পশ্চিমবঙ্গেও আসবে মোদী রাজ, আত্মবিশ্বাসী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

0
497

বঙ্গদেশ ডেস্ক: দিল্লিতে মোদী রাজের পর এবার বাংলাতেও হবে মোদী রাজ, বরাহনগরে এক চা চক্রে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০২১-এর নির্বাচনকে ঘিরে কিছু প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে বিজেপি তৈরি আছে, এই নির্বাচনে তাঁদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বিরোধীরা পরিস্থিতি অনুকূলে নেই বুঝে এখনও ঘর সামলাতে ব্যস্ত। বিজেপির দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন যে বিজেপি ওসবে ভয় পায় না, তাই গুরুত্বও দেয় না।

ববি হাকিম দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে দিলীপ ঘোষ পাগলের মতো ঘুরে বেড়ান, তাই তাঁকে বাধা দিয়ে দাম বাড়াতে চায় না তৃণমূল। ববি হাকিমের এই মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ” কে পাগল না ছাগল তা মে মাসে বোঝা যাবে। পিছনের দরজা দিয়ে যারা ক্ষমতা ভোগ করছে, তাদের কি বলার নৈতিক অধিকার আছে? ”

গত বছরের নভেম্বর মাসে বর্ধমানের রায়নার দলীয় সভায় পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করা সংক্রান্ত পুরনো মামলায় সম্প্রতি বর্ধমান আদালত, বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি বলেছিলেন, ” রাজ্যের পুলিশকর্মীরা আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। চাকরি থেকে প্রমোশন সবেতেই পুলিশকে টাকা দিতে হয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি এসপি থেকে ওসি সবাইকেই টাকা তুলতে হয়, কেননা টাকা দিতে হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। ” এক পুলিশ কর্মী দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের জেরে মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে তিনি বলা হয়, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে পুলিশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। বরাহনগরে চা চক্রে দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, ” এরকম কেস, পরোয়ানা লাগাতার হতে থাকে। আইনের পদ্ধতি শুরু হয়েছে আর তাই আইনের মাধ্যমেই এর জবাব দেওয়া হবে। উকিল কথা বলছেন, জামিন নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ” দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, ” যে সরকার পুলিশ দেখিয়ে, আদালত দেখিয়ে মানুষকে আটকে রাখতে চায়, তারা যে হেরে গিয়েছে, তাতেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ”

বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, ” বাংলা এখন সন্ত্রাসবাদীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে জঙ্গি সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গও তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন কাশ্মীরের থেকেও রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ। ” সেই সাথে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ” পাড়ায় পাড়ায় ধর্ষণ ও খুনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেইসব মামলার মধ্যে কতগুলিতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ, আর কতজনের সাজা হয়েছে? অন্যান্য রাজ্যে ছয় আট মাসে এই ধরণের মামলায় সাজা হয়। তৃণমূলের লোক খুনে, বিজেপির লোককে খোঁজা হচ্ছে কীভাবে তাঁকে ফাঁসানো যাবে! সাজা না হওয়ায় দুষ্কৃতীদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে। সরকার যে হেরে গিয়েছে এটাই তার প্রমাণ। “