৌনজীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন- এমনটা আর কোন সিনেমায় দেখেছি? মনে পড়ে গেল নামটা। “ভিকি ডোনার”। সেখানে বাঙালি পিতা তার মেয়েকে পাঞ্জাবি প্রেমিকের সাথে প্রেম করা থেকে নিরস্ত করতে বোঝাচ্ছেন যে বাঙালি পুরুষরা “are good in bed too”! জানার ইচ্ছা রইল, সিনেমার বাইরে কজন বাঙালি পিতা তার মেয়ের যৌনজীবন নিয়ে তার সাথে আলোচনা করেন? “বরফি” সিনেমাটা মনে পড়ছে? বাঙালি বিবাহিতা নারী স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে দেখা করতে আসছে তার নেপালি খ্রিস্টান প্রেমিকের সাথে? বাঙালি মেয়েরা তো অসাম্প্রদায়িক লিবারেল। জাতি-ধর্ম না দেখে, স্বামী ছেড়ে প্রেমিকের ঘরে আসতেই পারে। ওই বরফি-তেই দেখানো হয়েছে যে বাঙালি পিতা তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে ঝিলমিল-কে অপহরণ করাচ্ছেন কেবল সম্পত্তির লোভে। “বরফি”-তে দেখানো এই বাঙালি চরিত্রগুলো জনমানসে কি ধারণা তৈরি করে বাঙালি জাতির সম্বন্ধে? হয়তো অনেকেই এগুলোকে বিচ্ছিন্ন সমাপতন হিসেবে দেখবেন। ভাববেন, একটার সাথে আরেকটার কোন সম্পর্ক নেই। বাস্তবে কিন্তু একই ধরণের জিনিস বারবার বিভিন্ন জায়গায় দেখাতে থাকলে, সেটা একটা stereotype তৈরি করে ফেলে। এইভাবেই বাঙালি পুরুষের একরকম আর বাঙালি মেয়েদের অন্যরকম দুটো আলাদা আলাদা stereotype তৈরি হয়ে গেছে।

আর সেটার জন্য যে শুধু হিন্দি সিনেমাই দায়ী, এমন নয়। কমল হাসানের তামিল সিনেমা বিশ্বরূপম-এ দেশদ্রোহী ভিলেন চরিত্রের নাম ছিল “দীপক চ্যাটার্জি”! ভারতবর্ষ বহু জাতির, বহু পদবীর দেশ। এত জাতের এত পদবীর মধ্যে একটা বাঙালি পদবীকেই “anti-national” হিসেবে বেছে নেওয়াটা কি একেবারেই কাকতালীয় একটা ব্যাপার? নাকি আস্তে আস্তে ভারতীয় জনমানসে একটা stereotype তৈরি করা হচ্ছে বাঙালি সম্বন্ধে?

হিন্দি সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গেলে আরো বেশ কিছু প্রশ্ন না তুললেই নয়। হিন্দি সিনেমাতে তো এত বাঙালি নায়িকা এসেছেন। রাখি, কাজল, রানী মুখার্জি থেকে শুরু করে সুস্মিতা সেন, বিপাশা বসু অব্দি। অথচ এখনো অব্দি বাঙালি নায়ক এসেছেন কেবল একজন, মিঠুন চক্রবর্তী। কেন? হিন্দি সিনেমার চোখে “সিং ইজ কিং”, পাঞ্জাব-দা-শের” কিন্তু বাঙালি বাবু মানেই মাঙ্কিক্যাপে কাবু। কেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজাটার থেকেও জরুরি হল প্রশ্নগুলো করা। এবং সঠিক মঞ্চে এই প্রশ্নগুলো তুলে ধরা। বলিউডে দক্ষিণ ভারতীয় নায়ক নেই কেন, সেই প্রশ্ন কিন্তু ভারতের ইংরেজি মিডিয়া তুলেছে। জাতীয় স্তরের মিডিয়াতে এত বাঙালি থাকা সত্ত্বেও কিন্তু এই প্রশ্নটা করা হয়নি যে বলিউডে বাঙালি নায়ক নেই কেন? বা বলিউডি সিনেমার নায়িকার চরিত্রগুলো বাঙালি হলেও, হিরোর চরিত্রগুলো বাঙালি হয় না কেন?

