ট্রাম্প ই পারবে সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে আমেরিকাকে বাঁচাতে, বললেন লাদেনের ভাইঝি

0
777

৭ সেপ্টেম্বর: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ আমেরিকা। আতঙ্কের সেই ভয়ানক হয়তো কখনোই ভুলতে পারবে না আমেরিকা। মার্কিন দম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেন। আমেরিকার বিমান হাইজ্যাক করে সেই বিমান দিয়ে হামলা চালানো হয় আমেরিকার সবথেকে উঁচু দুই ইমারত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। আর সেই রকমই হামলা ফের হতে পারে বলেই দাবি ওসামা বিন লাদেনের ভাইঝি নুর বিন লাদিনের। জানালেন, আগামী নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হারলে ফের ৯/১১-র ধাঁচে হামলা হতে পারে আমেরিকায়।

সংবাদমাধ্যমে এই প্রথম কোনও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে দাবি করেছেন, একমাত্র ট্রাম্পই পারেন ৯/১১-র মতো কোনও হামলা ঠেকাতে। ডেমোক্র‌্যাট প্রার্থী জো বিডেন এই ধরনের হামলা ঠেকানোর পক্ষে উপযুক্ত নন। তাঁর হুঁশিয়ারি, “মৌলবাদী ইসলাম আমাদের সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে। এটি দুঃখজনক যে, আমেরিকার বামপন্থীরাও এই মতবাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে।” সুইজারল্যান্ডে বসবাস করলেও ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা জানানোর পর থেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে আসছেন নুর বিন লাদেন (৩৩)। নুরের মা সুইস লেখক কারমেন ডুফুর, বাবা ওসামার সৎ ভাই ইয়েসলাম বিন লাদেন। ১৯৮৮ সালে নুরের মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ৯/১১ হামলার পর ২০০৪ সালে লাদেন পরিবার নিয়ে বই লিখে ব্যাপক খ্যাতি পান নুরের মা কারমেন। যদিও কুখ্যাত কাকার থেকে দূরত্ব রাখতে পদবির বানান অন্য রকম লেখেন নুর। তাঁর কটাক্ষ, “ওবামা-বিডেনের জমানায় ইসলামিক স্টেট ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পর ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করে তারা। কিন্তু ট্রাম্প দেখিয়েছেন তিনি আমেরিকাকে, আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম। পুরো পশ্চিমী সভ্যতা রক্ষার জন্যও আবার ট্রাম্পকে নির্বাচিত করা উচিত। তিন বছর বয়স থেকে বছরে অনেকবার আমেরিকা গিয়েছি।” আমেরিকার বাইরে বাস করলেও নিজেকে তিনি মার্কিন বলেই মনে করেন, জানান নুর।

উল্লেখ্য, ৯/১১-এর পর যখন বিশ্বের সর্বত্র তন্নতন্ন করে আল-কায়দা প্রধানের খোঁজ করছিল আমেরিকা, তখন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাচ্ছিল এই জঙ্গি নেতা৷ গুণাক্ষরেও কাউকে বুঝতে দেয়নি নিজের উপস্থিতি৷ কিন্তু কথাতেই রয়েছে, ‘কর্মের ফল পেতেই হবে’৷বিশ্বের ত্রাস লাদেনের গন্ধ পেয়েছিলেন শাকিল আফ্রিদি নামে এক চিকিৎসক ৷ সেই খবর তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে৷ ব্যস এইটুকুই! তারপরের ঘটনা সকলেই জানে৷ ২০১১-র ২ মে লাদেনকে হত্যা করে ইউএস নেভি সিল৷

আমেরিকায় নির্বাচনী যুদ্ধের দামামা বেজে গেছে ইতিমধ্যেই। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন লড়াইটা এবার সহজ নয় ট্রাম্পের জন্য । এমনিতেই করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থতা ও আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য দেশের মানুষ তাঁর উপর ক্ষুব্ধ, তার মধ্যে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে জো বিডেনের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তি। কিন্তু প্রচারে কিছু কমতি রাখছেন না ট্রাম্প। তার মধ্যেই এবার ওসামা বিন লাদেনের ভাইঝির সমর্থন পেলেন তিনি।