আনন্দবাজারের ফেক নিউজ – ঋণ মকুব নয় অবলোপন

0
980

প্রায়ই আনন্দবাজারে দেখা যায় যে হোয়াটস-অ্যাপে প্রচারিত বহু বহু খবরের মধ্যে কোনও একটি অসত্য খবরকে (ফেক নিউজ) বিপুলভাবে তুলে ধরে তার উপরে দৃষ্টিনিবদ্ধ করে আনন্দবাজার দেখান যে খবরটি ভুল। এই ফেক নিউজটি সবসময় যে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন খবর হয়, তাও নয়। হয়তো সংবাদপত্রটির মূল প্রতিপাদ্য তাঁরাই সত্যের ধ্বজাধর, বাকীরা নন।

এবার আসা যাক আনন্দবাজারের একটি খবরে যে চোক্সী-মাল্যদের ৬৮ হাজার কোটির ঋণ মকুব হয়েছে, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক! বঙ্গদেশ প্রমাণ করে দেখাবে যে এই খবরটি সঠিক নয় বা ফেক নিউজ। আমরা কি কোন আনন্দবাজারের কোন এক নিম্নতম কোন সাংবাদিকের অনবধানতা বশত কৃত এক ভুলকে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। না একেবারেই তা নয়। খবরটি বেরিয়েছে ২৮শে এপ্রিল (ছয় দিন পূর্বে)। কাজেই এই ফেক নিউজের বিস্তার আনন্দবাজারের ইচ্ছাকৃত।

 

ফেক নিউজ – কি এবং কেন?

ইংরেজীতে খবরটি পড়া যাক। “Over ₹68,600 cr loans of wilful defaulters written off: RBI in RTI reply” অর্থাৎ যে সব লোকেরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এবং যাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে ঋণ পরিশোধ করেননি, তাঁদের ঋণ ব্যাংকের হিসাবের খাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে পেশাগত পরিভাষায় বলে write-off (অবলোপন)। এর মানে এরকম নয় যে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন তাঁদের ঐ ঋণ সম্পর্কিত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। তাঁদের কৃতকর্মের জন্য আইন তাঁদের বিরুদ্ধে থাকবে। তাঁদের অন্য দেশ থেকে ভারতে আনার জন্য প্রচেষ্টা করা হবে। ভারতে এলেই তাঁরা গ্রেফতার হবেন।

আনন্দবাজার কি লিখছেন?

“ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা না মিটিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন কেউ। কেউ আবার দেশে থেকেও ঋণের টাকা ফেরত দেননি। উল্টে তাঁদের বিপুল পরিমাণ ঋণ মকুব করে দিয়েছে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। তথ্য জানার অধিকার আইনে এমন ৫০টি সংস্থার তালিকা সামনে আসতেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এই তালিকা দিয়েছে আরবিআই। ওই তালিকায় রয়েছে মেহুল চোক্সী, বিজয় মাল্যদের মূল ও সহযোগী সংস্থার নামও। মোট ঋণ মকুব করা হয়েছে ৬৮ হাজার কোটিরও বেশি।”

না মেহুল চোক্সী, বিজয় মাল্যদের ঋণ “মকুব” (loan waiver) করা হয় নি যেরকমটি ছোট কৃষকদের করা হয়। কাজেই আনন্দবাজার পুরোপুরি মিথ্যা বলছে।

 

কেন অবলোপন

প্রকৃতপক্ষে, “অবলোপন” হল ব্যাংকগুলির দ্বারা স্থিতিপত্র সাফাই অভিযান, যা ব্যাংকের সম্পদ এবং দায়ের আসল ছবিটি তুলে ধরার জন্য করা হয়। এটি ঋণ মকুব নয়, যেমন কংগ্রেস পার্টি এবং এর সাঙ্গপাঙ্গরা দাবী করেছেন। ব্যাংক সাধারণত ঋণ গ্রহীতাদের দেওয়া সেই ঋণ ( যা ব্যাংকের কাছে একটি সম্পদ) অবলোপন করে যেগুলি এখন দুর্বলতার চিহ্ন দেখাচ্ছে। যদি ব্যাংক এগুলিকে অবলোপন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে এগুলি উচ্চ গুণের সম্পদ হিসাবে প্রতিফলিত হয় এবং এগুলোর থেকে আয় ব্যাংকের আয় হিসাবে দেখাতে হয়। যদিও, খেলাপ করা কোন ঋণের গুণমান এখন পড়ে গেছে, যার ফলে ব্যাংকের আসল সম্পদের একটি ভুল চিত্র প্রতিফলিত হয়।