বাঙালি নায়িকাদের কথা উঠলে আরো কিছু নায়িকাদের নাম করা দরকার। রানী চ্যাটার্জি, তনুশ্রী চ্যাটার্জি, মোনালিসা, পূর্বা, প্রিয়াঙ্কা মিশ্র, রিঙ্কু ঘোষ… এই নামগুলো চেনেন? এরা সকলেই সিনেমার নায়িকা। ভোজপুরী সিনেমার বাঙালি নায়িকা। ভোজপুরী সিনেমায় এত বাঙালি নায়িকা আছে, বাঙালি নায়ক কজন? ভোজপুরী সিনেমার এত নায়িকা বাঙালি কেন, যেখানে স্বয়ং উত্তর ভারতের মেয়ে শ্বেতা তিওয়ারি ভোজপুরী সিনেমা সম্বন্ধে বলেছেন- “ভোজপুরী সিনেমায় মেয়েরা ভোগের বস্তু ছাড়া আর কিচ্ছু নয়”!

এই প্রসঙ্গে সিনেমার বাইরে আরো কিছু আলোচনা না করলেই নয়। অতি সম্প্রতি একটি ইউ টিউব ভিডিও বাজারে এসেছিল, যেখানে দিল্লির লোকদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বাঙালি সম্বন্ধে তারা কি ভাবে। নানা মুনির নানা উত্তরের মধ্যেও একটা উত্তর বারবার ভেসে উঠছিল। “হট লারকিয়া”! বাঙালি মানে “হট লারকিয়া”! প্রবাসী বাঙালি মেয়ে হিসেবে অবাঙালীদের মুখে ইউটিউবের বাইরেও কিছু বিশেষণ শুনেছি বাঙালি মেয়েদের সম্পর্কে। বিশেষণ দুটো হল “bold” এবং “broadminded”! ভারতীয় সমাজে এই শব্দ দুটো কিসের ইঙ্গিতবাহী, কাউকে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। অথচ এই ধরণের বিশেষণ পেয়ে বাঙালি শিক্ষিত সমাজ, পুরুষ-নারী নির্বিশেষে আনন্দে ডগমগ। ওরা আমাদের “hot” ভাবে, “bold” ভাবে, “broadminded” ভাবে। এই শব্দগুলোর প্রতিটাই তো আধুনিকতার পরাকাষ্ঠা। আর বাঙালি মেয়েরা তো জন্ম হইতেই bold এবং broadminded হবার জন্য বলিপ্রদত্ত। আধুনিক হবার নেশা আমাদের এতটাই যে “hot লারকিয়া”র যোগানদাতা হওয়াটা যে বাঙালি মেয়েদের স্রেফ ভোগ্যপণ্যে পরিণত করা, এই সহজ ব্যাখ্যাটা আমাদের মাথাতেই আসে না। ভোগ্যপণ্য হওয়ায় গর্ব বোধ করাটাই আমাদের কাছে এখন আধুনিকতার নতুন সংজ্ঞা।

আরেকটা সিনেমার নাম নেওয়া হয়তো এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। পিঙ্ক। এই সিনেমাটিকে মেয়েদের অমর-আকবর-এন্টোনির গল্পও বলা যায়। গল্পের তিনটে চরিত্র তিন ধর্মের। মিনাল অরোরা-ফলক আলী-এন্ড্রিয়া তারিয়াং। একজন পাঞ্জাবি হিন্দু, একজন মুসলিম আরেকজন উত্তর-পূর্বের খ্রিস্টান। এই সিনেমায় যেটা আমার বিশেষভাবে চোখ টানল সেটা হল এই খ্রিস্টান চরিত্রটিকে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দা দেখানোর ব্যাপারটা। হ্যাঁ, অবশ্যই উত্তর-পূর্বের মঙ্গলয়েড চেহারা-বিশিষ্ট মেয়েরা ভারতের বহু জায়গায় টোন-টিটকিরির শিকার হয়। কিন্তু তার চেয়েও ভয়াবহ শোষণের শিকার হয় আমাদের বাঙালি মেয়েরা। হরিয়ানাতে কন্যাভ্রূণ হত্যার ফলে ছেলেদের জন্য বউ পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলা থেকে মেয়ে আনো। দিল্লিতে বাড়ির কাজ করার জন্য বাচ্চা মেয়ে দরকার? বাংলা থেকে মেয়ে আনো। নিঠারি কান্ড মনে পড়ছে? যেখানে মূল অভিযুক্ত বাড়ির মালিক পান্ধেরি এবং তার ভৃত্য সুরিন্দর কোহলি মিলে বাড়ির কাজে বাচ্চা মেয়েদের নিয়ে আসত। আর তারপর তাদের মাংস রান্না করে খেত। এই দুই অভিযুক্তের হাতে মারা পড়া বালিকাদের একটা বিরাট অংশই ছিল বাঙালি। রিম্পা হালদার, পিঙ্কি সরকার, দীপালি সরকার সহ অনেক বালিকাকে চরম নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। মানুষ হিসেবে অনেকেই এই অমানুষিক অপরাধে আঁতকে উঠেছেন। কিন্তু কজন বাঙালি এর প্রতিক্রিয়ায় বাঙালি হিসেবে আঁতকে উঠেছেন? এখানে বাঙালি শিশুরা শুধু “ভোগের জিনিস” নয়, “খাবার জিনিস”ও বটে! বিরলতম অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও এইসব নরপিশাচদের এখনও ফাঁসি হয়নি। কজন বাঙালি বুদ্ধিজীবী প্রতিবাদ জানিয়েছেন? ভারতের যে কোন প্রান্তের যৌনপল্লীতে যান, যৌনকর্মীদের এক বিরাট অংশ বাংলা থেকে পাচার হয়ে যাওয়া মেয়ে। নারী পাচারে আমরা প্রথম। বাঙালি মেয়েদের এই বিরাট যৌন শোষণ, বাকি ভারতে বাঙালি মেয়েদের এই objectification-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে কি একটাও বাঙালি চরিত্র রাখা যেত না পিঙ্ক সিনেমায়? সিনেমার পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী কি জানেন না, এইসব কারণে উত্তর ভারতে বাঙালি মেয়েদের ঠিক কি চোখে দেখা হয়? Objectification কি শুধু উত্তর-পূর্ব ভারতের মেয়েদের হয়? পূর্ব ভারতের বাঙালি মেয়েদের হয় না? নাকি উনি লজ্জা পান স্বজাতের মেয়েদের অসহায়তা দেখাতে?

