অঙ্কুশা সরকার
একজন মুসলিম ব্যক্তি এককালে নিজের ইচ্ছায় আবার হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, 26শে আগস্ট তিনি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী কোন ব্যক্তির সাথে বিয়ের বিরুদ্ধে হিন্দু মেয়েদের সাবধান করেছিলেন।
लखनऊ में एक परिवार को हिंदू धर्म अपनाने पर मुख्तार अंसारी और यूपी सरकार में एक मंत्री के नाम से मिल रही धमकी. पूरे परिवार ने खुद को घर में बंद कर लिया है. यहां तक कि वो अब अपनी बेटी को स्कूल भी नहीं भेज पा रहे हैं.#Lucknow #UttaPradesh #ReporterDiary (@ashishaajtak) pic.twitter.com/QME2skhdD4
— AajTak (@aajtak) August 26, 2022
আজ তক-এর সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন, মহম্মদ সেলিম হায়দার তখনই সাবধান করে বলেছিলেন, “আমি সমস্ত হিন্দু মহিলাদের কাছে আবেদন করছি, তারা যেন কোন মুসলিম পুরুষকে বিয়ে না করেন। যদি এইরকম বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে তার ভাগ্যটিও আমার স্ত্রীয়ের মতই হবে। 14 বছর ধরে, তিনি কোন বিচার পাননি।”
“সে কখনো তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চোখে না ভালো স্ত্রী, না ভালো বউ হয়ে উঠতে পারবে। তারা এমনকি তাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করতে পারে। মহিলাটির যদি কোন মেয়ে থাকে, তাহলে, তার মুসলিম শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এমনকি সেই বাচ্চাটিকেও ধর্ষণের চেষ্টা করতে পারে। আমি কেন এমন একটি ধর্ম পালন করব যেখানে আমার স্ত্রী এবং মেয়ে কোন সম্মান পায়নি?”
লাভ জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মহম্মদ সেলিম হায়দার এই মন্তব্যটি করেন। হায়দার সম্প্রতি হিন্দু ধর্মকে আপন করে নিয়েছেন, তাঁকে ইদানিং মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর স্ত্রীয়ের মতে, গুন্ডা মুখতার আনসারী এবং উত্তরপ্রদেশের সরকারের মন্ত্রী নন্দ গোপাল গুপ্ত নন্দীর নাম করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
লখনৌ এর একজন বাসিন্দা, হায়দার এখন নতুন নাম নিয়েছেন ‘রাজবীর সিং’। তিনি আজ তক কে জানিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ক্রমাগত ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে কারণ তারা ইসলাম ধর্মকে পরিত্যাগ করে হিন্দু ধর্মে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজবীরের স্ত্রী সামিয়া সিদ্দিকী, যিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করে পুনম সিং নাম নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে আগে তিনি একজন হিন্দু ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামীর পরিবার মনে করে যে একজন মুসলমান পুরুষ যদি কোন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করে বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে সেই পুরুষটি হজের গৌরব লাভ করতে পারে।
তিনি আরো জোর দিয়ে জানিয়েছেন, “যখন আমার স্বামী এতে আপত্তি জানায়, আমরা হিন্দু ধর্মে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু এখন আমরা মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছি।” পুনম আরো বলেছিলেন যে তাঁর পরিবার এতটাই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে, যে তারা বাড়ি ছেড়ে বেরোতেই রাজি নয়। তিনি এখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
লাভ জিহাদের ভয়ানক বাস্তব চিত্র
এমনকি লক্ষাধিক না হলেও ভারতের হাজার হাজার অ-মুসলিম মহিলাদের কাছে লাভ জিহাদ একটি ভয়ানক এবং বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী একটি বাস্তবতা। এটিকে গ্রুমিং জিহাদ ও বলা হয়, এটি ইসলামের অধীনস্থ একটি সংস্থা দ্বারা প্রতারণা, মিথ্যা, ভয় দেখানো, ভালোবাসার নাটক করে দুর্বল অ-মুসলিম মেয়েদের প্রলুব্ধ করার কৌশল।
প্রকৃত বৈবাহিক সুখের পরিবর্তে, এই মেয়েগুলি মিথ্যা এবং প্রতারণার জালে আটকে পড়ে, এবং প্রায়ই তাদের নিজেদের বিশ্বাস ত্যাগ করে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করার জন্য অত্যাচার করা হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ধর্ম পরিবর্তন করতে রাজি না হওয়ায় বা আততায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার হুমকি দেওয়ার জন্য নিপীড়িতদের হত্যা করা হয় বা ভয়ানক ভাবে আহতও করা হয়। এমন বহু ঘটনা ঘটেছে যা চূড়ান্তভাবে কোনো যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের ভিত্তিতে প্রমাণ করে যে অমুসলিম নারীদের কাছে লাভ জিহাদ সত্যিই একটি ভয়ানক বিপদ যা তাদের বিপর্যস্ত করে তোলে।
লাভ জিহাদ মামলাগুলির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলায় রাজ্য সরকারগুলিকে হুমকি রোধের জন্য আইন তৈরি করতে বাধ্য করেছে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ এবং ওড়িশার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার এর মধ্যেই লাভ জিহাদকে অপরাধ বলে একটি আইন জারি করেছে।
অন্যরা, যারা এখনো এই আইনটি পাস করেনি, তারাও এই জঘন্য নিয়মটিকে বন্ধ করার জন্য আইন তৈরি করার প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। কঠিন সত্যতা সত্বেও, বাম-উদারপন্থীরা এবং ইসলামবাদীরা হিন্দুদের একটি ষড়যন্ত্রকারী ধারণা হিসেবে লাভ জিহাদকে অস্বীকার করেছেন। আপনি লাভ জিহাদ নিয়ে ওপিন্ডিয়ার বিস্তারিত বর্ণনা সম্পর্কে এখানে পড়তে পারেন।
মূল নিবন্ধটি প্রকাশিত অপিন্ডিয়ায়। অনুবাদ করেছেন অঙ্কুশা সরকার।