হিন্দু সন্ত্রাসের চিত্রনাট্য ফাঁস

 শাহিনবাগে গুলি চালানো কপিল গুজ্জরের আপ নেতা হওয়ার ছবি এসেছে সামনে, অপরাধ বিভাগের ( ক্রাইম ব্রাঞ্চ) কাছে স্বীকার করল রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকার কথাশুধুমাত্র হিন্দুরাই প্রবল হবে একথা ঘোষণা করে শাহিনবাগ এলাকায় কপিল গুজ্জরের শূন্যে তিনবার   গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ষড়যন্ত্র থেকে শেষমেশ পর্দা উঠছে।

বার বার হিন্দু সন্ত্রাসের কথা ওঠাতে চায় সেকুলার দলগুলি। কিন্তু বাধা একটাই। হিন্দু সন্ত্রাসী আর পাওয়া যায় না। ক্ষমতায় থাকা কালীন না হয় সিবিআই দিয়ে সাধ্বী প্রজ্ঞার মত কাউকে সন্ত্রাসী সাজিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে থাকলে আর কি করা যাবে? সেই জন্য তাদের লিখতে হয় চিত্রনাট্য। জোগাড় করতে হয়  অভিনেতা।

আনন্দবাজার শোনাচ্ছিল তাদের কাহিনী যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথাতেই নাকি শাহীনবাগে চলেছে গুলি । হিন্দু রাষ্ট্র ও ফ্যাসিজমের পক্ষে প্রমাণ হিসাবে উঠে এসেছিল এই কাহিনী। কি ছিল সেই কাহিনী?

পূর্ব দিল্লির দাল্লুপুরার গুজ্জর পয়লা ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদীদের স্থানটি খালি করার নির্দেশ দিয়ে শূন্যে তিনবার গুলি ছোঁড়ে কপিল গুজ্জর। দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং একটি কোর্ট তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে সিএএ বিরোধী জনসভার আর তদুপরি পথ অবরোধের কারণে হওয়া ট্রাফিক জাম নিয়ে অভিযুক্ত বেশ বিরক্ত ছিল। পুলিশের কাছে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় সে ঘোষণা করে, “হামারে দেশ মে কিসি আউর কি নাহি চলেগি, বাস হিন্দুওঁ কি চলেগি ( শুধু হিন্দুদের ইচ্ছায় দেশ চলবে, আর কারুর নয়)।”

এখন ঝুলি থেকে বেড়াল বে রিয়ে পড়েছে। শাহিনবাগ শুটার কপিল গুজ্জর আর তার বাবার আম আদমি পার্টির (আপ) সাথে যোগাযোগ নিয়ে দিল্লি পুলিশ একটি শোচনীয় রহস্যোদ্ঘাটন করেছে। অপরাধ বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, পয়লা ফেব্রুয়ারি শাহিনবাগে চলা সিএএ বিরোধী জনসভার কাছে গুলি ছোঁড়ে যে গুজ্জর, সে আর তার বাবা ২০১৯ এর প্রথমদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দল আপের সদস্য হন।

কপিল গুজ্জরের মোবাইল ফোনে দিল্লি পুলিশ কিছু বিশেষ ছবি পেয়েছে। সেই ছবিগুলিতে অতিশি আর সঞ্জয় সিং এর মত আপ নেতৃত্বের সাথে কপিল গুজ্জরকে দেখা গেছে, আপ উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসদিয়া এবং অতিশি আর সঞ্জয় সিং এর মত আপ নেতৃত্বকে কপিল গুজ্জর আর তার বাবাকে সংবর্ধনা দিতে দেখা গেছে।

এখন এই বিস্তারিত বিষয় গুলি প্রকাশ পাওয়ায় এটা যথেষ্ট পরিষ্কার যে কপিল গুজ্জর কোন সাধারণ নাগরিক নয়, বরং “সংগঠিত” শাহিনবাগ বিরোধসভার পেছনে আপের সৃষ্টি করা ষড়যন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

অভিযোগে বর্ণিতভাবে পুলিশের কাছে তার জবানবন্দীতে কপিল স্বীকার করেছে যে তার আর তার বাবা দুজনেরই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল আর তা পুরণ করতে তারা ২০১৯ এ আম আদমি পার্টিতে যোগদান করে। সিএনএন নিউজ 18 এর একটি রিপোর্ট দাবী করেছে যে দিল্লি পুলিশের কাছে সে পরে স্বীকার করে যে তার ভাইয়ের বিয়ে চলাকালীন উদযাপনী গুলি ছোঁড়ার জন্য সে সাত বছর আগে পিস্তলটি কিনেছিল।

মজার কথা হচ্ছে যে সঞ্জয় সিং তাকে সম্বর্ধনা জানিয়েছিল সেই সঞ্জয় সিংই আবার গুলি চালনার পর বিজেপিকে অভিযুক্ত বানিয়েছিল।

মূল কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে অপইণ্ডিয়াতে। মূল থেকে অনুবাদে সাহায্য করেছেন শুভম ক্ষত্রী।