বাংলাদেশের পাবনায় কালী প্রতিমা ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুট,ক্ষুব্ধ ও ভীত স্থানীয় হিন্দুরা

0
790

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের পাবনায় আমিনপুর থানার আহম্মদপুরের কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার পর শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

বিডি নিউজ ২৪ডটকম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা গভীর রাতে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও লুট করে। সুজানগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুবোধ কুমার নটো এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। ভেতরে ঢুকে তারা কালী প্রতিমার গায়ের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে এবং প্রতিমা ভাঙচুর করে। শুক্রবার দিন সকালে স্থানীয় হিন্দুরা মন্দিরে এসে কালী প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়। এর পরপরই তারা মন্দির কমিটির লোকজনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে। বিষয়টি স্থানীয় এলাকায় জানাজানি হবার পরে স্থানীয় হিন্দুদের মাঝে একসঙ্গে ক্ষোভ ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে ও নিত্যনতুন হিন্দু নির্যাতনের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।

মন্দির কমিটির যোগাযোগ করার পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ। আমিনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে। আহম্মদপুর বারোয়ারী কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিলীপ চন্দ্র সুত্রধর বাদী হয়ে শুক্রবার দিন সকালে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক হিন্দু পরিবারের জমি-সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে তার বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় মুসলিম দখলদাররা।

এই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ও এরূপ হিন্দু নির্যাতনের ধারাবাহিকতার এটি একটি অন্যতম ছোট দৃশ্য। অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে আমিনপুর থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন যে প্রতিমার গায়ে যেসব স্বর্ণালঙ্কার ছিল সেগুলো লুট হয়েছে এবং মন্দিরের মা কালীর প্রতিমাটি ভাঙচুর করা হয়েছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাদল ঘোষ ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কার্যকর্তারা ছাড়াও পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে এই আশ্বাসের সত্যতা যে কতোটা তা বাংলাদেশের হিন্দুদের বর্তমান পরিস্থিতি দেখলেই আঁচ করা সম্ভব।