বঙ্গদেশ ডেস্ক: ইসলামিক বাংলাদেশের বরিশালের বানারীপাড়ার বাইশারীতে এক প্রয়াত ঋষীর বিধবা স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় এক মুসলিম। ধর্ষণের পর তিন মাসের ভুক্তভোগী হিন্দু মহিলাটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষক মুজিবর মল্লিক সেই ভ্রুণ হত্যা করে। বর্তমানে ভুক্তভোগী হিন্দু মহিলার আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুজিবরকে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাইশারী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে কোর্টের মাধ্যমে এই ধর্ষককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দুই বছর আগে ওই ঋষী স্ত্রী ও ৮ বছরের শিশুপুত্রকে রেখে পরলোক গমন করেন। এরপর থেকে শিশু পুত্রকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছিলেন ওই নারী। স্বামীর রেখে যাওয়া, বাইশারী বাজারের একটি দোকান ঘর থেকে প্রাপ্ত ভাড়ায় তার সংসার চলতো। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মুজিবর মল্লিক ওই বিধবা হিন্দু নারীর বাড়িতে একা রয়েছে টের পায়। সেখানে গিয়ে ঘরে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে প্রাণনাশ ও সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । ভুক্তভোগী হিন্দু নারী নিজের ও সন্তানের প্রাণনাশের ভয়ে ও লজ্জায় কাউকে বিষয়টি তখন জানায়নি। ফলে এরপরেও এই ধর্ষক একইভাবে তাকে আরও ৭ থেকে ৮ বার ধর্ষণ করে। ফলে ওই হিন্দু বিধবা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে৷
এরপর জিহাদী মুজিবর মল্লিকের তার স্ত্রী জুলেখা বেগমকে বিষয়টি জানায়। এরপর স্বামীর সাথে যোগসাজশ করে স্বামীকে সে বাচ্চা নষ্টের ঔষধ কিনে খাইয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। গত ২ মার্চ কৌশলে জিহাদী মুজিবরের স্ত্রী ওই ভ্রুণ হত্যার ঔষধ ধর্ষিতা হিন্দু বিধবাকে খাইয়ে দেয়। এরপর থেকেই ভিকটিমের অনবরত রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং প্রাণনাশের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রথমে তাকে বানারীপাড়া নিয়ে যাওয়া হলেও, পরে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী ধর্ষিতা হিন্দু নারী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।