মিশ্র সংস্কৃতির অতিকথন পাকিস্তানপন্থী প্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়

0
1872

“মিশ্র সংস্কৃতির সমর্থন করার জন্য প্রতিটি ইসলামিক হানা এবং আক্রমণকে ভদ্র ও মর্যাদাহানিকর নয় এমন একটি শব্দ দ্বারা বোঝানো অত্যন্ত জরুরি: “আগমন” সেই শব্দ।”

 

গত ছয় দশক ধরে, সাম্প্রদায়িকতার নামে অবিশ্বাস্য রকম প্রচার মার্ক্সিস্ট ঐতিহাসিকদের দ্বারা বাজারে ছাড়া হয়েছে। এই প্রচার অনুযায়ী, তেরোশ থেকে আঠারোশ শতাব্দী ইসলামিক যুগ ধরে হিন্দু প্রজাদের ওপর যেকোন ধরণের অত্যাচারের কথা বলা “সাম্প্রদায়িকতা”। তাঁরা এই মত বজায় রেখে গেছেন যে সাম্প্রদায়িকতা হল ইতিহাস বইগুলিতে সাম্রাজ্যবাদী আর সাম্প্রদায়িক হিন্দু ঐতিহাসিকদের লেখা “ভুল” এবং “অতিকথিত” বিবরণের প্রত্যক্ষ ফলাফল।  কথিত সাম্প্রদায়িক লেখকদের তালিকার জন্য আমাদের মার্ক্সিস্ট ঐতিহাসিকরা সাধারণত এলিয়ট-ডসন, যদুনাথ সরকার অথবা আর সি মজুমদারের মত ঐতিহাসিকদের দিকে নির্দেশ করে। কিন্তু আমরা যদি সমস্ত পণ্ডিতদের একটি তালিকা প্রস্তুত করি, ভারতীয় আর বিদেশি, হিন্দু, মুসলিম, ক্রিশ্চান, বৌদ্ধ, জৈন আর ইহুদী নির্বিশেষে এবং শুধুমাত্র সুপরিচিত ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের নয়, সমস্ত আরব, পাকিস্তানি, বৌদ্ধ, জৈন আর ইহুদী ঐতিহাসিকদের কাজের একটি তালিকা বানাই, এনসাইক্লপিডিয়া ব্রিটানিকা আর এনসাইক্লপিডিয়া অফ ইসলাম দেখি, যে ছবিটি আমরা পাই তা হল: এই সমস্ত পুস্তকেই “ভারতে মুসলিম যুগ” এবং তৎকালীন সময়ে কাফির বা অমুসলিমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কোন না কোন উল্লেখ আছে।

 

 মিশ্র সংস্কৃতির অতিকথন

মার্কসিস্ট ঐতিহাসিকদের লেখা আর বক্তব্যে প্রায়শঃই “মিশ্র সংস্কৃতির” ধারণাটি জাহির করা হয়ে থাকে। এর দ্বারা তাঁরা এই বোঝান যে ইসলামের অনুদানের সাথেই ভারতীয় সংস্কৃতি “গড়ে উঠেছিল”। তাঁদের মতে, এই মিশ্র সংস্কৃতিতে, হিন্দু আর মুসলমান উভয়কেই ভারতীয় সংস্কৃতির অংশীদার বলা হয়ে থাকে। তাই ব্যঙ্গ ছাড়া তাঁরা প্রাক-ইসলামিক ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করতে কষ্ট বোধ করেন। নজর করার মত বিষয় এটা যে মার্কসিস্ট ঐতিহাসিকরা ভারতে ইসলামিক আক্রমণকে বেশ জোরের সাথে একটি “আগমন” হিসাবে বর্ণনা করেন। তাঁরা তখনও এই প্রসাধনী ছোঁয়া ব্যবহার করে থাকেন যখন শুধুমাত্র একটি আক্রমণ নয়, বিভিন্ন ধরণের আক্রমনকারী দ্বারা বহু শতাব্দী ধরে অসংখ্য বার  আগ্রাসনের কথা হয়। তবুও, হারবন্স মুখিয়া লেখেন,

তুর্কিরা ভারতে এলাকার খোঁজে বের হওয়া একটি বীর যুদ্ধবাজ শাসনকারী জাতি হিসাবে এসেছিল, নাকি হাতে তরোয়াল ধরা ধর্মপ্রচারক হিসেবে।