তবে হিন্দি সিনেমা বাঙালি মেয়েদের যা দেখিয়েছে, কলকাতার বাংলা সিনেমা দেখিয়েছে তারও হাজার গুণ বেশি। অনেক হিন্দুত্ববাদীই বলে থাকেন, বলিউডি সিনেমার মাধ্যমে নাকি “লাভ জেহাদ” promote করা হয়। কিন্তু কলকাতার লিবেড়াল-চূড়ামনি চিত্র-পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় “বিসর্জন” সিনেমায় যা দেখিয়েছেন, সেটাকে হয়তো হিন্দুত্ববাদীরা “শুক্র জেহাদ” বলতে পারেন। “বিসর্জন” গল্পটাকে একটা “হিন্দু-মুসলিম প্রেমকাহিনী” বলা যায়। অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক প্রেমের নিয়ম মেনে এখানেও প্রেমিকাটি হিন্দু এবং প্রেমিক মুসলমান। হিন্দু প্রেমিকার চরিত্রে আছেন জয়া আহসান এবং মুসলিম প্রেমিকের চরিত্রে আবীর চ্যাটার্জি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও আছেন এই সিনেমায়, তার চরিত্রটি একজন স্থানীয় প্রভাবশালী হিন্দুর, যার নাম গণেশ। জয়া আহসানের চরিত্রের নাম পদ্মা। পদ্মা একজন হিন্দু বিধবা, যে আহত নাসির (আবির চ্যাটার্জি) কে উদ্ধার করে তার সেবা-শুশ্রূষা করে। নাসিরের সেবা করতে করতে একসময় পদ্মা নিজেও নাসিরের প্রেমে পড়ে যায়। যদিও সে জানে নাসিরের একটি প্রেমিকা আছে, নাম আয়েশা। তবে “অসাম্প্রদায়িক ভালোবাসা”-র কাছে এসব কোন বাধাই নয়। অথচ পদ্মাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে গণেশ (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়), শুধুমাত্র পদ্মাকে বিয়ে করার জন্যই এখনো অবিবাহিত রয়ে গেছে সে। কবে পদ্মা হ্যাঁ বলবে, তবেই গণেশ বিয়ে করবে। পদ্মার মনে কিন্তু গণেশ নয়, আছে নাসির। গণেশের বিয়ের প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করে পদ্মা। আহত নাসির সুস্থ হয়ে ওঠে একদিন, ফিরতে চায় আয়েশার কাছে। তবু তাকে ছাড়তে মন চায় না পদ্মার। কিন্তু ছেড়ে তো দিতেই হবে, হিন্দু বিধবা পদ্মার সাথে তো মুসলমান নাসিরের বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। পদ্মা ঠিক করে সে গণেশের প্রস্তাবে সাড়া দেবে, বিয়ে করবে গনেশকে। গনেশকে বিয়ের ঠিক আগে নাসিরের সাথে মিলিত হয় পদ্মা। উদ্দেশ্য মহান, গণেশের হবু স্ত্রী পদ্মার গর্ভে নাসিরের সন্তান। সন্তানকে আদরে যত্নে ভরিয়ে রাখে গণেশ। সে জানতেও পারে না, যে সন্তানকে সে নিজের ভাবছে, তা আসলে তার নয়, নাসিরের। এই গল্পের রচনা এবং সিনেমার পরিচালনা, দুটোই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়-এর। গণেশ-এর ভূমিকায় অভিনয় ও করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সিনেমার নাম “বিসর্জন”, এবং সিনেমার গল্পটা যেরকম, তাতে করে কাদের আত্মসম্মান “বিসর্জন” গেল, সেটা বুঝতে অসুবিধা না হলেও, ভীষণ অস্বস্তি হয়।

