সাবা নাকভির পুরানো টুইট হ্যাশট্যাগ ‘ব্রাহ্মণ সম্বর পাউডার’ রাতারাতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল

0
465

বঙ্গদেশ ডেস্ক: শুক্রবার, অরুণ পুদুর 2018 সালে ‘সাংবাদিক’ সাবা নাকভির একটি পুরাতন টুইট খুঁচিয়ে বের করেন।উক্ত টুইটটিতে নাকভি সাম্বার মশালার গুঁড়ো বিষয়ে কড়া মন্তব্য করে আদপে তার রাজনৈতিক এজেন্ডাটিই তুলে ধরেছিলেন। ইস্টার্ন কন্ডিমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত ‘ব্রাহ্মণ সম্বর পাউডার’ প্রোডাক্টের একটি ছবি পোস্ট করে সাংবাদিক টুইট করেছিলেন, “কর্ণাটকের উপকূলের কাছে কারোয়ার অঞ্চলে আমার আবিষ্কার। ”

তার টুইটের জবাবে অরুণ পুদুর রিটুইট করে বলেন, “সাংবাদিকগণ মনের আনন্দে ব্রাহ্মণদের উপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কুৎসা চালিয়ে যান, যদিও তাদের কেউ দাঙ্গা করতে দেখেনি বা কাউকে আঘাত করতেও দেখেনি!”, নাকভির বুদ্ধিমত্তাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে অভিযোগ উদ্যোক্তা এই ইঙ্গিত করেছিলেন।

উল্লিখিত মসলা গুঁড়োর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য গল্প। ইস্টার্ন কন্ডিমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ওয়েবসাইটে গিয়ে সংস্থার ইতিহাসের সন্ধান করে জানা গেছে সংস্থাটি (পূর্বে ইস্টার্ন ট্রেডিং সংস্থা হিসাবে পরিচিত) এম.ই. মীরাণ নামের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যিনি কেরালার একটি মুসলিম পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসের দ্বারা মুসলিম ছিলেন তা নিশ্চিত করার জন্য, অনলাইন প্রতিবেদনগুলি খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তখন দেখা যায়, ২০১১ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে লেখা হয়েছে, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় আদিমালি জামায়াত মসজিদে তার বন্ধু এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে তার দেহ দাফন করা হয়েছিল।”

এখানেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে ‘ব্রাহ্মণ সম্বর পাউডার’ হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত কোনও সংস্থা তৈরি করে না। ব্রাহ্মণ রন্ধনপ্রণালী বা তামিল ব্রাহ্মণ খাবার মূলত ‘সাত্ত্বিক খাবার’ যা পিঁয়াজ বা রশুনের অন্তর্ভুক্ত নয়। কিছু ঐতিহ্যবাহী তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারের মধ্যে ডা়টা, লঙ্কাগুড়ো, গাজর ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত থাকে না কারণ এগুলি ‘সাত্বিক’ হিসাবে ধরা হয় না।

সাত্ত্বিক খাবারের বিপরীতে, ‘হালাল’ কেবল একজন মুসলিম ব্যক্তি দ্বারাই পরিবেশিত হতে পারে। সুতরাং, অমুসলিমরা একটি হালাল ফার্মে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরি প্রত্যাখ্যান করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিছু অন্যান্য ব্যাপার‌ও রয়েছে যা অবশ্যই প্রমাণ করে অভ্যন্তরীণভাবে একটি ইসলামী অনুশীলন। প্রক্রিয়াটির দিকনির্দেশনা পরিষ্কার করে দেয় যে জবাইয়ের প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই অমুসলিম কর্মচারীদের নিয়োগ করা যাবে না। এমনকি মাংসের লেবেলিংও কেবলমাত্র মুসলমানরাই করতে পারে। গাইডলাইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, জবাই বা কোরবানির সময় যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নাম আহ্বান করা হয়, তবে সেই মাংস হারাম তার সম্পূর্ণভাবে অচ্ছুত এবং ইসলামবিরোধী হয়ে যায়।