শব্দগুলি লক্ষ্য করুন। একটি আক্রমণকারী যাযাবর জাতিকে “বীর জাতি” বলা হচ্ছে। অবাক হতে হয় যে কেন লুটতরাজ আর ধর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি লুঠ করে ফেরা দলের জন্য এই বাধ্যতামূলক সম্মানসূচক সম্বোধনগুলি প্রয়োগ করতে হয়। এই আত্মআরোপিত বাধ্যতায় হারবানস মুখিয়া আরেকটি হাস্যকর উক্তি করেছেন: কীভাবে এই মধ্যযুগীয় তুর্কিরা অন্য দেশে গিয়ে এটি শাসক শ্রেণী হতে পারে? রোমিলা থাপারও ভারতে ইসলামিক আক্রমণকে “মুসলিমদের আগমন” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আসলে “মিশ্র সংস্কৃতির” অতিকথনকে সমর্থন করার জন্য প্রতিটি ইসলামিক হানা এবং আক্রমণকে ভদ্র ও মর্যাদাহানিকর নয় এমন একটি শব্দ দ্বারা বোঝানো অত্যন্ত জরুরি, “আগমন” সেই শব্দ। ফলস্বরূপ, সেই আক্রমণকারীদের শাসনকালকে বিদেশী শাসন বলা হবে না। এই সত্য সত্ত্বেও যে এইপ্রকারের একজন শাসকের বেশিরভাগ উচ্চতম সেনানী, মন্ত্রানাদাতা, সভাসদ এবং আধিকারিকদের বহিরাগত ঘোষিত হন, মার্ক্সিস্ট ঐতিহাসিকরা একে বিদেশী শাসন না বলার উপরেই জোর দেন। এই সমস্ত বাধ্যতামূলক জালি বর্ণনার মাধ্যমে তাঁরা “মিশ্র সংস্কৃতির” গরম হাওয়া ভরা বেলুনের একটি ভিত্তি রচনা করেন।

এই ধরনের ইতিহাস লেখন ডক্টর রাম মনোহর লোহিয়াকে মার্ক্সিস্ট শ্রেণী সম্পর্কে নিম্নোক্ত উক্তি করতে বাধ্য করে,

“এদের পাঠকদের ভীতু, অনৈতিক, দৃঢ় সংকল্প ও সাহস হীন বানায়, সম্ভবত বাধ্যও।”

ফেরিশতার মত বিদেশী ঐতিহাসিক যাঁরা প্রধানত আক্রমনকারী বিজয়ীদের সাথে এসেছিলেন, তাঁদের সম্বন্ধে কড়া ভাবে   আলোচনা করে লোহিয়া বলেন সম্ভবত তাঁরাই প্রথম এই আক্রমনকারী আর আক্রান্তের মধ্যে এই লজ্জাজনক “সমন্বয়” এবং সেইভাবে একটি “মিশ্র” সংস্কৃতি গড়ে ওঠার ধারণা তৈরি করেন। এইরূপ গঠনকে তীব্রভাবে নস্যাৎ করে দিয়ে লোহিয়া আরো বলেন যে যে ভারতীয় ঐতিহাসিকরা এই দুর্নীতিমূলক বিবরণ পুনরাবৃত্তি করেন তাঁরা, “আত্মসমর্পণ আর সমন্বয়ের মধ্যে পার্থক্য জানেন না”, এবং এই ধরণের ঐতিহাসিকদের ধন্যবাদ কারণ এদের জন্যই “ভারতীয়রা আজ লজ্জা আর গর্বের মধ্যে পার্থক্য জানে না”। প্রকৃতপক্ষে, লোহিয়া বারংবার এই যুক্তিতে ফিরে গেছেন যে আত্মসমর্পণকে ( ইসলামিক আক্রমণকারীদের কাছে ভারতীয়দের) “সমন্বয়” হিসাবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত, এবং এটি ইতিহাসের একটি অবাক করা আর ভুল পর্যবেক্ষণ যা অবশেষে ভারতীয়দের কাপুরুষোচিত আচরণকে দর্শায়।

