সৌরজগতের নিকটবর্তী ব্ল্যাকহোলের সন্ধান দিলেন বাঙ্গালী বিজ্ঞানী সুকন্যা চক্রবর্তী

0
441

বঙ্গদেশ ডেস্ক: সৌরজগতের খুব কাছাকাছি এক অতিকায় ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন একজন বাঙ্গালী বিজ্ঞানী। তাঁর নাম সুকন্যা চক্রবর্তী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বিজ্ঞানী অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক। সুকন্যার নেতৃত্বে অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দল ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন। যার আকার সূর্য অপেক্ষা ১২ গুণ বেশি। এবং অবস্থান সূর্যের ভীষণ কাছাকাছি। এখনও পর্যন্ত যতগুলো ব্ল্যাক হোলের সন্ধান মিলেছে তার মধ্যে এটিই সৌরজগতের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থিত।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত জার্নাল ‘রিসার্চ সাবমিশনে’। ওই গবেষণা পত্র থেকে জানা গিয়েছে, ১ হাজার ৫৫০ আলোকবর্ষ দূরত্বে অবস্থিত এই ব্ল্যাক হোলটি। যদিও এই দূরত্ব প্রায় অনেকটা তবুও সূর্যের সঙ্গে দূরত্বের নিরিখে এটিই নিকটতম ব্ল্যাক হোল। গবেষক সুকন্যা এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ১ হাজার ৫৫০ আলোকবর্ষ দূরত্বে অবস্থিত এই ব্ল্যাকহোলটি এখনও পর্যন্ত যতগুলো ব্ল্যাকহোলের সন্ধান মিলেছে, তার মধ্যে সূর্যের নিকটতম।

মহাকাশে ব্ল্যাক হোল যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেকথাও উল্লেখ করেছেন সুকন্যা। তিনি বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোনও কোনও অতিকায় ব্ল্যাক হোল গ্যালাক্সির একেবারেই কেন্দ্রে অবস্থান করে। তারা গ্যালাক্সির গঠন ও পরিবর্তনকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আকাশগঙ্গাকে এই ব্ল্যাক হোল কতটা নিয়ন্ত্রণ করে সেটা এখনও অজানা। এরা সংখ্যায় বেশি হলে, গ্যালাক্সির গঠনেও এদের বিপুল প্রভাব পড়বে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের গঠন ও চরিত্রকে বিশদে নিখুঁত ভাবে জানার জন্য পৃথিবীজুড়ে কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। মাত্র কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মহাকাশে বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে এই ব্ল্যাক হোল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA জানায়, যখন অধিক ভরের ব্ল্যাক হোল নিজের কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মাণ নিউক্লিয়াস গঠন করে তখন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তার কেন্দ্র থেকে ক্রমশ সরে যায় মেরুর দিকে। শেষ পর্যন্ত সেখানে বিপুল গ্যাসীয় ঢেউ তৈরি হয়। ওই ঢেউ ব্ল্যাক হোলের সীমান্তের অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি তাপমাত্রার (যা সূর্যের থেকেও ১০ গুণ উত্তপ্ত হতে পারে) সংস্পর্শে এলে বিপুল ভাবে ছিটকে গিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে ১০ আলোকবর্ষ পর্যন্ত। সেই প্রচন্ড অভিঘাতকে কল্পনা করাও একপ্রকার অসম্ভব।