দ্বিতীয়ত, যদি একটি ঋণ অবলোপন না করা হয় এবং সেটিকে স্বাস্থ্যবান সম্পদ হিসাবেই চলতে দেওয়া হতে থাকে সেই সময়ে যখন একটি স্থবির সম্পদ, ব্যাংক এই ঋণের ওপর সুদ আয় হিসাব করতে থাকতে পারে, হিসাবের উপচিতি ভিত্তি অনুযায়ী। যদিও, ব্যাংক তা চালিয়ে গেলে তার দুটি প্রভাব আছে। প্রথমত, উপচিতি ভিত্তিতে হিসেব করে ব্যাংক সুদ হিসেব করে করে কৃত্রিমভাবে তার আয় বাড়িয়ে যেতে পারে, যে আয় বাস্তবানুবিক নয়।

আবার, এই সুদের আয়ের ওপর ব্যাংককে কর গুনতে হবে। কু ঋণ বাড়ার সাথে সাথে, এটি ব্যাংকের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর কারণ অপ্রয়োজনীয় করের ফলে ব্যাংকের দায় বাড়ে। এই কারণে, কার্যকর হিসাবের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি নিয়মিতভাবে ঋণ অবলোপন করে থাকে।

যখন একটি ঋণ “অবলোপিত” করা হয়, তখন এর আয়ের প্রকৃত আদায়ের হিসাব করা হয়, উপচিতির ভিত্তিতে নয়, ব্যাংক সুদ আয় করতে থাকে এবং একমাত্র তখন একে আয় হিসাবে দেখায় যখন তারা তা আদায় করে।

অবলোপন পুরোপুরিভাবে হিসাবশাস্ত্রের একটি পরিভাষাগত দাখিলা। যে ঋণগুলি ব্যবসার সাধারন ক্ষেত্রে তাদের গ্রহীতাদের দ্বারা চোকানো হবে না, সেগুলিকে অবলোপন করা হয়। কিন্তু, অবলোপন করা হয়ে গেলেও, ঋণ আদায়ের কিছু প্রক্রিয়া যেমন ডেট রিকভারী ট্রাইব্যুনাল এর কাছে দাখিল করা মামলা, এবং সারফায়েসি SARFAESI) অ্যাক্ট অনুযায়ী নেওয়া পদক্ষেপ জারী থাকে। তাই, অবলোপন কোনভাবেই একটি সাধারণ “মকুব” নয়।

 

কাদের দ্বারা প্রচারিত এই ফেক নিউজ

আনন্দবাজার গান্ধীদের তরুণ উত্তরাধিকারী রাহুল গান্ধী পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে এই ফেক নিউজ ছড়ানোর ক্ষেত্রে। সরকার কিছু ঋণ অবলোপন করেছে এই বিষয়ে রিপোর্ট বেরোনোর অল্প সময় পরেই কংগ্রেস নেতৃত্ব অবলোপন এবং মকুবের মধ্যে তথ্য ঘুরিয়ে জনসাধারণকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেন, এই ইঙ্গিত করে যে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের দেওয়া ঋণ সম্পূর্ণ মকুব করে দেওয়া হয়েছে।

এই দাবী করার পর যে বিজেপি সরকার মুখ্য ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির কাছ থেকে প্রাপ্য প্রায় ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার ঋণ অবলোপনের রূপে মকুব করেছে, নির্মলা সীতারামনের তরফ থেকে এই উত্তর আসে যে  কংগ্রেস নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা কথা বলছেন।

