বঙ্গদেশ ডেস্ক:- গত সোমবার, ফরিদাবাদের বল্লবগড়ের আগরওয়াল কলেজের বাইরে দু’জন ব্যক্তি প্রকাশ্যে দিনের আলোতে নিকিতা টমার নামে এক ২১ বছর বয়সী ছাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে।মৃতা তরুণী গত মাসে এই মার্ডার কেসের অন্যতম অভিযুক্ত তৌফিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী ও উত্তক্ত করার অভিযোগ দায়ের করেছিল।
অপইন্ডিয়ার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিক রাজ শেখর ঝার টুইটারে পোস্ট করা সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীকে তার গাড়ি থেকে নেমে খানিকদূর সরে গিয়ে বন্দুক বের করতে দেখা গিয়েছে। নিকিতাকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। সে কিছু সময়ের জন্য ছুটে পালাতে সক্ষম হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে ধরে ফেলে। নিকিতা যখন নিজেকে খুনির কবল থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল, তখন তাকে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়।
CCTV footage shows a girl named Nikita Tomar being shot dead by an assailant (Taufeeq) outside her college in Ballabgarh, Faridabad. Shooter and associate flees in car. Police have arrested Taufeeq. pic.twitter.com/idOPIDZfDo
— Raj Shekhar Jha (@rajshekharTOI) October 27, 2020
ঘটনার আকস্মিকতায় অপর অভিযুক্ত ব্যক্তি তড়িৎ গতিতে গাড়ি থেকে নেমে যায় এবং তৌফিককে টেনে গাড়িতে তোলে এবং দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মোটিভ ছিল নিকিতাকে অপহরণ করা কিন্তু সে যখন অভিযুক্তদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তখন মেজাজ হারিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিকিতাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াহয় এবং সেখানে ডাক্তাররা নিকিতাকে মৃত ঘোষণা করে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এসজিএম নগরের বাসিন্দা নিকিতা বিকম ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিল।
মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে এসিপি (বল্লবগড়) জয়ীর রাঠি জানিয়েছেন, “ অভিযুক্তদের মধ্যে তৌফিক নামে ব্যক্তিটি সোহনার বাসিন্দা ছিল এবং তার বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মৃতা তরুণীর এক আত্মীয়ের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সমঝোতার রাস্তায় হেঁটে মিটমাট করে নেওয়া হয়েছিল। ” এসিপির মতে, ‘বন্ধুত্বের প্রত্যাখ্যান’ এই অপরাধের পেছনে অন্যতম উদ্দেশ্য হতে পারে।