হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রাতারাতি বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন। আগেই তিনি নারী সুরক্ষার বিষয়ে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরেই হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশ সুপার সহ আরও ৩ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হলো। ডিএসপি রাম শব্দ, ইন্সপেক্টর দীনেশ ভার্মা, সাব-ইন্সপেক্টর জগবীর সিং, এবং হেড কনস্টেবল মহেশ পালকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরিবর্তে শামলির এসপি ভিণীত জয়সওয়ালকে হাতরাসের এসপি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।
In the Hathras case, UP Chief Minister Yogi Adityanath has directed to suspend the SP, DSP, Inspector and some others officials, based on the preliminary investigation report: Chief Minister’s Office pic.twitter.com/8vzq0VK3UG
— ANI (@ANI) October 2, 2020
এদিন, টুইটারে যোগী লিখেছেন, ”উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট করার ধারণা সমূলে উৎপাটন করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবে, তাদের এমন সাজা দেওয়া হবে, যা আগামী দিনে সকলের চোখে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রত্যেক মা-বোনেদের সুরক্ষা ও উন্নতিতে উত্তরপ্রদেশ সরকার সবসময়ের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ”।
उत्तर प्रदेश में माताओं-बहनों के सम्मान-स्वाभिमान को क्षति पहुंचाने का विचार मात्र रखने वालों का समूल नाश सुनिश्चित है।
इन्हें ऐसा दंड मिलेगा जो भविष्य में उदाहरण प्रस्तुत करेगा।
आपकी @UPGovt प्रत्येक माता-बहन की सुरक्षा व विकास हेतु संकल्पबद्ध है।
यह हमारा संकल्प है-वचन है।
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) October 2, 2020
সেই কথার সূত্র ধরেই হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশ সুপার সহ আরও ৩ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহল। সিটের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, অতিদ্রুত তদন্তের স্বার্থে ৪ পুলিশ আধিকারিক এবং মৃতের পরিবারের লোকজনের নার্কো টেস্ট করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে হাথরাসের ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়েটির মৃত্যু হয়। সোমবারই তাকে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজ থেকে দিল্লির হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছিল। দলিত ওই মেয়েটিকে চরমভাবে নির্যাতন করা হয়। অপরাধীরা নির্মমভাবে তার জিভ কেটে নেয়, এমনকি পিঠের শিড়দাড়া অবধি ভেঙে দেয়। এবং তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ ছিল নির্যাতিতা ওই তরুণীর। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এখন অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছে সারা দেশ।