৫ বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ মমতা ঘনিষ্ঠ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে

0
541

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে। বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক তথা বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কৃষকদের ধানের উৎপাদনমূল্য দেওয়া হয়নি। গরিবদের চালও দেওয়া হয়নি। এই ব্যাপক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী।”

রবিবার সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে বাইপাসের ধারে একটি বেসরিকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে তিনি জানান, ‘কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনে বিভিন্ন সোসাইটি এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো। কিন্তু কজন কৃষকদের থেকে ধান কেনা হয়েছে তাঁর সঠিক তথ্য রাজ্যের হাতে নেই।” তিনি আরও জানান, ‘ জানাতে হবে যে কৃষকদের কত টাকা দেওয়া হয়েছে চেকের মাধ্যমে? আর কত টাকা নগদে দেওয়া হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনার তালিকাও তুলে দিতে পারেনি রাজ্য।”

কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ‘গরিবদের জন্য ত্রিপলের টাকা এসেছে, কিন্তু তা গরিবদের হাত পর্যন্ত পৌঁছায়নি। মোদীজি গরিবদের জন্য চাল পাঠান, কিন্তু তা গরিবরা হাতে পাননা। প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার মতো দুর্নীতি করা হয়েছে। আর এই কাণ্ডে জড়িত রয়েছে স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রী ।”

কৈলাস বিজয়বর্গীর বক্তব্য, ‘২০০৬ সালে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ লক্ষ টাকা। ২০১১ সালে সেই সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ লক্ষ টাকা। ২০১৬ সালে পৌঁছায়১ কোটি ৫২ লক্ষ এবং ২০২১ সালে ৬ কোটি ২৯ লক্ষ। এটা তিনি নিজেই নিজের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশেও ওনার সম্পত্তি আছে বলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারা গিয়েছে। এই দুর্নীতিতে মতিবুর রহমান, মহেন্দ্র আগরওয়াল ও কালীদাস সাহার নাম‌ও জড়িত আছে। এঁরা সকলেই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত।”