২৭,০০০ ফুট উচ্চতায় ১৮ ঘন্টার উড়ান, যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে পারে ‘রুস্তম’ ড্রোন

0
744

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও মাঝারি উচ্চতায় উড়তে সক্ষম হাই এন্ডিওরেন্স ড্রোন রুস্তম -২ তৈরি করেছে যা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ভারতের দিকে। হিন্দুস্তান টাইমস তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, কর্ণাটকের চিত্রদুর্গা থেকে ২৭,০০০ ফুট উচ্চতায় ১৮ ঘণ্টার জন্য উড়তে পারে এই নতুন ড্রোনটি। ডিআরডিও বহু গবেষণার করে এর সিস্টেমে অনেকগুলি পরিবর্তন এনেছে।

এই ড্রোনটি তাপস-বিএইচ (Tactical Airborne Platform for Aerial Surveillance-Beyond Horizon 201) নামেও পরিচিত ছিল। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে প্রায় আট ঘন্টা ধরে ১৬,০০০ ফুট উচ্চতার উড়ান করে এটি। এর পরেই এর এন্ডিওরেন্স ও অন্যান্য ক্ষমতা বাড়াতে সচেষ্ট হন বিজ্ঞানীরা।

দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত মানব বিহীন এই যানগুলি (unmanned aerial vehicle – ইউএভি) কৌশলগত মিলিটারি লক্ষ্যের উপরে নজরদারি চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। সরকারি অফিসারেরা এটিকে একটি “বিশাল পদক্ষেপ” হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

একটি বিষয় লক্ষ্য করা উচিত যে দেশের মধ্যে সামরিক হার্ডওয়্যার তৈরির প্রচেষ্টা অতীতে খুব একটা সফল হয়নি। আর বিশেষ করে ড্রোন বা UAV তৈরি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ভারত পিছিয়ে ছিল। এর ফলাফলস্বরূপ ভারতীয় সেনাবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইস্রায়েল থেকে ব্যয়বহুল অস্ত্র আমদানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, এধরনের সামরিক হার্ডওয়্যার তৈরির পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার কারণে ভারতকে তার সামরিক প্রয়োজনের প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি জিনিসই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত।

এমতাবস্থায় সরকারিভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলি ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সচেষ্ট হন। রুস্তম -২-এর এই সাফল্যকে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের একটি সচেতন প্রয়াস হিসাবেই দেখা হচ্ছে। আর্টিলারি বন্দুক থেকে সাবমেরিন হয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত ১০১ টি ভিন্ন ধরণের অস্ত্র আমদানিতে পাঁচ বছরের পর্যায়ক্রমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় গত বছর, ভারতের সমরশিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য।