বঙ্গদেশ ডেস্ক – মঙ্গলবার, ৩০ শে মার্চ সকালে নাইজেরিয়ার বাউচি রাজ্যের সাডে গ্রামে একদল ইসলামিক জনতা এক ব্যক্তিকে পাথর ছুঁড়ে মেরে হত্যা করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটানো হয় এই অভিযোগ তুলে যে উক্ত ব্যক্তি নবী মুহাম্মদকে অপমান করেছিলেন। অভিযুক্ত একজন গরিব জলের ব্যবসায়ী বলে ‘দ্যা স্ট্রিট জার্নাল”‘ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম তালে মাই রুওয়া। তিনিও ধর্মমতে একজন মুসলমান ছিলেন এবং ‘মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জড’ ছিলেন। ২৯ শে মার্চ এক মহিলা রুওয়ার থেকে জল আনতে যান, যেখানে তিনি জল বিক্রেতা হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ওই মহিলা তাঁর সম্মতি ছাড়াই বালতিতে জল ভরে নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুওয়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং মহিলার বালতিতে লাথি মেরে জল ফেলে দেন। মহিলাটি তার কাছে জল আনার অনুমতি চেয়ে অনুরোধ উপরোধ করলেও তিনি মানতে রাজি হননি।
‘পাঞ্চন’ তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে ভদ্রলোক তখন মহিলা এবং তার মা-বাবাকে অপমান করতে শুরু করেন। তখন ওই মহিলা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) – এর নামে অনুরোধ করেছিলেন। রুওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি নবীর নামেও আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন। ‘নিন্দাজনক’ ঘটনাটির কথা জানতে পেরে তাকে থানায় নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে ইসলামী আলেমরা (স্থানীয় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ হিসাবে তারা পরিচিত) ভুক্তভোগীর সাথে দেখা করেন। তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন যে রুওয়া সত্যিই নবীকে অপমান করেছেন কিনা।
খবরে বলা হয়েছে, তিনি আধ্যাত্মিক নেতাদের কাছে স্বীকার করেছেন হযরত মুহাম্মদকে অপমান করার কথা। তারপরে তাকে আবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ‘ভানগার্ড’ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, “পরের দিন সকালে এই খবরটি শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামের প্রত্যেকে আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
পরে একদল বিক্ষুব্ধ যুবক থানায় হামলা চালিয়ে সেখানে পুলিশ অফিসারদের উপর আক্রমণ করে এবং রুওয়াকে থানার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” মঙ্গলবার সকালে গোটা গ্রামের লোকেরা তাকে থানা থেকে বের করে আনে। ওপ ইণ্ডিয়া তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ‘আল্লাহু আকবর’ বলে তাঁকে পাথর দিয়ে মারা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি মারা যান। এরপরে তাঁর মৃতদেহের উপরে পেট্রোল ছিটিয়ে, তাঁর বৃদ্ধা মায়ের সামনে তাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।