বাইডেনের সিদ্ধান্তহীনতার লাভ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সাম্রাজ্যবাদী চীন, সাম্যবাদের মুখোশের আড়ালে

0
575

বঙ্গদেশ ডেস্ক – বাইডেনের প্রেসিডন্সির সবে শুরু, তাই এখনই কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারা গেলেও এশিয়ার জন্য সংকেতগুলি খুব একটা ভালো নয়। বাইডেনের শাসনে চীন, ওবামার সময়ের মতোই স্বাধীনতা পাবে বলে আশা করছে। বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণের দিন চীন প্রথমেই প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও সহ ট্রাম্প-প্রেসিডন্সির ২৮ জনের উপরে ‘স্যাংশান’ চাপিয়ে দেয়।

এরপর চীন নিজেদের উপকূল রক্ষীবাহিনীকে নির্দেশ দেয়, তাদের দাবি করা (লক্ষ্য করুন, দাবি মাত্র, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়) সামুদ্রিক অঞ্চলে অন্য কেউ প্রবেশ করলেই যেন তাদের উপরে গুলি চালানো হয়। তারা যে বিশাল এলাকাকে নিজদের বলে দাবি করে সেই বিশাল অঞ্চলে এই অর্ডার দেওয়া বিপজ্জনক। এরপর চীন একটি ‘মক ড্রীল’ করে, কিভাবে তারা সাউথ চায়না সমুদ্রে মার্কিন রণতরী এলে সেটিকে ধ্বংস করবে তার উপরে।পরবর্তীতে তারা তাইওয়ানের আকাশ সীমাও উলঙ্ঘন করে।

অন্যদিকে মায়ানমারের সেনা জেনারেলরা চীনা ডিপ্লোম্যাটদের সঙ্গে মিলিত হবার কিছুদিন পরেই সেখানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। ফলস্বরূপ, একদিকে সেনারা চীনের সমর্থন পাবে অন্যদিকে ‘বে অফ বেঙ্গলে’ আর একটি প্রবেশপথ পাওয়া যাবে এবং কিয়ায়ুকপিউতে একটি বন্দর বানানো হবে, যেখান থেকে চীন নিজের নজরদারি চালাতে পারে।

শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ভারত ও জাপানের সমর্থনে ইস্ট কন্টেইনার টার্মিনাল তৈরির কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই শ্রীলঙ্কা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে এবং এখন অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে একটি চৈনিক সংস্থা এটির নির্মাণকাজ সামলাবে।

ভারতের উত্তরাখণ্ডে যে ‘গ্লেসিয়ার বোম’ থেকে বন্যার সৃষ্টি হয়, অনেকেই মনে করছেন চীনসৃষ্ট ‘ফ্ল্যাশ ফ্লাডের’ কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

এতগুলি ঘটনার বিশ্লেষণ করলে মূল যে বিষয়টিতে উপনীত হওয়া যায়, চীন বুঝে গেছে যে বাইডেনের নেতৃত্বাধীন আমেরিকার কাছ থেকে তাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। তাই তারা নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী ক্রিয়াকলাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভয়হীনভাবে। আমেরিকার নির্বাচনে নতুন সরকার আসার পরে চীনা কমিউনিস্ট দল সিসিপি ভেবেই নিয়েছে, তারা জিতে গেছে। ট্রাম্পের বিদায়ে তারা নিশ্চিত যে তাদের এখন আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই। জো বাইডেনের সিদ্ধান্তহীনতার জন্যে আগামীতে গোটা বিশ্বকে ভুগতে হতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

(রাজীব শ্রীনিবাসনের বিশ্লেষণের উপরে ভিত্তি করে লেখা)