বোরখাধারী ভোটারদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য মহিলা CRPF এর আবেদন বিজেপির

0
969

বঙ্গদেশ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনকে (ECI) পাঠানো একটি চিঠিতে বিজেপির রাজ্য ইউনিট পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে ” বোরখা -আবদ্ধ ভোটারদের ” পরিচয় যাচাইয়ের দাবী করেছে এবং সেই সাথে এভাবে ভোট জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চিঠিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ” ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত খসড়া নির্বাচনী তালিকায় লক্ষ্য করা গিয়েছে যে ভোটারদের সংখ্যা তীব্র বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছাকাছি এমন অনেক অংশে এবং এই বৃদ্ধি পাওয়া ভোটাররা সংখ্যালঘু ভোটার।”

বিজেপির বক্তব্য এই যে, কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৬ নং ওয়ার্ডে ভোটারদের সংখ্যা ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও কোনও ‘নতুন জনপদ বা বন্দোবস্ত’ নেই। দলটি অভিযোগ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মেটিয়াবুরুজ নির্বাচনী এলাকা ও সোনারপুর উত্তরে ভোটারদের মধ্যে একই রকম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা গেছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ” এছাড়াও, আমরা দেখতে পেয়েছি যে মৃত ভোটার এবং যারা আবাসে পরিবর্তন করেছেন তাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। বিগত নির্বাচনেও দেখা গেছে যে এই ভোটগুলোও দেওয়া হয়েছিল। ”

বিজেপি উল্লেখ করেছে যে মুসলিম অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা প্রায়শই সম্পূর্ণ বোরখা পরিধান করে ভোটকেন্দ্রে আসেন। দলটি বলেছে যে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য মোতায়েন করা পুরুষ সিআরপিএফ জওয়ানরা তাদের পরিচয় যাচাই করতে পারবেন না। মহিলা সিআরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েনের দাবী করার সময় বিজেপি জোর দিয়ে বলেছে, ” সংখ্যালঘু (মুসলিম) অঞ্চলে মহিলা ভোটাররা সাধারণত বোরখা পরে থাকে। বুথে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে সিআরপিএফ জওয়ানদের পক্ষে তাদের পরিচয় জানা সম্ভব নয়। আর তাই এই অনুরোধ করা হচ্ছে যে এই অঞ্চলগুলো আগে থেকেই যেন ম্যাপ করা হয় এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়। ” https://twitter.com/ANI/status/1339624690084560898?s=19

১৭ ডিসেম্বর তারিখে একটি চিঠির মাধ্যমে দলটি জনপ্রতিনিধি আইনের ধারা ১৫ বিধান অনুসারে নোডাল নির্বাচন সংস্থার মডেল আচরণবিধি (MCC) ঘোষণার দিকে আকৃষ্ট করেছে। পুলিশ বাহিনীর নির্লজ্জ রাজনীতিকরণ এবং পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটি। বিজেপি খসড়া ভোটার তালিকার ‘বিভেদ’ এবং আসন্ন নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বিজয়ের আশ্বাস’ দেওয়া রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনকেও তুলে ধরেছে।

এর আগে, বিজেপি ২০১৭ সালে ইউপিতে নির্বাচনের শেষ দুটি দফায় বোরখা পোশাক পরা ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে মহিলা পুলিশ মোতায়েন করতে আবেদন করেছিল। এই দাবীর সঙ্গে যুক্ত এই চিঠিটি প্রেরণ করা হয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দ্বারা লখনউতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। এই চিঠি প্রেরণকারীর মধ্যে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জেপিএস রাঠোর এবং বিজেপির নির্বাচন কমিশনের যোগাযোগ প্রধান অখিলেশ কুমার অবস্তিও রয়েছেন। জেপিএস রাঠোরের বক্তব্য অনুসারে, স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এবং ভুয়া ভোটদান দূরীকরণের জন্যেই এই দাবী করা হয়েছিল। দলটি এটিও স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে এটি কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে যখন দলীয় কার্যকর্তাদের সন্দেহ হবে এবং তাদের যাচাইয়ের প্রয়োজন বোধ হবে।