চামড়া গুটিয়ে ডাণ্ডা ঘুরিয়ে
ঠাণ্ডা করবে রামের ভক্ত?
চাইলে বাজিয়ে দেখে নিতে পারো –
কৃত্তিবাসের ঠাঁই এ শক্ত।
যতই তুমি চক্ষু পাকাও,
যতই পুলিশ-প্যায়দা লাগাও,
রামের রাজ্য, রামের হৃদয় –
রাম-ই গৌড়জনের অভয়।
“শ্রীরাম পাঁচালী” ভুলেই গেছ!
কিংবা কখনো জানতে না –
বঙ্গভাষার কাব্যসুধার
উৎস রামের নাম চেনা।
রামের নামে নগর, পুরী,
গঞ্জ, গ্রাম ও শহর কত;
জানবে, আমার বঙ্গভূমে
স্রেফ রাবণ-ই বহিরাগত!
রামের নামেই বাংলা ভাষায়
রামধনুকে আমরা ডাকি;
ভাষার ছবি পাল্টে দেবার
তোমার সকল চেষ্টা ফাঁকি!
অমঙ্গলের ঝড় যদি বয়,
প্রকোপ অশুভের বাড়ে,`
তখন তো সেই রামের নামেই
দেশের সকল ভূত ঝাড়ে।
নিশিভোর রাম, রাম প্রতিদিন,
রাম আনন্দ, রাম-ই গতি;
রামের দাসের দাস এ বঙ্গ,
রামেতেই যেন থিতু হয় মতি!
রামের নামের গাইতে মহিমা
হাসতে হাসতে পরি শৃঙ্খলা –
শেকল তো নয়, এ শ্রীরামের
নামের সুতোয় গাঁথা জপমালা!
দুঃশাসকের কানে “জয় রাম!”
বাজবে যতই গালির মত,
আমাদের বুকে বল-ভরসা
রামনাম-ধ্বনি জোগাবে তত।
যাঁর গুণগান গেয়েছেন কবি
বাল্মীকি ঋষি, আমাদের রবি,
কথা ও কাহিনী, সোনার তরীতে
যাঁর ইতিহাস আঁকা –
তাঁর নাম নিতে রোখো বাঙালিকে!
জয়ধ্বনি দিলে পুরবে ফাটকে?
ভগবান রাম বাঙালির বুকে
সিংহাসনেতে রাখা।
রামের নামেতে, রামের শরে
রক্ষা পাক্ এ রামের ভূমি –
রামই রাজা, রামই তারক,
চিরসখা, জয় শ্রীরাম, তুমি!