প্রথম প্রশ্ন: যদি ভারতে এই মিশ্র সংস্কৃতি ইসলামিক অনুদানের কারণে গঠিত হয়ে থাকে তাহলে অন্যান্য দেশগুলিতে যেখানে ইসলামের “আগমন” হয়েছিল, সেখানে তা গড়ে উঠতে অসমর্থ হল কেন? উদাহরণস্বরূপ, পারস্য (ইরান), মেসোপটেমিয়া (ইরাক), গান্ধারে (আফগানিস্তান) ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বেই মহান সভ্যতা ছিল। ইসলাম সেখানে বিজয়লাভ করার পর ( বা “আসার” পর), প্রাক ইসলামিক সংস্কৃতির চিহ্নমাত্রও সেই এলাকা থেকে গায়েব হয়ে গেছে। কেন সেখানে একটি “মিশ্র সংস্কৃতি” গড়ে উঠল না? যদি আমরা এক মুহূর্তের জন্য ভেবেও নি যে ইসলাম “এসেছিল” আর শাসন করেছিল এমন সমস্ত দেশগুলির মধ্যে শুধু ভারতেই এই দুর্লভ মিশ্র সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, আরেকটি প্রশ্ন থেকে যায়:  পাকিস্তান, যা  ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি অংশ, থেকে তৎক্ষণাৎ এই সংস্কৃতি অদৃশ্য হয়ে যায়? কেন ইরান আর আফগানিস্তানের মতই পাকিস্তান একটি নির্ভেজাল ইসলামিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে যায়?

শুধু তাই নয়। শুধুমাত্র হিন্দু ঘরে জন্মানো মার্ক্সিস্টরাই এই মিশ্র সংস্কৃতি নিয়ে এত আবেগপ্রবণ কেন? কেন ভারতের অসংখ্য মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা “হিন্দু ও মুসলিম উভয়ের যোগদানে” গঠিত একটি সংস্কৃতির প্রতি উদাসীন বা পুরোপুরি চিন্তাহীন? পরিবর্তে, “মিশ্র” নয়, সমস্ত ইসলামিক বিষয়ে তাঁরা সর্বদা ভাবনাচিন্তা করেন।

মনোযোগের সাথে ভালোভাবে বিবেচনা করলে একটিই উত্তর বেরিয়ে আসে: ভারতে “মিশ্র সংস্কৃতি” ইসলামের অনুদান নয়, বরং একটি বিরাট অসফলতা। ভারতের ওপর সর্বাত্মক সামরিক আর ভাবধারাগত বিজায়লাভে অসফলতা। সর্বশেষ বিশ্লেষণে বলা যায়, এই তথাকথিত মিশ্র সংস্কৃতি ভারতের সভ্যতাকে, এর ধর্ম, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিক সম্পদ, এর দার্শনিক রীতিনীতি আর এর দৃঢ় সংকলকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার অসফলতা থেকে জন্ম নিয়েছিল। অন্য কথায়, এই তথাকথিত মিশ্রতা মার্ক্সিস্টরা যার ওপর জোর দিয়ে থাকেন তার একেবারে বিপরীত। এটি ইসলামিক অমিশুকতার বিরুদ্ধে হিন্দু বাধাদানের ফলাফল, এবং কোন মিশ্র সংস্কৃতি বানানোর জন্য কোন অংশীদারির নয়। এই কারণেই পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবীরা এবং ভারতের বেশিরভাগ মুসলিম বুদ্ধিজীবীরাও এই তথাকথিত মিশ্র সংস্কৃতির সাথে কোন যোগাযোগ তোর দূর, এটি গ্রাহ্যই করেন না। তাঁরা এখনো অমিশুক আরব – ইসলামিক সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট আর তা নিয়ে গর্ববোধ করেন এমনকি তখনো যখন তাঁরা আদপে বহু দিক থেকে হিন্দুদের মতই ভারতে বসবাস করছেন।

তাই তথাকথিত মিশ্র সংস্কৃতি শুধুমাত্র অতিকথনই নয় একটি কুসংস্কারও যেটাতে শুধুমাত্র মার্ক্সিস্টরা বিশ্বাস করে। উদাহরণ হিসাবে, বিপান চন্দ্রও ব্যতিক্রম হতেন না। তিনি বিশ্বাস করেন যে ইতিহাসের সত্য বিবরণগুলি সাম্প্রদায়িক সমন্বয়ের শত্রু এবং একটি ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ও রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার জন্য সেগুলির নিন্দা করতে আর প্রকাশের পূর্বে পরীক্ষাধীন করতে চান, বিন্দুমাত্র উপলব্ধি না করে যে তা বিপরীত উদ্দেশ্যকেই সাহায্য করে।

