ইচ্ছামৃত্যু বর আছে কি ফারুক আবদুল্লাহের! ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধার অবধি মরতে অরাজী

0
516

বঙ্গদেশ ডেস্ক– শুক্রবার এক তীব্র আক্রমণাত্মক ভাষণে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন যে কাশ্মীর যদি পাকিস্তানকে সমর্থন করতে চাইত, তবে তারা ১৯৪৭ সালেই এটি করত। কিন্তু কাশ্মীরীরা ভারতের সাথে থাকার রাস্তাই বেছে নিয়েছিল। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের জন্য বিজেপিকে তীব্র সমালোচনা করে আবদুল্লাহ বলেছেন যে ক্ষমতা কখনই স্থায়ী হয় না এবং একদিন সবাইকেই তাদের “চেয়ার” ছেড়ে যেতেও হবে। তিনি বিশেষ করে বলেছিলেন যে, ১৯৪৭ সালের কাশ্মীর ‘বিজেপি’র ভারত নয়, মহাত্মা গান্ধীর ভারতে যোগ দিয়েছিলেন। পূর্বের জম্মু এবং কাশ্মীর রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করার কেন্দ্রের পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করে আবদুল্লাহ দাবি করেছেন যে, তাঁরা কাশ্মীরের অন্যান্য অংশ থেকে লাদাখকে কখনও আলাদাভাবে দেখেননি।

শুক্রবার জম্মুতে ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফারুক আবদুল্লাহ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, কেন্দ্র কাশ্মীরের জনগণের বিশেষ অধিকার পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত তারা লড়াই করবে। “আমার লোকদের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমি মারা যাব না। আমি জনগণের জন্য কিছু করার জন্য এসেছি এবং যেদিন আমি আমার কাজ শেষ করব, সেদিনই আমি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব” – আবদুল্লাহ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি এক বছরেরও বেশি সময় পর, প্রথমবারের মতো তাঁর দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন।

ফারুক আবদুল্লাহর মত লোকও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে কথা বলেছিলেন এবং দাবি করেছেন যে তাদের বিজেপি ভোটের জন্য ব্যবহার করছে। “২৮ বছর ধরে তারা বলছেন যে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকার ঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বিজেপি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকলেও, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এখনও তাদের প্রত্যাবর্তনের দিনটির অপেক্ষায় রয়েছেন।”

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1525281937666096&id=138258406368463

ওমর আবদুল্লাহ তাঁর বাবার অনুসরণেই পুনরাবৃত্তি করে বলেছিলেন যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। তিনি মীডিয়ার একশ্রেণীর কাছে “দেশবিরোধী” আখ্যা পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ডোমাসাইল আইন, ভূমি আইনগুলি তুলে ধরে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন। বিশেষ অধিকার বাতিলকরণকে সরকারের “বৃহত্তম ভুল” হিসাবে অভিহিত করে ওমর দাবি করেছেন যে এটি কাশ্মীরের জনগণকে আবারও উত্তেজিত করবে এবং তাদের নিজেদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য করছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে তাঁর দল – ন্যাশনাল কনফারেন্স কখনও ধর্ম বা বর্ণের রাজনীতিতে লিপ্ত হয়নি।

কখনো চীন কখনো পাকিস্তানের কোলে গিয়ে বসা আবদুল্লাহ পরিবারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে। চির শত্রু মুফতী পরিবারের সাথেও তাঁরা সমঝোতা করেছেন কয়েকদিন আগে। এমতাবস্থায়, এই ধরনের মন্তব্য করে তিনি নিজেই নিজের ও পরিবারের রাজনৈতিক কবর খুঁড়ছেন বলে মনে করছে অনেকেই।