মজার ব্যাপার হল, যে-কটা সিনেমার উল্লেখ করলাম, তাদের প্রায় সকলেরই পরিচালক বাঙালি, হিন্দু এবং পুরুষ। “ভিকি ডোনার” এবং পিকু-এর পরিচালক সুজিত সরকার, বরফি-র পরিচালক অনুরাগ বসু, পিঙ্ক-এর পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। নিজেরাই নিজেদের মর্যাদা এভাবে টেনে নামালে অন্যদের দোষ দেব কিভাবে? এইসব বাঙালি পরিচালকরা সচেতন ভাবে এগুলো করছেন কিনা, বলতে পারি না। তবে এটুকু জানি যে এদের মধ্যে একটা অদ্ভুত মিল আছে। এরা যেমন ধর্মীয় দিক দিয়ে অসাম্প্রদায়িক, তেমনি জাতিগত দিক দিয়েও অসাম্প্রদায়িক। তাই পাঞ্জাবীরা যেমন খুব সচেতনভাবে হিন্দি সিনেমাকে ব্যবহার করে নিজেদের বীরোচিত image গড়ে তুলেছেন, বাঙালিদের সেরকম image গড়ে তোলার তাগিদ এইসব বাঙালি পরিচালকরা অনুভব করেন না। বলিউডের বাঙালি পরিচালকরা হয়তো নিজেদের বাঙালির ব্র্যান্ড-এম্বাসাডর মনে করেন না, তাই সিনেমা-সিরিয়ালে বাঙালিকে উপহাসের পাত্র না বানিয়ে বাঙালির গরিমা-প্রচারের কোন দায় তাদের নেই।  সেজন্যই বাঙালি পরিচালকের হাতে পড়েও আমাদের নায়িকারা শরীর-সর্বস্ব আর আমাদের নায়করা অদৃশ্য। অবশ্য বাঙালি নায়কদের দেখা গিয়েই বা কি লাভ? সিনেমা-সিরিয়াল-ওয়েব সিরিজ ইত্যাদির মাধ্যমে বাঙালি পুরুষের মাথায় তো দুর্বল, অকর্ম্মন্য “ফটটু ছেলে”-র ছাপ্পা মেরে দেওয়া হয়েছে। আপনারাই বলুন, “হট লারকিয়া”-দের সাথে কি আর “ফটটু ছেলে”-দের মানায়?

 

তথ্যসূত্র:-

 

১) শ্বেতা তিওয়ারি যা বললেন ভোজপুরী সিনেমা নিয়ে- https://www.google.com/amp/s/m.timesofindia.com/entertainment/bhojpuri/movies/news/Shweta-Tiwari-Bhojpuri-cinema-has-no-respect-for-women/amp_articleshow/46618964.cms

 

2) বাংলার মেয়ে হরিয়ানার বধূ https://www.google.com/amp/s/indianexpress.com/article/cities/delhi/police-bust-trafficking-racket-muslim-girls-from-bengal-given-hindu-names-sold-to-haryana-men/lite/

 

৩) বাংলার মেয়ে হরিয়ানার বধূ- https://www.google.com/amp/s/www.news18.com/amp/news/india/its-so-common-for-haryanas-men-to-buy-and-sell-wives-that-no-one-cares-anymore-1824341.html

 

৪) নিঠারি কাণ্ডে মৃত পিঙ্কি সরকার- https://www.google.com/amp/s/m.timesofindia.com/india/nithari-killings-pandher-koli-sentenced-to-death-in-pinky-sarkar-case/amp_articleshow/59735987.cms

5) Rimpa Haldar case- https://www.hindustantimes.com/india/final-hearing-begins-in-rimpa-haldar-case/story-If9zgpleLs3TFefcxsOAJI.html

6) বলিউডে দক্ষিণ ভারতীয় নায়ক নেই কেন- https://www.firstpost.com/entertainment/what-does-bollywood-have-against-the-south-indian-hero-503929.html