ভোটের মুখে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

0
772

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- এবারের বঙ্গ নির্বাচনে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। সেখানে ভাগ্য নির্ধারিত হবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই সরগরম পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকায় বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই নির্যাতিতাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও খবর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সোমবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতুলবাড়ি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, নির্যাতিতার স্বামী এলাকার দাপুটে বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি করার ‘অপরাধে’ তাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। নির্যাতিতার স্বামী বলেছেন, সোমবার সারাদিন তিনি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী নেই। ফোন করেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেশকিছুক্ষণ পর বাড়ির পিছন দিকের খালে স্ত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে তাঁকে খাল থেকে টেনে তোলা হয়। তুলতে গিয়ে দেখা যায়, মুখ ও পা বাঁধা অবস্থায় গলায় আঁচলের ফাঁস জড়িয়ে খালে ফেলে দিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীর দল। তাঁর শরীরে ধর্ষণের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে তাঁর স্বামী দাবি করেছেন।

রাতেই তাঁকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন বলেছেন, “অভিযোগটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এসব অভিযোগের কোন সারবত্তা‌ই নেই। প্রকৃত তদন্তে সত্য ঘটনা সকলের সামনে উঠে আসবে।” জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র পাল্টা জানিয়েছেন, “এখন যা হবে তাতেই বিজেপি তৃণমূলের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে। এগুলো নিজের দলের লোকেরাই করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।”