রাম মন্দির নির্মাণে চাঁদা তোলার আক্রোশে রিঙ্কুকে খুন করল নাসিরুদ্দিন, মেহতাব জাহিদরা!

0
683

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- দিল্লীর মঙ্গলপুরী এলাকায় বুধবার রাতে একদল হামলাকারী বজরঙ্গ দলের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধোর করে, এরপর চাকু দিয়ে বারবার আঘাত করতে থাকে। নিহত যুবকের নাম রিঙ্কু শর্মা। তাকে এভাবেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।তার অপরাধ ছিল সে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিল। সেই কারণেই বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য রিঙ্কু শর্মাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা।

যদিও পরিবারের বক্তব্য, যে দশহরায় রাম মন্দির পার্কে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রাম নিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল রিঙ্কুর। আর তাঁর জেরেই তাকে খুন করা হয়। রিঙ্কুর ছোট ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করে ৪ জন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে।

মৃত যুবক রিঙ্কু শর্মা (২৫) নিজের বাবা-মা, আর দুই ভাইয়ের সঙ্গে মঙ্গলপুরী এলাকায় বসবাস করত। একটি বেসরকারি হাসপাতালে সে কাজ করত। মৃত যুবকের ভাই মনু শর্মা জানিয়েছে, বাড়ি থেকে একটু দূরে নাসিরুদ্দিন, মহম্মদ ইসলাম, মেহতাব আর জাহিদদের বাস। মনু জানায়, বেশ কিছুদিন আগে রাম মন্দির পার্কে দশহরা প্রোগ্রাম নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের পরিবারের জোর তর্কাতর্কি হয়েছিল।

এরপর থেকেই অভিযুক্তরা তাঁদের বাড়ির ওপর নজরদারি শুরু করে। তাদের প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে। বুধবার রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ অভিযুক্তরা কয়েকজন‌ সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে রিঙ্কুর বাড়িতে হাজির হয় আর দশহরার দিন ঘটে যাওয়া বিবাদের কথা তুলে গালিগালাজ করতে থাকে। রিঙ্কু আর তাঁর ভাই তাদের থামাতে গেলে জাহিদ আর বাকিরা রিঙ্কু আর মনুকে লাঠিপেটা শুরু করতে শুরু করে। এরপর মেহতাব হঠাৎ করে রিঙ্কুর শরীরে চাকু দিয়ে একের পর এক হামলা করে।

মেহতাবের চাকু রিঙ্কুর শিরদাঁড়ার হাড়ে ফেঁসে যায়। এরপর অভিযুক্তরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। মনু আর বাকি পরিবারের সদস্যরা রিঙ্কুকে নিয়ে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে রিঙ্কু মারা যায়। রিঙ্কুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্য রাতে পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।