পূর্বে, যখন রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাংকগুলিকে প্রতারণায় অভিযুক্ত করে ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির একটি তালিকা প্রকাশ করে, রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন। এই ৫০ জনের মধ্যে পলাতক হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সী এবং পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যর নাম আছে। একটি ভিডিও সহ এই কংগ্রেস লোকসভা সদস্য হিন্দিতে টুইট লেখেন যে, “লোকসভায় আমি একটি সরল প্রশ্ন তুলেছি — ৫০ জন সবচেয়ে বড় ব্যাংক প্রতারকদের নাম আমাকে জানান। অর্থ মন্ত্রী উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন। এখন আর বি আই নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী, এবং অন্যান্য বিজেপি ঘনিষ্ঠদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই কারণেই তাঁরা লোকসভায় সত্যিটা লুকিয়ে গিয়েছিলেন।”

 

কংগ্রেস জমানার ঋণ “মকুব”

কংগ্রেস নেতার এই আরোপের জবাবে অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একের পর এক বেশ কিছু টুইট করে রাহুল গান্ধীকে তথ্যগুলি প্রসঙ্গের বাইরে উল্লেখ করে বিষয়টি রোমাঞ্চকর ভাবে পেশ করায় অভিযুক্ত করেন। এই তথ্য তুলে ধরে যে ২০০৯-১০ এবং ২০১৩-১৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি ১,৪৫,২২৬ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করেছিল, তিনি পরিহাস করেন যে,”অবলোপন কী কারণে করা হয়েছে সেই বিষয়ে গান্ধী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে আলোচনা করে নিলে ভালো করতেন।”

তিনি জানান যে আর বি আই এর চার বছর ব্যাপী সংস্থান চক্রের ( প্রভিশনিং সাইকেল) স্থবির সম্পত্তির (নন পারফর্মিং অ্যাসেট) জন্য এই সংস্থান করা হয়েছে। তিনি লেখেন, “পুরো সংস্থান করা হয়ে গেলে ব্যাংকগুলি সংস্থান করা এন পি এ (NPA) অবলোপন করে, কিন্তু ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে ঋণ আদায় করার চেষ্টা জারী রাখে। কোন ঋণই মকুব করা হয়নি।”

অর্থ মন্ত্রী সীতারামন জানিয়েছেন যে এই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিরা ইউ পি এ সরকারের আমলে “ফোন ব্যাংকিং” এর সুবিধাভোগী ছিল এবং মোদী সরকার বকেয়া আদায়ের জন্য তাদের তাড়া করে যাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংবাদ মাধ্যমের সেই রিপোর্টগুলির কথাও উল্লেখ করেন যেখানে আর বি আই এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন এর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল যে ২০০৬-০৮ এই সময়ে একটি বড় সংখ্যায় কু ঋণের উৎপত্তি হয়েছে এবং “ভালরকম যোগাযোগ থাকা প্রমোটারদের অনেক ঋণ দেওয়া হয়েছে, এদের আগেও ঋণ খেলাপির ইতিহাস আছে।”

মন্ত্রী সীতারামন রাহুল গান্ধীকে জবাব দিয়ে টুইটারে লেখেন, “রঘুরাম রাজনের কথাগুলি মনে করে কাজে দিয়েছে: “২০০৬-০৮ এই সময়ে একটি বড় সংখ্যায় কু ঋণের উৎপত্তি হয়েছে… ভালরকম যোগাযোগ থাকা প্রমোটারদের অনেক ঋণ দেওয়া হয়েছে, এদের আগেও ঋণ খেলাপির ইতিহাস আছে…ব্যক্তিগত মালিকানার ব্যাংকগুলি পিছু হঠে গেলেও সরকারি ব্যাংকগুলি প্রোমোটারদের অর্থসাহায্য করা জারী রেখেছিল… ঋণ দেওয়ার গুণমানের ব্যাপারে আর বি আই আরো কিছু প্রশ্ন তুলে ধরতে পারত…” রঘুরাম রাজন (বলেছিলেন) ২০১৫ থেকে সরকার সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারি ব্যাংকগুলিকে এটা দেখতে বলেছিল যে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির ক্ষেত্রে পুরো স্থবির সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটির বেশি কিনা।”