এই সমস্ত ভুয়ো দাবিদাওয়া দিয়ে মার্ক্সিস্টরা বহু শতাব্দীর অসুবিধাজনক ইতিহাস চাপা দেওয়ার বিরাট কর্মদ্যোগ সাধন করেছে, শুধুমাত্র ভারতই নয় বরং পুরো বিশ্বের। এই উদ্যোগ সত্যিই বিস্ময়কর ভাবে প্রকাণ্ড, কারণ বিভিন্ন শতাব্দীর মুসলিম ঐতিহাসিক, চিন্তাশীল আর ধারাভাষ্যকারদের দ্বারা নথিবদ্ধ বিবরণ ও বিশ্লেষণ ইতিহাসকে একই ভাবে বিভাজিত করেছে। জাহিলিয়া ( ইসলামের আবির্ভাবের পূর্ববর্তী সময়) এবং পৃথিবীকে দার – উল – ইসলাম ( ইসলামের দেশ) আর দার – উল – হারব ( যুদ্ধের দেশ, যার ইসলামীকরণ বাকি) এ বিভাজিত করার ধারণা ব্রিটিশ বা হিন্দু, কারুরই রচনা নয়। মুসলিম লেখ আর রাজনৈতিক সংগঠনগুলিতে এগুলি সাধারণ পরিভাষা, যা কোন দেশে ইসলামের বিজয়ের ফলে ( “আগমন”, যদি বলতে চান) সাধারণ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। এই সামান্য ধারণাগুলি নিয়ে কোন মতানৈক্য একেবারেই নয়। তাই, এটা নিয়ে কীভাবে তর্ক করা সম্ভব যে কোন দেশে ইসলামের বিজয়ের ফলে সেখানকার ইতিহাস নিয়ম অনুযায়ীই একটি বুনিয়াদি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেল?  কীভাবে তাহলে  এই সৌভাগ্যপূর্ণ পরিবর্তনের সময় নির্দেশ করে সেই দেশের ইতিহাসের কালবিভাজন অস্বীকার করা সম্ভব?

পাকিস্তানি পাঠ্যবইগুলির উদাহরণ নেওয়া যাক। তারা পড়ায় যে পাকিস্তানের ইতিহাস শুরু হয় ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে যখন মহম্মদ বিন কাসিম, আরব খলিফার একজন সেনাপতি, সিন্ধুদেশ আক্রমণ করে। এই তারিখের ওপর না কোন ব্রিটিশ জোর দিয়েছে, না সেই দেশে এটি বহিরাগত কিছু বলে মনে করা হয় না। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে বিভিন্ন কারণের জন্য এই তারিখটি ভারতীয় ( এবং পাকিস্তানি) স্মৃতিতে খোদাই করা আছে। পাকিস্তানি ঐতিহাসিকরা ভারতে মুঘল রাজ আর পূর্ববর্তী সুলতান শাসনকে “পাকিস্তানের ইতিহাস” বলে উল্লেখ করেন। ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ের মুসলিম মননে সময়ের এই পরিচয় কি ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেমস মিল এর অনুদান?

আর যখন আমরা আমাদের মার্ক্সিস্টদের আর এখনকার বাম উদারপন্থীদের লেখা লক্ষ্য করি, ইতিহাসের সেই একই পাকিস্তানি ধরণের অনুরণন শুনতে পাই। যদিও আধুনিক ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু মুসলিম প্রশ্ন উঠলে তাদের এই ঐতিহাসিক “বিশ্লেষণের” “বোধ” তৎক্ষণাৎ আর পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে যায়। এখানে তাঁরা কোনরূপ শ্রেণী বিশ্লেষণের সাহায্য নেন না এবং সবসময়ই তাঁদের বক্তব্য আর প্রবন্ধগুলিকে হিন্দু জাতীয়তাবাদ বনাম সংখ্যালঘু এই সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে থাকেন। মার্ক্সিস্ট ঐতিহাসিকরা কি কোনদিন উচ্চতর শাসক শ্রেণীতে একইসাথে সালমান খুরশিদ আর অরুণ জেটলিকে রেখে তাঁদের সামাজিক বিভাজনের একই দিকে জায়গা দিয়েছেন? কখনোই না। তাঁরা ভারতের ধনী আর প্রভাবশালী মুসলিমদেরও “সংখ্যালঘু”দের প্রতিনিধি মনে করেন, যাদের সামাজিক চিন্তার বিষয় আর রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা স্বভাবতই আলাদা কারণ তাঁরা মুসলিম!

শঙ্কর শরণের লেখা মূল প্রবন্ধটি ধর্ম ডিসপ্যাচ পত্রিকায় প্রকাশিত। লেখক ঐতিহাসিক, জে এন ইউ থেকে গবেষণা করেছেন। অনুবাদ করেছেন শুভম ক্ষত্রী।