লাদাখে সীমান্ত পাহারায় ভারতের ভরসা ভীষ্ম

0
727

বঙ্গদেশ ডেস্ক: গত দু’দিনে বারেবারে খবর পাওয়া গিয়েছে যে ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে। ১২ ঘন্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র আবার অন্য কথা বলছে। সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও যেন যুদ্ধ যুদ্ধ সাজ! LAC-র যে অংশে চীন বাঙ্কার বানাচ্ছে সেখানেই ভারত স্থলযুদ্ধে নিজেদের অন্যতম ভরসা T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করছে। সবমিলিয়ে সীমান্তে যেন ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা।

২০০১ থেকেই ভারতীয় সেনার চোখের মনি T-90 ট্যাঙ্ক। রাশিয়া থেকে কেনা এই ট্যাঙ্কটিকে ভারত আরো উন্নত করে তোলে এবং নাম দেয় T-90 ভীষ্ম। মহাভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা কুরুবৃদ্ধ ভীষ্মের নামাঙ্কিত এই ট্যাঙ্ক জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। একমিনিটে আটটি গোলা ছুঁড়তে পারে। ৬ কিমি দূরত্বে মিসাইল দাগতে পারে। ওজনও তেমন বেশী নয়, মাত্র ৪৮ টন তাই যথেষ্ট দ্রুতগতিতে(৭২কিমি/ঘন্টা) ছুটতে পারে। বিপক্ষের বাঙ্কার ভেঙে দিতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

চীনের কাছে যেখানে মোট ৪২৯২ টি ট্যাঙ্ক রয়েছে সেখানে ভারতের ট্যাঙ্ক সংখ্যা ৩৫০০। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অবস্থায় T-90 ভীষ্ম ভারতীয় সেনার মনোবল বাড়াবে তো বটেই! একইসাথে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে “একাই একশো” হয়ে শত্রু সংহারও করবে।

ট্যাঙ্ক মোতায়েন, যুদ্ধ যুদ্ধ সাজের পরেও সেনা সূত্রে দাবী করা হয়েছে যে গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর টানা সাতদিন দুইপক্ষের সেনা মুখোমুখি ছিল ঠিকই কিন্তু এরপরে নিজেদের অবস্থান ছাড়তে বাধ্য হয় চীনা সেনা। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে পূর্ব লাদাখের চুশল একালার মলডো অঞ্চলে কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে যেখানে সংঘর্ষের এলাকা থেকে দুইপক্ষই সেনা সরাতে রাজি হয়েছে।