শেষ সীমানা পর্যন্ত ‘বেলুন মানমন্দির ‘ পাঠিয়ে তাক লাগালো বাঙ্গালী বিজ্ঞানী

0
371

বঙ্গদেশ ডেস্ক:দেশীয় প্রযুক্তিতে নামমাত্র খরচে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাঙ্গালী বিজ্ঞানী জ্যোতিপদার্থবিদ সন্দীপ চক্রবর্তী।যদিও প্রবল অর্থনৈতিক সমস্যা বারবার পথরুদ্ধ করলেও বিজ্ঞানীকে তাঁর আবিষ্কারের পথ থেকে বিচ্যুত করা যায়নি। ইতিমধ্যে ১১৫ বার বায়ুমণ্ডলের স্ট্যাটোস্ফিয়ারের শেষ সীমানা পর্যন্ত ‘বেলুন মানমন্দির ‘ পাঠিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জোগাড় করেছেন তিনি।

বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ওই বেলুন ১০০ ফুট লম্বা। সম্পূর্ণ ফুলে উঠলে ওই বেলুনের মধ্যে প্রায় ধরে যায় একটা দশতলা উঁচু বাড়ি। অবশ্য বেলুনে পাম্প করতে হয় প্রায় ছকেজি হাইড্রোজেন। বোলপুরের কাছাকাছি একটা মাঠ থেকে এমন‌ই এক বেলুনে নানারকম যন্ত্রপাতি লাগিয়ে উৎক্ষেপণ করেছেন সন্দীপবাবু।ওই বেলুন মহাকাশের নানা তথ্য জোগাড়ে সহায়তা করেছে।

বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁর মূল উদ্দেশ্য ওজনোস্ফিয়ারে এক্স-রে এবং অন্য মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, এই ধরনের গবেষণার জন্য বিদেশে প্রচুর অর্থ ও সুযোগ রয়েছে কিন্তু দেশে সে সুযোগ খুবই কম। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর স্পেস ফিজিক্স জানিয়েছে, বায়ুমণ্ডলের ৪২.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতাতেই বেলুন পাঠানো সম্ভব হয়েছে। বোলপুরের কাছাকাছি মাঠ থেকে যে বেলুন পাঠানো হয়েছে তা ওই উচ্চতাতেই পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেছেন, উদ্দেশ্য থাকে এক‌ই যন্ত্রাংশ ফের ব্যবহার করা। এখনও পর্যন্ত ১১৫ বার বেলুন পাঠিয়ে ১১৩ বার ওই বেলুনের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করেছেন তাঁরা।

এই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে স্কুল কলেজের ক্ষুদে পড়ুয়ারা বিশেষ সহায়তা করেছে। তারা বলেছে, ওজনোস্ফিয়ারের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে এবং অন্যান্য মহাজাগতিক রশ্মির আচরণ, তাদের পরিমাণের হেরফের, ওই উচ্চতায় তাপমাত্রা এবং চাপের পরিবর্তন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গিয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের তৈরি যন্ত্রপাতি থেকে। খরচ অতি সামান্য। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস ফিজিক্স জানিয়েছে, এমন এক একটি অভিযানে ৪০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় না।