প্রশাসন উদাসীন, সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ USA-র বাংলাদেশী হিন্দুরা

0
727

বঙ্গদেশ ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। হামেশাই হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচার, মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসে সীমান্তের ওপার থেকে। সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, এই ঘটনাগুলিতে হাসিনা প্রশাসনের সম্পুর্ণরুপে মদত রয়েছে। এবার এই অভিযোগ করে অবশেষে সংবাদমাধ্যমের দ্ব্বারস্থ হল ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ইউ.এস.এ’৷

গত ২৩শে আগস্ট সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে তারা লকডাউন চলাকালীন সংখ্যালঘুদের ওপর ২৭ টি জেলার ৩৬ টি হামলা, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার ঘটনা তুলে ধরেন৷ একইসঙ্গে ৭ টি এমন ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয় যাতে একসঙ্গে ৩০ টি পরিবারের ওপর অত্যাচার ও দেশত্যাগের নির্দেশ, ফেসবুকে মিথ্যে পোস্ট দিয়ে মারধোরের অভিযোগ করা হয়। জানানো হয় যে প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসন ছিল উদাসীন, তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

সম্মেলনটিতে তথ্য দেওয়া হয় যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ছিল দেড় কোটি। দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুন হলেও সংখ্যালঘুদের সংখ্যা এখনো বাড়েনি। একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামের পর কার্যত ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ৷ এই তথ্যগুলি সকলের সামনে প্রকাশ করার পর প্রশ্ন করা হয়, এমন মুক্তিযুদ্ধের কি সত্যিই দরকার ছিল?

সম্মেলনের শেষে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই জঘন্য প্রক্রিয়া শীঘ্রই বন্ধ না করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশও পাকিস্তানের মত একটি জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ সেই রাষ্ট্রে প্রগতিশীল মুসলমানদের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে৷

সম্মেলনটির মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ইউ.এস.এ’ সংবাদমাধ্যমকে মানবিকতার খাতিরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন৷ তাঁদের দাবি, দেশে সংখ্যালঘু নীপিড়ন বন্ধ হলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নামই উজ্জ্বল হবে