রাম সেতু রহস্য উদঘাটনে কোমর বেঁধেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে

0
648

বঙ্গদেশ ডেস্ক: রাম সেতু কীভাবে তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছে গবেষণা। এবার সেই রহস্যের কিনারা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে খোদ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া।

গোয়ার ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ওশানওগ্রাফির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাম সেতুর বয়স জানতে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। এক্ষেত্রে থার্মোলুমিনেসন্সের পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে প্রকল্পটির ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গুরুত্ব যে সূদরপ্রসারী হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

তামিলনাড়ুর পাম্বান দ্বীপ আর শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের মধ্যে থাকা ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর বয়স জানতে রেডিওমেট্রিক কৌশল ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এনআইওর পরিচালক তথা অধ্যাপক সুনীল কুমার সিংহ একথা বলেছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় ও রেজিওমেট্রেক পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।

বর্তমানে জলস্তরের ৩৫-৪০ মিটার নীচে অবস্থান করছে এই ঐতিহাসিক সেতুটি। সেখান থেকে পলির নমুনা সহ একাধিক তথ্য সংগ্রহের জন্য সিন্ধু সাধনা বা সিন্ধু সংকল্প জাহাজ ব্যবহার করা হবে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরাণ মতে এই সেতুর সৃষ্টি তাত্‍পর্যপূর্ণ।

সীতাকে অপরহণ করে বারণ যখন তাঁকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল তখন এই পথেই বানর সেনার সহায়তায় লঙ্কা পাড়ি দিয়েছিলেন ভগবান পুরুষোত্তম রাম। মূলত সমুদ্র পার হওয়ার জন্য পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই দীর্ঘ সেতুটি।