কামিকাজে’ ড্রোন তৈরি করেছে শিয়া রাষ্ট্র ইরান, আমেরিকার সাথে যুদ্ধের সম্ভাবনা!

0
612

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ইরান একটি শিয়া মুসলিম প্রধান দেশ। তাদের সঙ্গে সুন্নি প্রধান সৌদি, বাহরিন, এমিরাত প্রভৃতি দেশের সংঘাত সুবিদিত। বৈশ্বিক সমীকরণের নিরিখে ইরানের পাশে থাকে রাশিয়া তবে তেল লবির কারণে আমেরিকার সমর্থন থাকে সৌদির দিকে। আবার ইরান ভয়ানকভাবে ইসরায়েল বিরোধী, ইহুদিদের মুছে দিতে তারা বদ্ধপরিকর। এইসব সমীকরণের কারণে ইরান এবং আমেরিকার সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। ইদানীং বিভিন্ন কারণে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে ট্রাম্পের শাসন শেষ হওয়ার দিকে, এমতাবস্থায় আবারও শব্দ যুদ্ধ শুরু হয়েছে দুদেশের মধ্যে। ঠিক এক বছর আগে এই সময়ে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের সর্বাধিক শ্রদ্ধেয় সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। আমেরিকার কাছে এটি যেমন বড় সাফল্য তেমনই ইরান ও তাদের সহযোগীদের কাছে একটি বড় ধাক্কা ছিল।

ইরানের মিলিটারি ড্রোন

ইরান এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অঞ্চলিকভাবে ইরানের সমর্থনপুষ্ট শক্তিগুলি যেমন ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক প্রভৃতিরা ড্রোনশক্তির উপর নির্ভর করছে।

আধা-সরকারী (semi official) ফোর্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী মধ্য সেমনান প্রদেশে দু’দিনের অভ্যাসে (exercise) বোমারু ড্রোন, ইন্টারসেপ্টর এবং জঙ্গি নিধন মিশনে ব্যবহৃত তথা যুদ্ধকালীন ড্রোনও পরীক্ষা করতে পারে।

ইরানের ‘কামিকাজে’ ড্রোন

রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নজরদারি এড়িয়ে ইরানের ড্রোনগুলি তাদের লক্ষ্যভেদ করতে যুদ্ধাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে এবং বিস্ফোরক বোঝাই করে “কামিকাজে” (সুইসাইড) হামলাও চালাতে পারে।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ইরান একটি বৃহৎ দেশীয় অস্ত্রশিল্প গড়ে তুলেছে। আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলির ফলে তাদের উপরে অস্ত্র আমদানিতে বাধা রয়েছে।

পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে ইরান ধারাবাহিকভাবে নিজেদের অস্ত্র ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে। যদিও তাদের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ, ওয়াশিংটনকে তেহরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছিল।

অন্যদিকে ইরানের ‘রেভোলিউশনারি গার্ড’ বাহিনী জানিয়েছে, যে তারা যেকোন ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি। সুলেমানির হত্যার পরে আমেরিকার বাগদাদ দূতাবাসে তারা হামলাও চালায়। আবার অন্যদিকে সরাসরি তারা জানিয়েছে, ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াকরণের কাজও চালিয়ে যাবে। এইরূপ অবস্থায় ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আমেরিকা যথেষ্ট আক্রমণাত্মক অবস্থান নিচ্ছে ইরানের বিপক্ষে।