বহুবিতর্কিত গিলগিত-বালটিস্তান নির্বাচনে মুখ পুড়লো ইমরান সরকারের, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউই

0
644

বঙ্গদেশ ডেস্ক – বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে ইমরান খান নিয়াজির সরকার। গিলগিট-বালটিস্তানে ভোটেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। সর্বাধিক আসন পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বেশ কিছুটা দূরে চাকা থেমে গেল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (PTI)। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পিটিআইয়ের দখলে রয়েছে মাত্র ৯টি আসন।

রবিবার গিলগিট-বালটিস্তানের ২৩ টি আসনে ভোট হয়েছে। ২৪ টি আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও এক প্রার্থীর মৃত্যুতে একটি আসনে ভোট বাতিল হয়ে যায়। সন্ত্রাস রুখতে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে ইমরানের দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে রিগিংয়ের অভিযোগ এনেছে বিরোধীপক্ষ। সোমবার ফলাফল সামনে আসতেই দেখা গিয়েছে আগের নির্বাচনের ধারা বজায় রেখেই পাকিস্তানে ক্ষমতায় থাকা দলই সর্বাধিক আসন লাভ করেছে। এককথায়, এই নির্বাচন ইমরান খানের কাছে বিশাল প্রেস্টিজ ফাইট ছিল।

সরকারিভাবে ভোটের ফল ঘোষণার আগে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিল সে দেশের নির্বাচন কমিশন। তবে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম মারফত অনুযায়ী, ইমরান খানের পিটিআইয়ের দখলে এসেছে মাত্র ৮-৯টি আসন। নির্দল প্রার্থীরা ৬-৭ টি আসনে জিতেছ। বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়ালের দল PPP ৫ টি, নওয়াজের PML-N ২টি, JIU-F ও MWM একটি করে আসন পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পিটিআইকে কয়েকজন নির্দল জনপ্রতিনিধিদের নিজের দলে টানতে হবে। গত পাঁচবছর এই এলাকায় রাজত্ব করেছে নওয়াজের PML-N । ২০১৫ সালে তাদের দখলে ছিল ১৬টি আসন। এবার একধাক্কায় তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২টিতে।

সপ্তাহ কয়েক আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চল গিলগিট-বালটিস্তানকে পৃথক প্রদেশ বলে ঘোষণা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারত তো বটেই, আন্তর্জাতিক মহলের আপত্তি উড়িয়ে এই ঘোষণার ফলে নিন্দা, সমালোচনার শিকার হতে হয় হয় তাঁকে। কিন্তু সেসবও গুরুত্ব না দিয়ে রবিবার নির্বাচনের আয়োজন করেছিল পাক প্রশাসন। মোট ৩৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়েছিল। অভিযোগ উঠছে, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেই ভোট চলেছে এখানে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী তিনটি রাজনৈতিক দলের কেউই নির্বাচনী বিধি মেনে চলেনি। ভারত আগেই বালটিস্তানকে নিজের অংশ বলে দাবী করেছে।