অর্থ মন্ত্রী আরো ব্যাখ্যা করে যান যে কীভাবে এই পলাতক নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী এবং বিজয় মাল্যর সম্পত্তি মোদী সরকার আটক করেছে তারা ঋণ খেলাপ করার পর।
সীতারামন বলেন যে পলাতক নীরব মোদীর স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে মোট ২,৩৮৭ কোটি টাকার সম্পত্তি আটক বা হিসাব করা হয়েছে, ৯৬১.৪৭ কোটি টাকার বিদেশি সম্পত্তি নিয়ে। অর্থ মন্ত্রী জানিয়েছেন, “নীরব মোদীর বিলাস দ্রব্যসমূহ নিলাম করে ৫৩.৪৫ কোটি টাকা তোলা গিয়েছে। সে ইউনাইটেড কিংডমে জেলে রয়েছে।”

মেহুল চোক্সী কেসে অগ্রগতির কথা বলে অর্থ মন্ত্রী বলেন যে ৬৭.৯ কোটি টাকার বিদেশি সম্পত্তি নিয়ে মোট ১,৯৩৬.৯৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার ৫৯৭.৭৫ কোটি টাকাও আটক করেছে। তিনি যোগ করেন, “রেড নোটিশ জারী করা হয়েছে। অ্যান্টিগুয়ায় হস্তান্তরের আবেদনও পাঠানো হয়েছে। মেহুল চোক্সীকে পলাতক অপরাধী ঘোষণা করার আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”

বিজয় মাল্যর ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রী এই বলে স্পষ্টীকরণ দেন যে, “হিসাবের সময়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৮,০৪০ কোটি টাকা এবং আটক করার সময় ছিল ১,৬৯৩ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত করার সময় শেয়ারের মূল্য ছিল ১৬৯৩ কোটি টাকা। পলাতক অপরাধী ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের হস্তান্তরের আবেদন মঞ্জুর করে ইউকে উচ্চ ন্যায়ালয়ও হস্তান্তরের পক্ষে রায় দিয়েছে।”

সীতারামন বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই এই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের পেছনে ধাওয়া করা ব্যক্তি।

“৯,৯৬৭ টি আদায়ী মামলা, ৩,৫১৫ টি এফআইআর চলছে এই বিষয়গুলিতে ফিউজিটিভ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বলবৎ করে। নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী এবং বিজয় মাল্য মিলিয়ে হিসাবকৃত এবং বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য হল: ১৮,৩৩২.৭ কোটি টাকা।” , তিনি জানান।

অর্থ মন্ত্রী লেখেন, “১৬.৩.২০২০ তারিখে রাহুল গান্ধীর করা লোকসভা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে পরিশিষ্ট হিসাবে সবচেয়ে বড় ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির বকেয়া মোট অঙ্ক এবং কৌশল হিসাবে/বিবেচনা করে অবলোপন করা অঙ্কের ব্যাংক হিসাবে তথ্য প্রদান করা হয়েছে।”

সীতারামন ২০১৯ এর ১৮ই নভেম্বর লোকসভায় পেশ করা “সরকারি ব্যাংকগুলির দ্বারা ক্রিলিক (CRILIC) রিপোর্টিং মাধ্যমে ২০১৯ এর ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি নামাঙ্কিত ঋণ গ্রহীতাদের ( যাদের ৫ কোটি টাকা এবং তার বেশি ঋণ আছে, আন্তর্জাতিক কার্যকলাপ)” একটি তালিকার কথাও উল্লেখ করেছেন। অর্থ মন্ত্রী বলেছেন যে কংগ্রেস এবং গান্ধীর আত্ম সমীক্ষা করা উচিত যে কেন তারা প্রক্রিয়া সুচারু করে তোলায় একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, “না ক্ষমতায় থাকার সময়, না বিরোধী পক্ষ হওয়া কালীন কংগ্রেস দুর্নীতি এবং পক্ষপাতিত্ব থামতে কোনরূপ অঙ্গীকার করেছে।”

অপইণ্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রবন্ধের ভিত্তিতে। অনুবাদে সহযোগিতা করেছেন শুভম ক্ষত্রী।