‘মেরা ভারত মহান’, যুদ্ধ পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করেই চীনা নাগরিকদের প্রাণে বাঁচাল ভারতীয় সেনা

0
536

বঙ্গদেশ ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ভারতীয় সেনা। অরুনাচল প্রদেশের ভারত-চীন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ১৭ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় যেখানে উষ্ণতা হিমাঙ্কের নিচে সেই স্থান থেকে পথভ্রষ্ট তিন চীনা নাগরিককে উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা। তারা পথ ভুল করে ভারতের সীমানায় চলে আসেন। ঠিক তখনই সেনারা তাঁদের রাস্তা আটকায়।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। তিনজন চীনা নাগরিক পথ ভুলে ভারতের দিকে চলে আসে। তখন সেনারা তাঁদের পথ আটকিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। শূন্যের কাছাকাছি তাপমাত্রা, তারপর দীর্ঘক্ষণ জল ও খাবারের অভাব, এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেন ভারতীয় সেনা। গরম কাপড়, খাবর, ওষুধ ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয় তিন নাগরিকের জন্য। তাঁরা একটু সুস্থ বোধ করলে সঠিক পথ চিনিয়ে দেওয়া হয়।

চীনের ও ভারতের এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও ভারতের কাছ থেকে এমন সাহায্য পেয়ে হতবাক হয়ে যান চীনা নাগরিকরা। ভারতের এই সাহায্যের জন্য তাঁরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ভারতের সাথে চীনের সংঘাত দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। চীন ভারতকে ক্রমাগত হুমকি দিয়েই চলেছে।

‘চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি’ 29 ও 30 আগস্টের মধ্যবর্তী রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগ তসোয়ের দক্ষিণ তীরে বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার অনতিপরেই উভয় দেশের মধ্যে ছাপা আগুনে ঘৃতাহুতি ঘটে।

গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের কয়েক মাস পরেই নতুন করে আবার সীমান্তকেন্দ্রিক বিবাদে অগ্নিসংযোগ ঘটে। এই সংঘর্ষে 20 জন ভারতীয় এবং অপ্রকাশিত সংখ্যক চীনা সেনা নিহত হয়েছিল বলে খবর পাওয়া যায়।

শুক্রবার গ্যালওয়ান উপত্যকা সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মস্কোয় চীনা জেনারেল ওয়েই ফেংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে শনিবার সকালে চীন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে ভারত ও চীনা সীমান্তে উত্তেজনার আবহ তৈরি করার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ভারত। চীনা মন্ত্রক হুঙ্কার দিয়ে বলেন,”এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় চীন। চীনের সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষা করার জন্য আত্মবিশ্বাসী ও যুদ্ধ করতে প্রস্তুত আছে।”